০২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

গৌরনদীতে কুল চাষে স্বাবলম্বী কৃষক

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মো. মাসুদ সরদার

অল্প পূঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় বরিশালের গৌরনদীতে কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে এ উপজেলার একাধিক কৃষক পতিত জমিতে কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। চারা রোপণের এক বছরের মধ্যে ফলন ও কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় অন্যান্য কৃষকরাও এখন কুল চাষের দিকে ঝুকছেন।

উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বেজহার গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক কুল চাষীর সফলতা দেখে নিজ বসতঘরের পাশে ২০ শতক পতিত জমিতে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে এ বছর ১৫০ টি বলসুন্দরী জাতের কুল চারা রোপণ করেছিলেন। এক বছরের মধ্যে সবগুলো গাছে কুল ধরেছে। এরই মধ্যে বাগানের অর্ধেক কুল বিক্রি করে খরচের টাকা উত্তোলণ করা হয়েছে। গাছে এখনও বিপুল পরিমাণ কুল রয়েছে। তা বিক্রি করে তিনি লাভবান হতে পারবেন।

একইভাবে মাহিলাড়া গ্রামের কৃষক ফারুক ফকির, নাজমুল সরদার, খাঞ্জাপুর গ্রামের কৃষক ইউসুফ হোসেন জানান, কয়েক বছর যাবত পতিত জমিতে তারা কুল চাষ করে আসছেন। কুল ও কলমের চারা বিক্রি করে তারা এখন স্বাবলম্বী। কুল চাষে তাদের সফলতা দেখে অন্যান্য কৃষকরাও কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মিথুন বণিক জানান, সঠিক সময়ে মাঠ পর্যায়ে এসে কুল চাষীদের পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। কুল চাষ লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলার কৃষকরা কুল চাষের দিকে ঝুকছেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

গৌরনদীতে কুল চাষে স্বাবলম্বী কৃষক

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মো. মাসুদ সরদার

অল্প পূঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় বরিশালের গৌরনদীতে কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে এ উপজেলার একাধিক কৃষক পতিত জমিতে কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। চারা রোপণের এক বছরের মধ্যে ফলন ও কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় অন্যান্য কৃষকরাও এখন কুল চাষের দিকে ঝুকছেন।

উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বেজহার গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক কুল চাষীর সফলতা দেখে নিজ বসতঘরের পাশে ২০ শতক পতিত জমিতে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে এ বছর ১৫০ টি বলসুন্দরী জাতের কুল চারা রোপণ করেছিলেন। এক বছরের মধ্যে সবগুলো গাছে কুল ধরেছে। এরই মধ্যে বাগানের অর্ধেক কুল বিক্রি করে খরচের টাকা উত্তোলণ করা হয়েছে। গাছে এখনও বিপুল পরিমাণ কুল রয়েছে। তা বিক্রি করে তিনি লাভবান হতে পারবেন।

একইভাবে মাহিলাড়া গ্রামের কৃষক ফারুক ফকির, নাজমুল সরদার, খাঞ্জাপুর গ্রামের কৃষক ইউসুফ হোসেন জানান, কয়েক বছর যাবত পতিত জমিতে তারা কুল চাষ করে আসছেন। কুল ও কলমের চারা বিক্রি করে তারা এখন স্বাবলম্বী। কুল চাষে তাদের সফলতা দেখে অন্যান্য কৃষকরাও কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মিথুন বণিক জানান, সঠিক সময়ে মাঠ পর্যায়ে এসে কুল চাষীদের পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। কুল চাষ লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলার কৃষকরা কুল চাষের দিকে ঝুকছেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন