তিন-বার আবেদন করার পরও নিঃশ্ব ইসমাইলের ভাগ্যে জোটেনি মুজিব-বর্ষের ঘর
- আপডেট সময় : ০৫:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৬৯
লালমনিরহাট সংবাদদাতা:
কয়েক দফায় তিস্তার ভাঙনে নিঃস্ব ইসমাইলের ভাগ্যে জোটেনি মজিববর্ষের প্রধানমন্ত্রী’র উপহারের ঘর। তিস্তার কড়াল গ্রাসে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব ইসমাইলের ঠাঁই হয় খাস জমিতে। পুরোনো ছিদ্র টিনের ওপর পলিথিন দিয়ে বানানো ছাপরা ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করলেও জোটেনি মুজিববর্ষে উপহারের ঘর।
তিন সন্তান, বৃদ্ধা মা আর স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতে মুজিববর্ষের ঘর পেতে তিন দফায় আবেদন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর। তবুও মেলেনি একটি ঘর কিংবা ভাঙাচোড়া ঘরটি মেরামতের কোন ব্যবস্থা।
ভূমিহীন ইসমাইল হোসেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে।
ভূমিহীন ইসমাইল হোসেন ও তার প্রতিবেশীরা জানান, চার বছর আগে তিস্তা নদীর কড়াল গ্রাসে অনেকের মতো ইসমাইলদের বসতভিটা ও ফসলি জমিও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে কাশিরাম গ্রামের খাস জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘর তৈরি করেন। সেখানে তিন সন্তান, বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। ঘরের টিনগুলো ছিদ্র হয়ে ভেতরে বৃষ্টির পানি পড়ে। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় নতুন টিন কিনতে পারেননি, টিনের ওপর পলিথিন দিয়ে বৃষ্টি আর শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। দূর থেকে দেখলে ইসমাইলের ঘরটি গোয়াল ঘর মনে হবে। সামান্য কয়েকটা পুরোনো খুঁটির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ঘরটি একটু ঝড়ে দুমড়ে মুচড়ে যেতে পারে, ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও। দিনভর অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে যা মজুরি পান, তা দিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে কাটে তাদের দৈনন্দিন।
লোকমুখে শুনে মুজিববর্ষের ঘর পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তিন তিন বার আবেদন করেছেন। যথাযথভাবে আবেদন করেও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত ঘর কিংবা সহায়তা। অনেকটা ক্ষোভ নিয়ে ইসমাইল হোসেন বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনের সঙ্গে অনেক বিত্তবানও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন। অনেকে ঘর পেয়েও লোক লজ্জায় থাকছেন না। অথচ আমি তিন বার আবেদন করেও একটা ঘর পাইনি। কেউ ঘরটি মোরামত করার ব্যবস্থাও করেনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম বলেন, এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। ভূমিহীন এ পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।