রংপুরে গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতার ভিড়, বেড়েছে পোশাকের দাম
- আপডেট সময় : ১১:২৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৬৭
মাটি মামুন, রংপুর:
পৌষের শুরুতেই জেঁকে বসেছে শীত। বেশ কয়েক দিন ধরে এক নাগাড়ে শীতের প্রকোপে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিন দিন তাপমাত্রা কমে আসার ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। যার প্রভাব পড়েছে এলাকার খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষদের ওপর। ফলে কমে গেছে কর্মজীবী অনেক মানুষের আয়ের উৎস। এদিকে শীত থেকে বাঁচতে ফুটপাতে বসা গরম কাপড়ের দোকানগুলোই নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা। রংপুরে গত কয়েক দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হীমেল বাতাস আর কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। শীত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।
শীত বেড়ে যাওয়ায় (১০ জানুয়ারি) মঙ্গলবার হতে নগরীর বিভিন্ন পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। শীত থেকে রক্ষা পেতে নিজের কিংবা পরিবারের সদস্যদের জন্য কাপড় কিনছেন তারা। তবে তবে দাম বেশি হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন ক্রেতারা। রংপুর নগরীর পুরাতন মার্কেটের জন্য বিখ্যাত জামাল মার্কেটে গিয়ে কথা হয় কলেজ শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা মৌ এর সাথে।
তিনি জানান, এই মার্কেটে স্বল্পমূল্যে গরম কাপড় পাওয়া যায়। বিশেষ করে জ্যাকেট, হুডি, মাফলার, টুপি কিন্তু এখানে এসে দেখা যায় প্রতিটি কাপড়ই চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
মৌসুমি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পোশাক। এ কারণে অনেকে চাইলেও কিনতে পারছে না। নগরীর স্টেশন এলাকার গরম কাপড়ের মার্কেটে জ্যাকেট কেনার জন্য কাঙ্ক্ষিত জ্যাকেট খুঁজছিলেন মনা ভট্টাচার্য্য এর মায়ের সঙ্গে।
তিনি বলেন, গত বছর যে জ্যাকেট ২৫০ টাকায় কিনেছি সেই জ্যাকেটই এবার কিনতে হচ্ছে এক হাজার টাকার ওপরে।
বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমদানির ক্ষেত্রে গরম কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের কাছেও বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গতসোমবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুর অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।