রাজশাহীতে বেড়েছে সবধরনের সবজির দাম
- আপডেট সময় : ১২:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৬০
সোহেল রানা, রাজশাহী:
অতিরিক্ত শীতে সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীতে বেড়েছে সবধরনের সবজির দাম। খাসির মাংস, ডিম, মসলা ও কাঁচা মরিচের দামও বেড়েছে। তবে, মাছ ও মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বুধবার (১১জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী নগরীর প্রধান কাঁচাবাজার মাস্টার পাড়া শালবাগান বাজার নওদাপাড়াকাঁচা বাজার ঘুরে এতথ্য পাওয়া যায়।
বাজারের সবজি বিক্রেতা অতিরিক্ত শীতে সবজির উৎপাদন কম। শীতের কারণে কৃষক বাজারে সবজি আনতেও পারছেন না। তাই, সবধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা করে বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, টমেটো কেজি ৪০, শিম ৩০, দেশি নতুন আলু ৩০, নতুন হল্যান্ড আলু ২৫, শসা ৪০, গাজর ৪০, বেগুন ৩৫, মটরশুটি ৮০, করলা ৪০, পেঁপে ২৫ টাকা কেজি, লাউ ২৫ টাকা পিস, মুলা ১০ টাকা, পেঁয়াজপাতা ১৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, কাঁচ কলা ৩০ টাকা হালি, বরবটি ১০০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা পিস, লেবু ২০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের মাংস ব্যবসায়ী কাছ থেকে জানা যায় আমদানি কম তাই সপ্তাহের ব্যবধানে খাসির মাংস ৪০-৭০ টাকা বেড়ে ৯৫০ টাকা, বকরির মাংস ৮০০-৮৫০ টাকা ও গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারে এক মাছ বিক্রেতা শীত অনেক বেশি। আমদানি কম থাকায় সবধরনের মাছের দাম কিছুটা বাড়তি।
ওই বাজারে বাটা মাছ ১৭০, পাবদা ৪০০, ট্যাংরা ৪৮০, শিং মাছ ৪০০, শোল ৪৮০, বোয়াল ৬০০-৭০০, চিংড়ি ৯০০-১০০০, বাইম ৯৫০, মলা ২৮০, কাকিলা ৬৫০-৭০০, সিলভার কার্প ২৩০-২৬০, কালবাউশ ২৩০-২৬০, ছোট রুই ২২০-২৫০, পাঙাশ ১৩০-১৬০, গ্রাসকার্প ২৩০-২৬০, কাতলা ৪০০-৪৫০, মৃগেল ১৮০-২১০, কাচকি ৩৬০-৪০০ ও চাপিলা মাছ ৩৭০-৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম স্থিতিশীল বলে জানান এক বিক্রেতা তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, সোনালি ১৫০ টাকা, সাদা কক ২৫০ টাকা, লেয়ার ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৪২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের হালিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। হাঁসের ডিম ৬০ টাকা, ফার্মের মুরগির ডিম ৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ৬৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। মদি দোকানের এক বিক্রেতা বলেন ডালের দাম বাড়েনি। তবে, সপ্তাহের ব্যবধানে মসলার দাম বেড়েছে।
তিনি জানান, অ্যাংকর ৬৫ টাকা, বুটের ডাল ৮৫ টাকা, মুগডাল ১১০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ৯২ টাকা, দেশি মসুর ১২০ টাকা, খেসারি ৮০ টাকা, ছোলা ৮২ টাকা, মাসকলাই ১০ টাকা কমে ১৪০ টাকা, চিনি ১১০ টাকা, খোলা আটা ৫৮ টাকা ও প্যাকেট আটা ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া এলাচ ১২০০ টাকা, ইন্ডিয়ান জিরা ১০০ টাকা বেড়ে ৬০০ টাকা, লবঙ্গ কেজিতে ৪০০ টাকা বেড়ে ১৪০০ টাকা, মরিচের গুঁড়া ৩৮০ টাকা, হলুদের গুঁড়া ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকলেও রসুনের দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা বলেন, দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা, চায়না রসুন ১৫-২০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা, দেশি রসুন ১৫-২০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা ও আদা ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মেসার্সের বিক্রেতারা জানান, সয়াবিন ১৮৪ টাকা, পামঅয়েল ১৩০ টাকা, সরিষার তেল ২৬০ টাকা ও নারিকেল তেল ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।