১০:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বাণিজ্য মেলায় কোটি টাকার পরী!

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:২১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৫৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জহিরুল হক

শুরু হয়েছে ঢাকা পূর্বাচলে ২৭’তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচলে ৪নং সেক্টরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা চলছে এই মেলা। মেলাকে কেন্দ্র করে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের এক ধরণের অন্যরকম আর্কষণ থাকে। এবারের আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে তুলেছে পরী পালঙ্ক!

এটি কোনো কাল্পনিক গল্পের পরী পালঙ্ক নয়। এবারের বাণিজ্য মেলায় ৪২নং স্টলে ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ তারা পরী পালঙ্ক নামে একটি খাট প্রদর্শন করছেন। যার মূল্য ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা। এই দৃষ্টিনন্দন পরী পালঙ্কটি সেগুনের কাঠ দিয়ে কারুকার্য করা হয়েছে। যার চার কোনায় বড় বড় চারটি পরী ও মাঝারি চারটি পরী, খাটটির দুই প্রান্তে রয়েছে আটটি ছোট ছোট পরী, মোট ১৬ পরী।

বড় চার পরীর হাতে রয়েছে চারটি প্রজাপ্রতি, কানে দুল, গলায় মালা। ওই চারটি পরীর মাথার ওপর থেকে পরষ্পরের সঙ্গে সংযুক্ত কাঠের ফ্রেম। খাগড়াছড়ির গুইমারা ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা কাঠমিস্ত্রি মো. আবু বক্কর (৩৫) খাটটি তৈরি করেছেন। খাটটি তৈরির পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় খাটটি।

খাটটি বাণ্যিজ মেলায় আসার পর ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা সরাসরি একনজর দেখার জন্য স্টলটির সামনে এসে ভিড় করেছে। কেউ বা ছবি তুলে নিচ্ছে। এ খাটটি বানিয়েছেন খাগড়াছরির জেলার গুঁইমারা উপজেলা শহরের মো. নুরুন্নবী। মূলত শখের বসে কাঠমিস্ত্রি আবু বক্করকে দিয়ে খাটটি বানিয়েছেন তিনি। খাটটি বানাতে তার সময় লেগেছে ৩ বছর ২ মাস। এটি তৈরি করতে কাঠ লেগেছে প্রায় ১০০ ঘনফুট। পারিশ্রমিক বাবদ দেওয়া হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। খাটটি সম্পূর্ণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা।

আবু বক্কর কিশোর বয়সে কাঠের শ্রমিক হিসাবে কাজ শুরু করে। তারপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে এখন তিনি গুইমারাতে কাঠমিস্ত্রি হয়ে কাজ করছেন।

ফাতেমা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. নূরন্নবী জানান, শখের বসে খাটটি বানিয়েছি। সম্পূর্ণ হাতে খোদাই করে পরী পালং খাটটি বানানো। বাণিজ্য মেলায় পরী পালঙ্ক দেখতে অনেকে স্টলের সামনে ভিড় করছে, কেউ ছবি তুলছেন। ইতি মধ্যে ৭০ লাখ টাকা বলেছেন। আমি এক কোটি টাকা হলে খাটটি বিক্রি করবো। খাটটি যিনি নিবেন, তার জন্য উপহার হিসাবে থাকবে এফজেট নতুন ভার্সন মোটরসাইকেল ও ১০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণলংকার এবং কপিরাইট সত্যায়িত সার্টিফিকেট।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বাণিজ্য মেলায় কোটি টাকার পরী!

আপডেট সময় : ০৮:২১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জহিরুল হক

শুরু হয়েছে ঢাকা পূর্বাচলে ২৭’তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচলে ৪নং সেক্টরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা চলছে এই মেলা। মেলাকে কেন্দ্র করে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের এক ধরণের অন্যরকম আর্কষণ থাকে। এবারের আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে তুলেছে পরী পালঙ্ক!

এটি কোনো কাল্পনিক গল্পের পরী পালঙ্ক নয়। এবারের বাণিজ্য মেলায় ৪২নং স্টলে ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ তারা পরী পালঙ্ক নামে একটি খাট প্রদর্শন করছেন। যার মূল্য ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা। এই দৃষ্টিনন্দন পরী পালঙ্কটি সেগুনের কাঠ দিয়ে কারুকার্য করা হয়েছে। যার চার কোনায় বড় বড় চারটি পরী ও মাঝারি চারটি পরী, খাটটির দুই প্রান্তে রয়েছে আটটি ছোট ছোট পরী, মোট ১৬ পরী।

বড় চার পরীর হাতে রয়েছে চারটি প্রজাপ্রতি, কানে দুল, গলায় মালা। ওই চারটি পরীর মাথার ওপর থেকে পরষ্পরের সঙ্গে সংযুক্ত কাঠের ফ্রেম। খাগড়াছড়ির গুইমারা ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা কাঠমিস্ত্রি মো. আবু বক্কর (৩৫) খাটটি তৈরি করেছেন। খাটটি তৈরির পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় খাটটি।

খাটটি বাণ্যিজ মেলায় আসার পর ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা সরাসরি একনজর দেখার জন্য স্টলটির সামনে এসে ভিড় করেছে। কেউ বা ছবি তুলে নিচ্ছে। এ খাটটি বানিয়েছেন খাগড়াছরির জেলার গুঁইমারা উপজেলা শহরের মো. নুরুন্নবী। মূলত শখের বসে কাঠমিস্ত্রি আবু বক্করকে দিয়ে খাটটি বানিয়েছেন তিনি। খাটটি বানাতে তার সময় লেগেছে ৩ বছর ২ মাস। এটি তৈরি করতে কাঠ লেগেছে প্রায় ১০০ ঘনফুট। পারিশ্রমিক বাবদ দেওয়া হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। খাটটি সম্পূর্ণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা।

আবু বক্কর কিশোর বয়সে কাঠের শ্রমিক হিসাবে কাজ শুরু করে। তারপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে এখন তিনি গুইমারাতে কাঠমিস্ত্রি হয়ে কাজ করছেন।

ফাতেমা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. নূরন্নবী জানান, শখের বসে খাটটি বানিয়েছি। সম্পূর্ণ হাতে খোদাই করে পরী পালং খাটটি বানানো। বাণিজ্য মেলায় পরী পালঙ্ক দেখতে অনেকে স্টলের সামনে ভিড় করছে, কেউ ছবি তুলছেন। ইতি মধ্যে ৭০ লাখ টাকা বলেছেন। আমি এক কোটি টাকা হলে খাটটি বিক্রি করবো। খাটটি যিনি নিবেন, তার জন্য উপহার হিসাবে থাকবে এফজেট নতুন ভার্সন মোটরসাইকেল ও ১০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণলংকার এবং কপিরাইট সত্যায়িত সার্টিফিকেট।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন