মতলবে সরিষা ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন
- আপডেট সময় : ০১:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৪৪
মমিনুল ইসলাম:
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার ফলে দিন দিন বাড়ছে সরিষার তেলের চাহিদা। একই সঙ্গে দাম ভালো পাওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। এছাড়া স্বল্প সময়ে চাষযোগ্য, উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় সাথী ফসল হিসেবে জমিতে সরিষা উৎপাদনে ঝুঁকেছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে এ উপজেলার ১টি পৌরসভা এবং ১৪টি ইউনিয়নে বারি-১৪ ও বারি -১৭, টরি-৭, বিনা-৪, বিনা-৯ সহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ আরও বাড়তে পারে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই কম বেশি সরিষার চাষ করা হয়েছে। উন্নত জাত ও দেশীয় জাতের রাই, চৈতা ও মাঘি সরিষার বীজ বপন করছেন কৃষকরা। তবে প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে উন্নত জাতের বারি-১৪ ও বারি-১৭ ফলন বেশি হওয়ায় এ দুই জাতের সরিষা চাষে বেশি আগ্রহী বলে জানান কৃষকরা।
সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়নের জামালকান্দি গ্রামের কৃষাণী রহিমা বেগম জানান, আমার স্বামী সিদ্দিক বেপারী কয়েক বছর আগে মারা গেছে। এখন পরিবারের উপার্জনকারী আমি। সংসার ও আমার বাচ্চাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পদ ও অন্যের জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত করি। এ বছর আমি ধনাগোদা নদীর তীরে ২০ শতাংশ জমিতে সরিষার ক্ষেত করেছিল। আমার ক্ষেতের সরিষার ফুল ফুটেছে, আশা করছি অন্য বছরের তুলনায় এইবার ভালো ফলন হবে। তিনি আরও জানান, কৃষি অফিস থেকে যদি আমকে বীজ ও সার দিয়ে সাহায্য করে তা হলে আমার অনেকে উপকার হইত।
ছেংগারচর পৌরসভার কৃষক খোকন সরকার জানান, আমি উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তা ও পরামর্শে ৫০ শতাংশ জমিতে এবছর সরিষা আবাদ করেছি। আমার জমির সরিষা ক্ষেতে এখনো ফুল ফোটেনি। আশাকরি এ বছর ভালো ফলন হবে এবং লাভবান হব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, গত বছরের তুলনায় এবার মতলব উত্তরে সরিষা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন জাতের সরিষার ওপর ১০৩টি প্রদর্শনী ও ৬৫০ জন কৃষককে সরিষা চাষে সরকারি প্রণোদনা এবং বীজ সহায়তা দেওয়া হয়েছে ১৯৫ জন কৃষকে বীজ দেওয়া হয়েছে। সরিষার আবাদ বাড়াতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।