১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

কয়রায় নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোক্তার হোসেন,খুলনা:

আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশসহ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নাম জানান দেয়ার দিন। ১৯৭১সালের এদিনে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। ৯ মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সূচিত হয় মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্যে দিয়ে এলো হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ৩০ লাখ শহীদের আত্মাত্যাগের ও ২ লক্ষ্য মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।এই ধারাবাহিকতায় খুলনার কয়রায় নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।

আজ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬ টায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কয়রা উপজেলা কমান্ড, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রেসক্লাব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কয়রা ব্লাড ব্যাংক, কয়রা ফুড ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও’র পক্ষেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) কয়রা উপজেলা শাখার পক্ষে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা গেছে। শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা যায়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কয়রা উপজেলা শাখা। তবে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় পাতাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে জামায়াতের কয়রা উপজেলা শাখার আমির সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে সকাল ৮ টায় উপজেলা পরিষদের মাঠে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্য ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ক্রীড়া অনুষ্ঠান শেষে সকাল ১১ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কয়রা উপজেলা বিএনপির পাল্টাপাল্টি শ্রদ্ধা নিবদনের বিষয়ে খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ দল। এখানে বিভক্তির কোনো সুযোগ নেই।বিজয় দিবসে কয়রা বিএনপির পাল্টাপাল্টি শ্রদ্ধা নিবেদন আমার জানা নেই। তবে জাতীয় প্রোগ্রামে এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই দলীয় ভাবে আলোচনা করে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কয়রা উপজেলা কমান্ডের আহবায়ক জি এম মাওলা বক্স বলেন, স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনি।নয় মাস পাক বাহিনীর সাথে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিজয় সুনিশ্চিত করতে ৩০ লক্ষ মানুষের শহীদ হতে হয়েছে। ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হানি করতে হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কয়রায় নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত

আপডেট সময় : ০৭:১৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোক্তার হোসেন,খুলনা:

আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশসহ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নাম জানান দেয়ার দিন। ১৯৭১সালের এদিনে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। ৯ মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সূচিত হয় মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্যে দিয়ে এলো হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ৩০ লাখ শহীদের আত্মাত্যাগের ও ২ লক্ষ্য মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।এই ধারাবাহিকতায় খুলনার কয়রায় নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।

আজ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬ টায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কয়রা উপজেলা কমান্ড, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রেসক্লাব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কয়রা ব্লাড ব্যাংক, কয়রা ফুড ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও’র পক্ষেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) কয়রা উপজেলা শাখার পক্ষে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা গেছে। শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা যায়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কয়রা উপজেলা শাখা। তবে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় পাতাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে জামায়াতের কয়রা উপজেলা শাখার আমির সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে সকাল ৮ টায় উপজেলা পরিষদের মাঠে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্য ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ক্রীড়া অনুষ্ঠান শেষে সকাল ১১ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কয়রা উপজেলা বিএনপির পাল্টাপাল্টি শ্রদ্ধা নিবদনের বিষয়ে খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ দল। এখানে বিভক্তির কোনো সুযোগ নেই।বিজয় দিবসে কয়রা বিএনপির পাল্টাপাল্টি শ্রদ্ধা নিবেদন আমার জানা নেই। তবে জাতীয় প্রোগ্রামে এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই দলীয় ভাবে আলোচনা করে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কয়রা উপজেলা কমান্ডের আহবায়ক জি এম মাওলা বক্স বলেন, স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনি।নয় মাস পাক বাহিনীর সাথে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিজয় সুনিশ্চিত করতে ৩০ লক্ষ মানুষের শহীদ হতে হয়েছে। ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হানি করতে হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন