১০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জনবল সংকট

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৬০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইয়াছিন আলী ইমন, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা। দশ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে রয়েছেন মাত্র চারজন। চার ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মধ্যে আছেন মাত্র একজন। ফলে জনবল সংকটে উপজেলার ১১২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছাড়াও চারটি ক্লাস্টারে চারজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পদ রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে দুজন সহকারী শিক্ষা অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। আবুল কালাম আজাদ নামে একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মামলা করায় কিছুদিন জেলে থাকার পর বর্তমানে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। কিন্তু তিনিও প্রায় ছয় মাস থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে জাকির হোসেন নামের একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার চারটি ক্লাস্টারের দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে কর্মচারীদের পাঁচটি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র দু’জন। অফিস সহকারী, হিসাব সহকারী ও অফিস সহায়ক পদে দীর্ঘদিন থেকে কোনো কর্মচারী নেই। ফলে একদিকে যেমন অফিশিয়াল কাজ করতে যাওয়া শিক্ষকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে কর্মকর্তা সংকটের কারণে নিয়মিত বিদ্যালয়গুলো তদারকি সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই জনবল সংকটের সমাধান হবে।

রংপুর বিভাগের উপপরিচালক মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত হলাম। আগামী রবিবার ঢাকায় মিটিং আছে। ওই মিটিংয়ে বিষয়টি তোলা হবে।’


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কুড়িগ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জনবল সংকট

আপডেট সময় : ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইয়াছিন আলী ইমন, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা। দশ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে রয়েছেন মাত্র চারজন। চার ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মধ্যে আছেন মাত্র একজন। ফলে জনবল সংকটে উপজেলার ১১২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছাড়াও চারটি ক্লাস্টারে চারজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পদ রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে দুজন সহকারী শিক্ষা অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। আবুল কালাম আজাদ নামে একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মামলা করায় কিছুদিন জেলে থাকার পর বর্তমানে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। কিন্তু তিনিও প্রায় ছয় মাস থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে জাকির হোসেন নামের একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার চারটি ক্লাস্টারের দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে কর্মচারীদের পাঁচটি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র দু’জন। অফিস সহকারী, হিসাব সহকারী ও অফিস সহায়ক পদে দীর্ঘদিন থেকে কোনো কর্মচারী নেই। ফলে একদিকে যেমন অফিশিয়াল কাজ করতে যাওয়া শিক্ষকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে কর্মকর্তা সংকটের কারণে নিয়মিত বিদ্যালয়গুলো তদারকি সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই জনবল সংকটের সমাধান হবে।

রংপুর বিভাগের উপপরিচালক মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত হলাম। আগামী রবিবার ঢাকায় মিটিং আছে। ওই মিটিংয়ে বিষয়টি তোলা হবে।’


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন