নেত্রকোনায় হাওরাঞ্চলে ফসল রক্ষায় কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভা
- আপডেট সময় : ০৫:৪১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৫৮
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:
নেত্রকোনা জেলার আওতাধীন হাওর এলাকাগুলোতে ডুবন্ত বাঁধের ভাঙ্গন বন্ধকরণ /মেরামতকরণ বিষয়ে জেলা কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।জেলার হাওরাঞ্চলের ফসল রক্ষয় ডুবন্ত বাঁধের নির্মাণ এবং মেরামতের লক্ষ্যে চলতি বছরে ৭ উপজেলায় ২০২ টি পিআইসি গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৪৬ টি পিআইসি কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার হাওর এলাকায় ৩৬৫ কিলোমিটার ডুবন্ত বাঁধ রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি’র) মাধ্যমে চলতি বছরে ২৭৫ কিলোমিটার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের জন্য প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ এসেছে ২০ কোটি টাকা। সর্বমোট ২০২ টি পিআইসি এসকল কাজ করবে।
উক্ত প্রকল্প কাজের মধ্যে জেলার খালিয়াজুরীতে পিআইসির ১১১ টির মধ্যে ৭৬ টিতে কাজ চলমান। মদনে ২৪টির মধ্যে কাজ চলমান ১৬ টিতে, মোহনগঞ্জে ২৫ টির মধ্যে কাজ চলমান ২৪ টিতে, কলমাকান্দায় ২৬টির মধ্যে কাজ চলমান ১৫ টিতে, বারহাট্টায় ১০ টির মধ্যে সবকটিতেই কাজ চলমান, পূর্বধলায় ৪ টির মধ্যে সবকটিতে কাজ চলমান এবং আটপাড়া ২টির মধ্যে ১ টিতে কাজ চলমান রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে রবিবার বিকালে হাওরের ডুবন্ত ফসল রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন বন্ধকরণ ও মেরামত করণ বিষয়ে কাবিটা স্কীম বাস্তবায়নের মনিটিং কমিটির সভা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভপতিত্বে কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানান, কমিটির সদস্য সচিব পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশালী মো.সারোয়ার জাহান।
তিনি আরও জানান, সব পিআইসিকে ওয়ার্ক ওডার দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। মোবিলাইজেশন পর্যাপ্ত। পানি পুরোপুরি না কমায় অবশিষ্ট পিআইসি গুলোতে কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে সভায় মনিটরিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে নিজে গিয়ে প্রতিটি বাঁধ পরিদর্শন করে কোন ব্যত্যয় পেলে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। যেখানে কোন সমস্যা পাওয়া যাবে সেখানেই ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানান। এছাড়াও বাঁধের পাশ থেকে যেন কেউ মাটি কাটতে না পারে সেটিও লক্ষ্য রাখতে বলেন।
সভায় অন্যান্য সদস্যদের মউপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ মোহাম্মদ নূরুজাম্মান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মো. নূরুল আমিন, সাংবাদিক আলপনা বেগম, এলজিইডি প্রতিনিধি, জেলা মৎস কর্মকর্তার প্রতিনিধিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় ও সহকারী প্রকৌশলীগণ, জনপ্রতিনিধিবর্গ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।