১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মতলবে ৫ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো ছাত্র আন্দোলনে নিহত রাজিবের মরদেহ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মতলব উত্তর প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ভাঙ্গারী ব্যাবসায়ী আরিফুল ইসলাম রাজিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। পরে গাজীপুর থেকে তার মরদেহ এনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মতলব উত্তরের রাঢ়ীকান্দি গ্রামের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় গাজীপুরের গাছা থানায় মামলা হওয়াই আদালতের নির্দেশে ৪ মাস ২৮ দিন পর মরদেহটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

নিহত আরিফুল ইসলাম রাজিবের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের টরকী এওয়াজ গ্রামে। তার বাবা রজ্জব প্রধান। আরিফের স্ত্রী শরিফা বেগম ছাড়াও ৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম নামে একমাত্র পুত্র সন্তান রয়েছে।

জানা গেছে, আরিফুর ইসলাম রাজিব নিহতের ঘটনায় গত (২১ আগষ্ট) গাজীপুরের গাছা থানায় তার পিতা রজ্জব প্রধান বাদী হয়ে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, মোজাম্মেল হক, জাহাঙ্গীর আলম সহ ৪৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলার প্রেক্ষিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন চীফ জুডিশিয়াল আদালত মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আদেশ দেন। ওই আদেশে বুধবার রাঢ়ীকান্দি গ্রামের কবরস্থান থেকে আরিফের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এসময় মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট হিল্লোল চাকমা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুরের গাছা থানার উপ-পরিদর্শক সুমন খান, মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাজিমুদ্দিন সহ সময় নিহতের পরিবার ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুরের গাছা থানার উপ-পরিদর্শক সুমন খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চালাকালীন সময়ে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরিফুল ইসলাম রাজিব মারা যান। তখন ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছিল। পরে এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে তার মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আবারও মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সহকারী কমিশনার ভূমি (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট হিল্লোল চাকমা বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে আরিফুল ইসলাম রাজিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহটি চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রেরণ করা হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মতলবে ৫ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো ছাত্র আন্দোলনে নিহত রাজিবের মরদেহ

আপডেট সময় : ০৬:২৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মতলব উত্তর প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ভাঙ্গারী ব্যাবসায়ী আরিফুল ইসলাম রাজিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। পরে গাজীপুর থেকে তার মরদেহ এনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মতলব উত্তরের রাঢ়ীকান্দি গ্রামের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় গাজীপুরের গাছা থানায় মামলা হওয়াই আদালতের নির্দেশে ৪ মাস ২৮ দিন পর মরদেহটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

নিহত আরিফুল ইসলাম রাজিবের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের টরকী এওয়াজ গ্রামে। তার বাবা রজ্জব প্রধান। আরিফের স্ত্রী শরিফা বেগম ছাড়াও ৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম নামে একমাত্র পুত্র সন্তান রয়েছে।

জানা গেছে, আরিফুর ইসলাম রাজিব নিহতের ঘটনায় গত (২১ আগষ্ট) গাজীপুরের গাছা থানায় তার পিতা রজ্জব প্রধান বাদী হয়ে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, মোজাম্মেল হক, জাহাঙ্গীর আলম সহ ৪৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলার প্রেক্ষিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন চীফ জুডিশিয়াল আদালত মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আদেশ দেন। ওই আদেশে বুধবার রাঢ়ীকান্দি গ্রামের কবরস্থান থেকে আরিফের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এসময় মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট হিল্লোল চাকমা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুরের গাছা থানার উপ-পরিদর্শক সুমন খান, মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাজিমুদ্দিন সহ সময় নিহতের পরিবার ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুরের গাছা থানার উপ-পরিদর্শক সুমন খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চালাকালীন সময়ে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরিফুল ইসলাম রাজিব মারা যান। তখন ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছিল। পরে এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে তার মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আবারও মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সহকারী কমিশনার ভূমি (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট হিল্লোল চাকমা বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে আরিফুল ইসলাম রাজিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহটি চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রেরণ করা হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন