১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

লালমনিরহাটে ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে অপহরণের কয়েক দিনেও উদ্ধার হয়নি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৬০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমনিরহাট সংবাদদাতা:

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ফিল্মি স্টাইলে ভাই চাচাকে কুপিয়ে প্রধান শিক্ষককে উঠিয়ে নিয়ে অপহরণের ৩দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও উদ্ধার হয়নি সেই শিক্ষক। অপহরণকৃত শিক্ষক ৩দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও উদ্ধার না হওয়ায় পুরো জেলা জুড়ে চলছে আলোচনার ঝড়। ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ শিক্ষককে নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজার চায়ের ষ্টোল এমনকি রাস্তা ঘাটে আলোচনার শেষ নেই। অপহরণের এত দিনেও উদ্ধার না হওয়া পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন সাধারণ জনগণ।
অপহরণকৃত শিক্ষককের ছেলে আব্দুর রউফ বলেন, দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমার বাবা অপহরণের দীর্ঘ সময় পার হলেও পুলিশ তার কোন সন্ধান দিতে পারছেনা। এতে আমাদের হতাশা আরও বেড়ে যাচ্ছে। এই তর্থ্য প্রযুক্তির যুগে পুলিশ প্রশাসনের এতোটা সময় লাগছে এটা আমার বোধগর্ম্য নয়। তিনি পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্য আরও বলেন, আপনারা হয়তো চেষ্টা করছেন, তাই আর বিলম্ব না করে অতি দ্রুত আমার বাবাকে উদ্ধার করে আমাদের পরিবারের মাঝে ফিরে দিবেন, এই প্রত্যাশায় করি এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবেন।
প্রসঙ্গগতঃ প্রধান শিক্ষকের সন্ধান চেয়ে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রধান শিক্ষকের ছেলে আব্দুর রউফ। গুম শিক্ষক নুর আমিন (৫০) উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। তিনি দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
আহতরা হলেন, তার ভাই নামুড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন (৪৫) ও তার চাচা পল্লি চিকিৎসক আবু তালেব (৬০)। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন প্রধান শিক্ষক নুর আমিন। ভোর রাতে কালো গ্লাসের দুইটি মাইক্রোতে কয়েকজন গিয়ে গেটে নক করেন। এ সময় ঘুমন্ত থাকায় কেউ গেট খুলেনি। পরে প্রাচির টপকে ভিতরে প্রবেশ করে দরজা ভেঙ্গে প্রথমে নুর আমিনের ছোট ভাই রুহুল আমিনের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্র দেখি পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে তাকে টেনে হেচড়ে বেড় করে। চিৎকার চেচামেচি শুনে নুর আমিন বের হলে তার ভাইকে ছেড়ে দিয়ে নুর আমিনকে টেনে হেচড়ে গাড়িতে তুলে। এ সময় তার চাচা আবু তালেব ও ছোট ভাই রুহুল আমিন গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আটকের চেষ্টা করলে অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে নুর আমিনকে নিয়ে চম্পট দেয় অপহরনকারী চক্রটি। সেই থেকে কোন সন্ধান মেলেনি অপহৃত প্রধান শিক্ষক নুর আমিনের।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত আবু তালেব ও রুহুল আমিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় গুম প্রধান শিক্ষক নুর আমিনের সন্ধান চেয়ে অজ্ঞাত চক্রের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তার ছেলে আব্দুর রউফ।
আদিতমারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্তের জোর চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় গত রবিবার রাতে একটি মামলাও হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। অপরাধীরাও গ্রেফতার হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

লালমনিরহাটে ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে অপহরণের কয়েক দিনেও উদ্ধার হয়নি

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমনিরহাট সংবাদদাতা:

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ফিল্মি স্টাইলে ভাই চাচাকে কুপিয়ে প্রধান শিক্ষককে উঠিয়ে নিয়ে অপহরণের ৩দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও উদ্ধার হয়নি সেই শিক্ষক। অপহরণকৃত শিক্ষক ৩দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও উদ্ধার না হওয়ায় পুরো জেলা জুড়ে চলছে আলোচনার ঝড়। ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ শিক্ষককে নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজার চায়ের ষ্টোল এমনকি রাস্তা ঘাটে আলোচনার শেষ নেই। অপহরণের এত দিনেও উদ্ধার না হওয়া পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন সাধারণ জনগণ।
অপহরণকৃত শিক্ষককের ছেলে আব্দুর রউফ বলেন, দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমার বাবা অপহরণের দীর্ঘ সময় পার হলেও পুলিশ তার কোন সন্ধান দিতে পারছেনা। এতে আমাদের হতাশা আরও বেড়ে যাচ্ছে। এই তর্থ্য প্রযুক্তির যুগে পুলিশ প্রশাসনের এতোটা সময় লাগছে এটা আমার বোধগর্ম্য নয়। তিনি পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্য আরও বলেন, আপনারা হয়তো চেষ্টা করছেন, তাই আর বিলম্ব না করে অতি দ্রুত আমার বাবাকে উদ্ধার করে আমাদের পরিবারের মাঝে ফিরে দিবেন, এই প্রত্যাশায় করি এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবেন।
প্রসঙ্গগতঃ প্রধান শিক্ষকের সন্ধান চেয়ে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রধান শিক্ষকের ছেলে আব্দুর রউফ। গুম শিক্ষক নুর আমিন (৫০) উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। তিনি দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
আহতরা হলেন, তার ভাই নামুড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন (৪৫) ও তার চাচা পল্লি চিকিৎসক আবু তালেব (৬০)। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন প্রধান শিক্ষক নুর আমিন। ভোর রাতে কালো গ্লাসের দুইটি মাইক্রোতে কয়েকজন গিয়ে গেটে নক করেন। এ সময় ঘুমন্ত থাকায় কেউ গেট খুলেনি। পরে প্রাচির টপকে ভিতরে প্রবেশ করে দরজা ভেঙ্গে প্রথমে নুর আমিনের ছোট ভাই রুহুল আমিনের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্র দেখি পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে তাকে টেনে হেচড়ে বেড় করে। চিৎকার চেচামেচি শুনে নুর আমিন বের হলে তার ভাইকে ছেড়ে দিয়ে নুর আমিনকে টেনে হেচড়ে গাড়িতে তুলে। এ সময় তার চাচা আবু তালেব ও ছোট ভাই রুহুল আমিন গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আটকের চেষ্টা করলে অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে নুর আমিনকে নিয়ে চম্পট দেয় অপহরনকারী চক্রটি। সেই থেকে কোন সন্ধান মেলেনি অপহৃত প্রধান শিক্ষক নুর আমিনের।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত আবু তালেব ও রুহুল আমিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় গুম প্রধান শিক্ষক নুর আমিনের সন্ধান চেয়ে অজ্ঞাত চক্রের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তার ছেলে আব্দুর রউফ।
আদিতমারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্তের জোর চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় গত রবিবার রাতে একটি মামলাও হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। অপরাধীরাও গ্রেফতার হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন