১২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকারি খাল ভরাট করে দোকান নির্মাণ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
  • / ৮২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মতলব (উত্তর) সংবাদাতা

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে সরকারি খাল ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শত বছরের পুরোনো খালটি বন্ধ হওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

মতলব উত্তর উপজেলার নওদোনা গ্রামের বাসিন্দা ও নিশ্চিন্তপুর বাজারের ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আ. রশিদ নামে এক ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে আইন বহির্ভূতভাবে খালটি ভরাট করেছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

এদিকে খালের অপর পাশে অর্ধশতাধিক পরিবার স্বাধীনতার পর থেকেই বাঁশের সাকো ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন। ব্যক্তি প্রয়োজনে ভরাট করা সরকারি খালটি পুনরুদ্ধার করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর বাজার এলাকার ১নং খতিয়ানভুক্ত শত বছরের পুরোনো সরকারি খাল ভরাট করে দোকানপাট নির্মাণ করেন আবদুর রশিদ। মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি নিষ্কাশন খাল হিসেবে কালিপুর পাম্প হাউজের খালের সঙ্গে সংযুক্ত এ খালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তৈরি হতে পারে জলাবদ্ধতা। এতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়ে বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

দীর্ঘদিন ধরে খালটি আশপাশের মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষিকাজের জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছিল। কিন্তু এটি বন্ধ করায় নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর কাদের বলেন, আবদুর রশিদ ক্ষমতা দেখিয়ে তার নিজের স্বার্থের জন্য খালটি ভরাট করেছে। এতে এবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। সামনের বর্ষায় পানি বাড়লে আমাদের বাড়িঘর তলিয়ে যেতে পারে।

সরকারি খাল ভরাট করার কথা স্বীকার করে আবদুর রশিদ বলেন, সরকারের প্রয়োজনে ঘর ভেঙ্গে দিবো। মাটি সরিয়ে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কেউ আমাদের অভিযোগ করেনি। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোকারম হোসেন খান ওপেল বলেন, খালটি ভরাট করেছে শুনেছি। ভরাট করার সময় কেউ বাধা দেয়নি। ইউনিয়ন পরিষদে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এ ব্যাপারে আমি আবদুর রশিদের সঙ্গে কথা বলব। যদি নিয়ম বহির্ভূতভাবে সে খাল ভরাট করে থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল হাসান বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি আইন বহির্ভূত সরকারি খাল ভরাট করে থাকে, তাহলে এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সরকারি খাল ভরাট করে দোকান নির্মাণ

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মতলব (উত্তর) সংবাদাতা

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে সরকারি খাল ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শত বছরের পুরোনো খালটি বন্ধ হওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

মতলব উত্তর উপজেলার নওদোনা গ্রামের বাসিন্দা ও নিশ্চিন্তপুর বাজারের ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আ. রশিদ নামে এক ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে আইন বহির্ভূতভাবে খালটি ভরাট করেছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

এদিকে খালের অপর পাশে অর্ধশতাধিক পরিবার স্বাধীনতার পর থেকেই বাঁশের সাকো ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন। ব্যক্তি প্রয়োজনে ভরাট করা সরকারি খালটি পুনরুদ্ধার করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর বাজার এলাকার ১নং খতিয়ানভুক্ত শত বছরের পুরোনো সরকারি খাল ভরাট করে দোকানপাট নির্মাণ করেন আবদুর রশিদ। মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি নিষ্কাশন খাল হিসেবে কালিপুর পাম্প হাউজের খালের সঙ্গে সংযুক্ত এ খালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তৈরি হতে পারে জলাবদ্ধতা। এতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়ে বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

দীর্ঘদিন ধরে খালটি আশপাশের মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষিকাজের জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছিল। কিন্তু এটি বন্ধ করায় নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর কাদের বলেন, আবদুর রশিদ ক্ষমতা দেখিয়ে তার নিজের স্বার্থের জন্য খালটি ভরাট করেছে। এতে এবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। সামনের বর্ষায় পানি বাড়লে আমাদের বাড়িঘর তলিয়ে যেতে পারে।

সরকারি খাল ভরাট করার কথা স্বীকার করে আবদুর রশিদ বলেন, সরকারের প্রয়োজনে ঘর ভেঙ্গে দিবো। মাটি সরিয়ে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কেউ আমাদের অভিযোগ করেনি। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোকারম হোসেন খান ওপেল বলেন, খালটি ভরাট করেছে শুনেছি। ভরাট করার সময় কেউ বাধা দেয়নি। ইউনিয়ন পরিষদে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এ ব্যাপারে আমি আবদুর রশিদের সঙ্গে কথা বলব। যদি নিয়ম বহির্ভূতভাবে সে খাল ভরাট করে থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল হাসান বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি আইন বহির্ভূত সরকারি খাল ভরাট করে থাকে, তাহলে এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন