নেশার টাকার জন্য গৃহবধুকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৮:৫২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৬৩
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:
নেশায় আসক্ত স্বামী নেশার টাকা যোগাড় করতে না পেরে, শ্বশুর বাড়িতে আশ্রিত থাকা জামাই টাকার জন্য কিশোরী গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড স্বামী নাইম হাসান কাজলের বিরুদ্ধে। গত সোমবার রাতে জেলা শহরের পশ্চিম নাগড়া এলাকায় নিজ ঘরে ঘুামিয়ে থাকা অবস্থায় জবাই করার জন্য স্ত্রীর গলায় ছুড়ি চালায় পাষণ্ড স্বামী নাইম। এবং মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে, তখন নাইম (২৫) বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরে ভাড়াটে এবং পরিবারের লোকজন গুঙ্গানির (আত্ম চিৎকার) আওয়াজ পেয়ে নাইমের স্ত্রী নদীকে উদ্ধার করে রাতেই জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী নদীর গলায় ৫১ টি সেলাই করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার খবর পেয়ে নেত্রকোনা জেলা সদর হ্সাপাতালে নদীর আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। সকলেই মাদকাসক্ত পাষন্ড স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
পুলিশ, ভুক্তভোগীর পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় ৭ বছর আগে অনন্দবাজার এলাকার মৃত মানিক মিয়ার ছেলে নাইম হাসন কাজলের সাথে পশ্চিম নাগড়াবাসী আনোয়ার হোসেনর মেয়ে নদী ইসলাম প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। তখন নদীর ছিল বয়স ১৩ অথবা ১৪।
নাইমের সংসার চালানোর অপারগতার কারণে, মেয়ের দুঃখ সইতে না পেরে মেয়ের মায়ায় আনোয়ার হোসেন মেয়ে-জামাই দু’জনকেই নিজের বাড়ি থাকতে দেন। কিন্তু প্রায় সময়ই বেকার কাজল নেশার টাকার জন্য নদীকে নির্যাতন করে আসছিলো। মেয় তা মুখ বুজে সহ্য করে আসছিল।
নদীর উপর অত্যাচারের কারণে নদীর বড় মামা তার বাসায় কয়েক মাস আগে ৫ বছরের নাতনিসহ ভাগ্নিকে নিয়ে যায়। নাইম ক্ষমা চেয়ে হাতে পায়ে ধরে সেখান থেকে নদী এবং তার মেয়েকে নিয়ে আসে। নদীর মামা এবং মা নদীর ভবিষ্যতের জন্য প্রায় অর্ধলক্ষ টাদিয়েছিলেন। আর সেই টাকা ছিনিয়ে নিতেই তাকে এভাবে হত্যার জন্য গলায় ছুড়ি চালায় পাষণ্ড নাইম।
এ ঘটনায় নদীর মা বাদী হয়ে মডেল থানায় ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। নদী বর্তমানে দশম শ্রেণির ছাত্রী।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল ফোনে জানান, আমি ময়মনসিং কোর্টে জরুরী কাজে ব্যস্ত আছি। থানায় মামলা নেয়ার ব্যবস্থা চলছে। তিনি এসেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন থাকলেও আমরা সেবা দিচ্ছি। আদালত থেকে রিপোর্ট চাইলে দেয়া হবে। সে ব্যাপারে আগেই কিছু বলা যাচ্ছে না।