নেত্রকোনায় আদিবাসী নারীর সম্পত্তি দখলের পায়তারা
- আপডেট সময় : ০৪:১৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৫৯
নেত্রকোনা সংবাদদাতা
নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কলমাকান্দা উপজেলা। যেখানে অধিকাংশ জায়গায় আদিবাসীদের বসবাস। উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়ি মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে এক অসহায় আদিবাসী নারীর সম্পত্তি বেদখলের পায়তারা ও হয়রানি করে আসছে প্রতিবেশী মো. আব্দুল মজিদ নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আদিবাসী নারী কলমাকান্দা লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়ি মোড়ের আদিবাসী নারী হেলিমা ঘাগ্রা দীর্ঘদিন যাবত ঐ এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। তিনি তাদের সম্প্রদায়ের প্রচলিত ‘মাহারী আইনে’ মাতৃতান্ত্রিক পরিবারে মায়ের উত্তরাধিকার সুত্রে এ সম্পত্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পাশের প্রতিবেশী মো. আব্দুল মজিদ নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি হেলিমা ঘাগ্রার সম্পত্তি বেদখলের পায়তারা ও হয়রানি করে আসছে।
আদিবাসী হেলিমা ঘাগ্রার স্বামী সিলবেস্টারৌ ম্রং জানান, মজিদ তো আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের নয়। তবে, সে কি করে মালিকানা দাবী করে? আমাদেরকে অসহায় পেয়ে বার বার হুমকি দিচ্ছে, হয়রানি করে আসছে, এখন আমরা কোথায় যাবো?
অসহায় আদিবাসী নারী হেলিমা ঘাগ্রা তার জমির কাগজপত্র সূত্রে জানান, জমির মালিক আমি হওয়া সত্ত্বেও আমাকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছ্বেদ ও বেদখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে ভূমিদস্যু মজিদ ও তার লোকজনেরা।
আব্দুল মজিদের কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি বলেন, হেলিমা ঘাগ্রার বড় ভাই মার্টিন ঘাগ্রার স্ত্রী সুজেতা রিসিলের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে ৫৮৬ ও ৬৩২ নং দলিলমুলে মালিক আমি।
কিন্তু আদিবাসী আইনে দেখা যায়, যদি কোন মুসলিম আদিবাসীর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করতে হয় তবে ডিসি অফিসের অনুমতি লাগে, কিন্তু ডিসি অফিসে তাল্লাশি দিয়ে দেখা যায়, মজিদের নামে অনুমতির কোন নথিপত্র সেখানে নেই। এমনকি আদিবাসী এ্যাসোসিয়েশন ট্রাইবাল চেয়ারম্যান এর রেজিস্ট্রার বহি ও উপজেলা ভূমি অফিসেও কোন স্বারক নাম্বার নেই। এমন কি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসেও দুটি দলিলের কোনটিতেই সাবরেজিস্টারের কোন স্বাক্ষক পাওয়া যায়নি।
এমতাবস্থায় অসহায় আদিবাসী হেলিমা ঘাগ্রা স্থানীয়ভাবে ও প্রশাসনের কোন সাহায্য সহযোগিতা না পেয়ে ভুক্তভোগী হেলিমা ঘাগ্রা ভূমিদস্যু মজিদ ও তার লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।