১২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে ফেসবুকে পুরুষ নির্যাতনের কথা পোস্ট দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৬০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুরুষ নির্যাতনের কথা ফেসবুকে পোস্ট করে খবির হোসেন (৪০) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে জালকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খবির হোসেন (৪০) চাঁদপুরের উত্তর মতলবের ওটারচর এলাকার মো. আমিনুল হকের ছেলে। বর্তমানে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি শিকদার বাড়ি পুল এলাকায় ইসমাঈল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সে সিদ্ধিরগঞ্জে সিএনজির ব্যবসা করতেন বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আমিনুল হক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে চারজনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় মৃত খবির হোসেনের স্ত্রী অভিযুক্ত মুক্তি (৩২) এবং তার শ্বাশুড়ি লতিফা (৫৫) কে আটক করা হয়েছে বলে শুক্রবার সকালে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান।
অভিযুক্তরা হলেন লতিকা (৫৫), মুক্তি (৩২), রমজান (৪০) ও লুৎফর রহমান (৪০)।
অভিযোগপত্রে তার বাবা উল্লেখ করেন, দুই নং বিবাদীর সঙ্গে তার ছেলে খবির হোসেনের ১৭ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে খাদিজাতুল আক্তার মারিয়া (১৫) এবং মোস্তাহিদ (১০) নামে দুই সন্তান রয়েছে। ২নং বিবাদীসহ অন্যান্য বিবাদীরা তার ছেলে খবির হোসেনকে তার সম্পত্তি বিক্রি করে ২নং বিবাদীর ঠিকানায় বাড়ীঘর নির্মাণ করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। তার ছেলে এই বিষয়ে কর্ণপাত না করায় বিবাদীরা বিভিন্ন সময় নানাভাবে তার ছেলেকে অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতন করেছে।

তার ছেলে দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে বিবাদীদের এই অত্যাচার নীরবে সহ্য করে আসছিল। কিন্তু দিন দিন তার ছেলের উপর বিবাদীদের অত্যাচার ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে তার ছেলে বিষয়টি তাদেরকে জানালে তারা বিবাদীদের সঙ্গে উক্ত বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু উল্লেখিত বিবাদীরা তাদের কথার কোনো কর্ণপাত করে নি। অতঃপর গতকাল রাতে তারা সংবাদ পান, তার ছেলে সিলিং ফ্যানে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের বাবা আমিনুল হক জানান, আত্মহত্যা করার আগের দিন আমার ছেলে ফেসবুকে তিনটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টগুলো দেখলেই বুঝা যায় আমার ছেলে মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, এই খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নারায়ণগঞ্জে ফেসবুকে পুরুষ নির্যাতনের কথা পোস্ট দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৬:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুরুষ নির্যাতনের কথা ফেসবুকে পোস্ট করে খবির হোসেন (৪০) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে জালকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খবির হোসেন (৪০) চাঁদপুরের উত্তর মতলবের ওটারচর এলাকার মো. আমিনুল হকের ছেলে। বর্তমানে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি শিকদার বাড়ি পুল এলাকায় ইসমাঈল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সে সিদ্ধিরগঞ্জে সিএনজির ব্যবসা করতেন বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আমিনুল হক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে চারজনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় মৃত খবির হোসেনের স্ত্রী অভিযুক্ত মুক্তি (৩২) এবং তার শ্বাশুড়ি লতিফা (৫৫) কে আটক করা হয়েছে বলে শুক্রবার সকালে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান।
অভিযুক্তরা হলেন লতিকা (৫৫), মুক্তি (৩২), রমজান (৪০) ও লুৎফর রহমান (৪০)।
অভিযোগপত্রে তার বাবা উল্লেখ করেন, দুই নং বিবাদীর সঙ্গে তার ছেলে খবির হোসেনের ১৭ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে খাদিজাতুল আক্তার মারিয়া (১৫) এবং মোস্তাহিদ (১০) নামে দুই সন্তান রয়েছে। ২নং বিবাদীসহ অন্যান্য বিবাদীরা তার ছেলে খবির হোসেনকে তার সম্পত্তি বিক্রি করে ২নং বিবাদীর ঠিকানায় বাড়ীঘর নির্মাণ করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। তার ছেলে এই বিষয়ে কর্ণপাত না করায় বিবাদীরা বিভিন্ন সময় নানাভাবে তার ছেলেকে অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতন করেছে।

তার ছেলে দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে বিবাদীদের এই অত্যাচার নীরবে সহ্য করে আসছিল। কিন্তু দিন দিন তার ছেলের উপর বিবাদীদের অত্যাচার ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে তার ছেলে বিষয়টি তাদেরকে জানালে তারা বিবাদীদের সঙ্গে উক্ত বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু উল্লেখিত বিবাদীরা তাদের কথার কোনো কর্ণপাত করে নি। অতঃপর গতকাল রাতে তারা সংবাদ পান, তার ছেলে সিলিং ফ্যানে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের বাবা আমিনুল হক জানান, আত্মহত্যা করার আগের দিন আমার ছেলে ফেসবুকে তিনটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টগুলো দেখলেই বুঝা যায় আমার ছেলে মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, এই খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন