১০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

কয়রায় মাদ্রাসা আছে শিক্ষার্থী নেই, বেতন নিচ্ছেন শিক্ষকরা!

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৬৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কয়রা (খুলনা) সংবাদদাতা

খুলনার কয়রা উপজেলার গোবরা দাখিল মাদরাসার এবতেদায়ী শাখায় পাঁচ বছরে ভর্তি হয়নি কোন শিক্ষার্থী। অথচ নিয়মিত বেতন ভাতা নিচ্ছেন এবতেদায়ী শাখার শিক্ষকরা। কয়রা সদর ইউনিয়নে গোবরা দাখিল মাদরাসায় দাখিল ও এবতেদায়ী শাখা ২০০১ সাল থেকে চালু আছে। দাখিল শাখা নিয়ম অনুসারে শিক্ষার্থী না থাকলেও, এবতেদায়ী শাখায় ৫ বছরে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। মাদরাসার এক কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি গ্রামে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় গোবরা দাখিল মাদরাসার এবতেদায়ী শাখায় কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয় না বলে না গেছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণিতে কাগজে-কলমে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্র-ছাত্রী থাকার দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে একজন শিক্ষার্থীও নেই বলে দাবি এলাকার শিক্ষার্থী অভিভাবকদের। পাঁচ বছর ধরে ক্লাস না করিয়ে নাম মাত্র একটি ঘর দেখিয়ে সরকারি বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন মাদরাসার এবতেদায়ী শাখার চার জন শিক্ষক।

শুধু শিক্ষার্থীই নয় এ মাদরাসায় খেলার মাঠ থাকলেও শিক্ষার্থীদের খেলতে না দিয়ে মাদরাসার সুপার মাঠে ঘাস চাষ করে বিক্রি করে বলে দাখিল শাখার শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থীরা মাদরাসার মাঠে খেলাধুলা ও ক্লাসে পড়াশুনা না পারলে সুপার মাওলানা রইচ উদ্দীন তাদের বেধম মারপিট করে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। মাদরাসার সুপার মাওলানা রইচ উদ্দীন শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে মারধর ঘটনায় অভিভাবকদের সাথে বহুবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০ম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী জানান, মাদরাসার মাঠে ঘাস চাষের কারণে আমাদের মাঠে খেলাধুলা করতে দেয় না। যার ফলে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমরা কখনও জয় লাভ করতে পারি না।

মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান গাজী বলেন, এবতেদায়ী শাখার শিক্ষার্থীর বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খোঁজ নিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানাবো।

এ বিষয়ে গোবরা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা রইচ উদ্দীন বলেন, এবতেদায়ী শাখায় কত জন শিক্ষার্থী আছে সে বিষয়ে আমি সঠিক জানি না। তবে ১০-১২ জন শিক্ষার্থী থাকতে পারে। তাও সঠিক না। এবতেদায়ী শাখা বলতে কোন শাখা নেই, প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণি দাখিলের সাথে। আমাদের নির্দেশনা আছে ২৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১৬ জন শিক্ষক থাকবে এবং কোন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী না থাকলে সমস্যা নেই।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. বাকি বিল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থী না থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কয়রায় মাদ্রাসা আছে শিক্ষার্থী নেই, বেতন নিচ্ছেন শিক্ষকরা!

আপডেট সময় : ০৯:০৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কয়রা (খুলনা) সংবাদদাতা

খুলনার কয়রা উপজেলার গোবরা দাখিল মাদরাসার এবতেদায়ী শাখায় পাঁচ বছরে ভর্তি হয়নি কোন শিক্ষার্থী। অথচ নিয়মিত বেতন ভাতা নিচ্ছেন এবতেদায়ী শাখার শিক্ষকরা। কয়রা সদর ইউনিয়নে গোবরা দাখিল মাদরাসায় দাখিল ও এবতেদায়ী শাখা ২০০১ সাল থেকে চালু আছে। দাখিল শাখা নিয়ম অনুসারে শিক্ষার্থী না থাকলেও, এবতেদায়ী শাখায় ৫ বছরে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। মাদরাসার এক কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি গ্রামে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় গোবরা দাখিল মাদরাসার এবতেদায়ী শাখায় কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয় না বলে না গেছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণিতে কাগজে-কলমে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্র-ছাত্রী থাকার দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে একজন শিক্ষার্থীও নেই বলে দাবি এলাকার শিক্ষার্থী অভিভাবকদের। পাঁচ বছর ধরে ক্লাস না করিয়ে নাম মাত্র একটি ঘর দেখিয়ে সরকারি বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন মাদরাসার এবতেদায়ী শাখার চার জন শিক্ষক।

শুধু শিক্ষার্থীই নয় এ মাদরাসায় খেলার মাঠ থাকলেও শিক্ষার্থীদের খেলতে না দিয়ে মাদরাসার সুপার মাঠে ঘাস চাষ করে বিক্রি করে বলে দাখিল শাখার শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থীরা মাদরাসার মাঠে খেলাধুলা ও ক্লাসে পড়াশুনা না পারলে সুপার মাওলানা রইচ উদ্দীন তাদের বেধম মারপিট করে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। মাদরাসার সুপার মাওলানা রইচ উদ্দীন শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে মারধর ঘটনায় অভিভাবকদের সাথে বহুবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০ম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী জানান, মাদরাসার মাঠে ঘাস চাষের কারণে আমাদের মাঠে খেলাধুলা করতে দেয় না। যার ফলে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমরা কখনও জয় লাভ করতে পারি না।

মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান গাজী বলেন, এবতেদায়ী শাখার শিক্ষার্থীর বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খোঁজ নিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানাবো।

এ বিষয়ে গোবরা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা রইচ উদ্দীন বলেন, এবতেদায়ী শাখায় কত জন শিক্ষার্থী আছে সে বিষয়ে আমি সঠিক জানি না। তবে ১০-১২ জন শিক্ষার্থী থাকতে পারে। তাও সঠিক না। এবতেদায়ী শাখা বলতে কোন শাখা নেই, প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণি দাখিলের সাথে। আমাদের নির্দেশনা আছে ২৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১৬ জন শিক্ষক থাকবে এবং কোন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী না থাকলে সমস্যা নেই।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. বাকি বিল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থী না থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন