সুনামগঞ্জে ঘোড়া দৌড়ের আড়ালে জুয়ার আসর!
- আপডেট সময় : ১০:০৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৭৭
সুনামগঞ্জপ্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা মোল্লা পাড়া ইউনিয়নে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড়ের প্রতিযোগিতার নাম ব্যবহার করে দেদারছে চলছে ক্যাসিনো জুয়ার আসর। শুধু তাই নয় এই ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতার নামে প্রতি রাতে চলে জুয়া খেলার আসর। পাশাপাশি জান্ডি মুন্ডি,রিং খেলা ও মাদক সেবন। এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা তিন দিন ব্যাপী জন্য শুরু করে। গত রোবরার ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়।
আর আনাচে কানাচে প্রায় দুই শতাধিক উপরে ছোট ছোট তাবু ঘর বানিয়ে রাখা হয়েছে গভীর রাত থেকে শুরু হয় ঐ সমস্ত তাবুতে মাদক সেবন জুয়া খেলা ও অসামাজিক কার্যকলাপ।
বারবার গণমাধ্যম কর্মীরা বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এমনটাই প্রকাশ পায় মেলা চলাকালীন সময়ে।
সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায়, মাইকিং করে নিষেধ করা হয়েছে মেলার ভিতরে কেউ যাতে মোবাইলে কোন ছবি ধারণ করতে না পারে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সমন্বয়ে এলাকার কিছু উশৃঙ্খল ছেলেদের রাখা হয়েছে ভাড়াটিয়া হিসেবে। যদি কেউ ঐ সমস্ত জুয়া খেলার ছবি তুলে তাহলে তার ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মেলা কমিটির পক্ষ থেকে।
আরও জানা যায় স্হানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে রাতের বেলায় ঐ সমস্ত কার্যকলাপ। এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ সাধারণ মানুষেরা।
এছাড়াও জানা যায়, ওই এলাকার সুশীল সমাজের মুসলিম জনতা ওই সমস্ত জোয়ার আসর না দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আসলেও তাদেরকে কোন মূল্যায়ন করা হয়নি। বরং সুশীল সমাজের তোয়াক্কা করে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে জুয়ার আসর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মানুষের সাথে আলাপ করে জানা যায়, অনেকে জানিয়েছেন তারা দূর দূরান্ত থেকে এসে রাতের বেলায় ঐ সমস্ত অসাধু কার্যকলাপ দেখে অনেকে ঘোড়া নিয়ে ফিরে গেছেন তাদের নিজ নিজ গ্রামে। এভাবেই যদি চলতে থাকে সুনামগঞ্জের পরিবেশ ধ্বংস হতে আর বেশি দূরে নয় শুধু সময়ের ব্যাপার বলে জানিয়েছেন সুশীল সমাজের মানুষেরা।
মেলা আয়োজন করে লুটে নেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের পকেটের টাকা করোনা মহামারী বন্যা দুর্যোগ পরপরই ঘন ঘন মেলা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত সেই প্রশ্ন ভাবিয়ে তুলেছে সাধারণ মানুষকে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুনামগঞ্জের ভারসাম্য এবং পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটাই দাবি সাধারণ মানুষের।
মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় কথা বলতে নারাজ।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার এহসান’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানান আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।