১২:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সাইনবোর্ডে বাংলার প্রচলন নেই খুলনাতে,মিশ্র ভাষা ব্যবহার!

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৬২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

খুলনা প্রতিনিধি:

সর্বত্র মাতৃভাষার প্রচলন ও মিশ্র ভাষা পরিহারে সক্ষমতার মানদণ্ডে ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারী জাতি হিসেবে আমরাই আজ কাঠগড়ায়। উচ্চ আদালতে নির্দেশনার ৮ বছরেও বিভাগীয় শহর খুলনাতে বাংলার প্রচলন নিশ্চিতকরণ ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ হয়নি। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি এলেই ভাষা শহিদদের স্মরণ করলেও মাতৃভাষার মর্যাদা সমুন্নত করতে সকলেই সচেষ্ট নই বলে দাবি করছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
যদিও আগামীকাল রবিবার সরেজমিনে পরিদর্শন করে, আইনগত ব্যবস্থা নেবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কেসিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
সূত্রমতে, ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আদেশে দেশের সব সাইন বোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ীর নম্বর প্লেট, সরকারি দপ্তরের নামফলক এবং গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। আদালতের আদেশের তিন মাস পর ২০১৪ সালের ১৪ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডগুলোকে আদেশটি কার্যকর করতে বলে।
কিন্তু তা না হওয়ায় ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট আদালত কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন, বাংলা ব্যবহারে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নেই। পরে ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এক চিঠির মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সাইন বোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বর প্লেটে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করার অনুরোধ জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লেখা ওই চিঠিতে বলা হয় সাইন বোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইংরেজির স্থলে বাংলায় প্রতিস্থাপিত হয়েছে বলে দেখা যায় না। এটা বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, হাইকোর্টের রুল ও আদেশের পরিপন্থী।
সরেজমিন নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দু’ধারেই ইংরেজি শব্দের সাইন বোর্ড দেখা গেছে। মিশ্র ভাষাও ব্যবহার করা হয়েছে কোথাও কোথাও। এর মধ্যে হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হোটেল-রেস্টুরেন্ট-কপি শপ, ফ্যাশান হাউজ, পার্লার-সেলুন থেকে শুরু করে সর্বত্রই ইংরেজি এবং মিশ্র ভাষার সাইন বোর্ডের ছড়াছড়ি। সিংহভাগ বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইনবোর্ড লেখা ভীনদেশী ভাষায়। আসন্ন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে ইংরেজি ও মিশ্র ভাষায় লেখা সাইন বোর্ড, বিলবোর্ড,
ব্যানার, গাড়ির নম্বর প্লেট, সরকারি দপ্তরের নামফলক এবং গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
বিএল কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স আহমদ মুসা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি। এই ভাষার জন্যে জীবন দিতে হয়েছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। বিশ্বজুড়ে ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়, তবে আমরা কি ভাষা শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলাকে সমুন্নত রাখতে পেরেছি? সর্বত্র বাংলা ভাষার নিশ্চিতকরণে উচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সাইনবোর্ডে বাংলার প্রচলন নেই খুলনাতে,মিশ্র ভাষা ব্যবহার!

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

খুলনা প্রতিনিধি:

সর্বত্র মাতৃভাষার প্রচলন ও মিশ্র ভাষা পরিহারে সক্ষমতার মানদণ্ডে ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারী জাতি হিসেবে আমরাই আজ কাঠগড়ায়। উচ্চ আদালতে নির্দেশনার ৮ বছরেও বিভাগীয় শহর খুলনাতে বাংলার প্রচলন নিশ্চিতকরণ ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ হয়নি। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি এলেই ভাষা শহিদদের স্মরণ করলেও মাতৃভাষার মর্যাদা সমুন্নত করতে সকলেই সচেষ্ট নই বলে দাবি করছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
যদিও আগামীকাল রবিবার সরেজমিনে পরিদর্শন করে, আইনগত ব্যবস্থা নেবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কেসিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
সূত্রমতে, ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আদেশে দেশের সব সাইন বোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ীর নম্বর প্লেট, সরকারি দপ্তরের নামফলক এবং গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। আদালতের আদেশের তিন মাস পর ২০১৪ সালের ১৪ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডগুলোকে আদেশটি কার্যকর করতে বলে।
কিন্তু তা না হওয়ায় ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট আদালত কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন, বাংলা ব্যবহারে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নেই। পরে ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এক চিঠির মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সাইন বোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বর প্লেটে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করার অনুরোধ জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লেখা ওই চিঠিতে বলা হয় সাইন বোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইংরেজির স্থলে বাংলায় প্রতিস্থাপিত হয়েছে বলে দেখা যায় না। এটা বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, হাইকোর্টের রুল ও আদেশের পরিপন্থী।
সরেজমিন নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দু’ধারেই ইংরেজি শব্দের সাইন বোর্ড দেখা গেছে। মিশ্র ভাষাও ব্যবহার করা হয়েছে কোথাও কোথাও। এর মধ্যে হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হোটেল-রেস্টুরেন্ট-কপি শপ, ফ্যাশান হাউজ, পার্লার-সেলুন থেকে শুরু করে সর্বত্রই ইংরেজি এবং মিশ্র ভাষার সাইন বোর্ডের ছড়াছড়ি। সিংহভাগ বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইনবোর্ড লেখা ভীনদেশী ভাষায়। আসন্ন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে ইংরেজি ও মিশ্র ভাষায় লেখা সাইন বোর্ড, বিলবোর্ড,
ব্যানার, গাড়ির নম্বর প্লেট, সরকারি দপ্তরের নামফলক এবং গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
বিএল কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স আহমদ মুসা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি। এই ভাষার জন্যে জীবন দিতে হয়েছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। বিশ্বজুড়ে ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়, তবে আমরা কি ভাষা শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলাকে সমুন্নত রাখতে পেরেছি? সর্বত্র বাংলা ভাষার নিশ্চিতকরণে উচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন