দুর্গাপুর ৩নং ইউপি চেয়ারম্যানের নামে ডিসির কাছে লিখিত অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৮:৫১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৬২
সোহেল রানা, রাজশাহী:
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ৩নং পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী খানের নানা অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
সোমবার (২ জানুয়ারি) পানানগর ইউনিয়নের অন্তত ৩০ জন ব্যাক্তির স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগটি রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার পানানগর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী খান সম্প্রতি যাত্রাপালার আয়োজন করে নেচেগেয়ে ভাইরাল হন। চেয়ারম্যান আজাহারের আপত্তিকর কিছু দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে পানানগর গ্রামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে নাটোর থেকে কয়েকজন নারীকে ভাড়া করে আনা হয়। গভীর রাতে চেয়ারম্যান আজাহার আলী নিজেই মঞ্চে ওঠেন এবং এক পর্যায়ে ভাড়াটে নায়িকার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় মিলিত হন। যা দেখে উপস্থিত নারী-পুরুষরা লজ্বায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এলাকার কিশোরী ও নারীরা জন্মনিবন্ধন সহ নানা কাজে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে থাকেন। কিন্তু তারা পরিষদে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পানানগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে প্রতিকৃতি বিকৃত করে অঙ্কন করা হয়। এ নিয়ে এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ২ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও সামান্য টাকা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করা হয়।
চেয়ারম্যান আজাহার আলীর দলীয় পরিচয় উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়, আজাহার আলী এক সময় ছিলেন উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই ইউপি চেয়ারম্যান হন তিনি।
এদিকে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে ভাড়াটে নারীদের সাথে নেচে-গেয়ে ভাইরাল হওয়ার পর পারিবারিক ও সামাজিকভাবে কিছুটা চাপে রয়েছেন চেয়ারম্যান আজাহার আলী।
এসব অভিযোগ নিয়ে পানানগর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলীর সাথে কথা বলা হলে তিনি দাবি করেন, আমি আগে থেকেই বিভিন্ন যাত্রাপালার সাথে জড়িত আছি। ‘কাশেম মালার প্রেম’, ‘কাজল রেখা’ ও ‘রঙ্গীন রুপবান’ যাত্রাপালায় অভিনয় করেছি। ওইদিন একটা ডুয়েট গান শেষ করে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু কিভাবে কি হলো বুঝলাম না।
সেদিনের ওই ঘটনা নিয়ে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে কিছুটা চাপে আছেন বলেও স্বীকার করেন চেয়ারম্যান আজাহার আলী।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ‘সামান্য বিকৃত’ হয়েছে বলেও স্বীকার করেন চেয়ারম্যান আজহার আলী।
জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে স্থানীয় সরকার আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।