০৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় অপহরণ চেষ্টা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৭৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা

আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নুর হোসনের ছোট ভাই নুরুজ্জামান জজ ওরফে ছোট মিয়ার বিরুদ্ধে একজন পরিবহন শ্রমিক নেতাকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে জজ মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগকারী নোমান হোসেন টুটুলকে ২১ ডিসেম্বর রাত ১১ টার দিকে শিমরাইল এলাকা থেকে অপহরণ করার চেষ্টা চালায় জজ মিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এঘটনায় টুটুল বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন রাতে শিমরাইল সাজেদা হাসপাতাল সংলগ্ন নিজ অফিসে লোকজন নিয়ে ব্যবসায়ীক আলোচনা করছিলেন বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন শিমরাইল শাখার সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন টুটুল। এসময় নূরুজ্জামান জজ মিয়ার নেতৃত্বে তিনটি গাড়ি দিয়ে সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র টুটুল ও তার অফিস সহকারি মামুনকে জোর করে টেনে হেঁচরে গাড়িতে তুলে। তখন আশপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।

সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে যায়। তখন সন্ত্রাসীরা তাদের রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় গাড়ি কেনার জন্য অফিসে থাকা ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। এঘটনায় নূরুজ্জামান জজ, রফিকুল ইসলাম রতন, ফারুক ওরফে কানা ফারুক, সিদ্দিক, কাশেম, করিম, শামীম ও হৃদয়ের নাম উল্লেখ আর ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন টুটুল।

জানা গেছে, আলোচিত নূর হোসেনের প্রধান আস্তানা সেই শিমরাইল ট্রাক টার্মিনাল এখন নিয়ন্ত্রন করছেন জজ মিয়া। এক সময়ের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী জজ মিয়া বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন শিমরাইল শাখা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মটর চালক লীগের সভাপতি হয়েই ট্রাকা টার্মিনাল দখলে নেয়। সাত খুনের পর সে অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছিল ঠিক সেই খানেই আন্ত:জেলা অফিস নির্মাণ করে ট্রাক টার্মিনাল ও আশপাশ এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি শুরু করে জজ মিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।

আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের (রেজি নং-১৬৬৫) নিয়মে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করে কোন চাঁদাবাজি করা যাবে না। অথচ জজ বাহিনী সংগঠনের সদস্যদের কল্যাণ তহবিলের নামে গাড়ি প্রতি দৈনিক ৫০ টাকা, অফিস খরচ বাবদ ১২০ টাকা চাঁদা আদায় করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান (পিক-আপ) মালিক সমিতির নামে ৫০ টাকা, পার্কিং ও মাঠ সংস্করণ নামে ৫০ টাকা, গাড়ি বের হলে ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। ট্রার্মিনাল ছাড়াও কাঁচপুর ব্রিজের নিচে, শিমরাইল ড্যানিশ মোড়ে থেকেও চাঁদা উঠাচ্ছে।

নোমান হোসেন টুটুল জানায়, জজ বাহিনীর চাঁদাবাজির বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও র‌্যাব-১১ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করি। এর জের ধরে জজ বাহিনী আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্যই জজ বাহিনী অপহরণ করার চেষ্টা চালিয়েছে বলে ধারনা হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় অপহরণ চেষ্টা

আপডেট সময় : ০৮:০১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা

আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নুর হোসনের ছোট ভাই নুরুজ্জামান জজ ওরফে ছোট মিয়ার বিরুদ্ধে একজন পরিবহন শ্রমিক নেতাকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে জজ মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগকারী নোমান হোসেন টুটুলকে ২১ ডিসেম্বর রাত ১১ টার দিকে শিমরাইল এলাকা থেকে অপহরণ করার চেষ্টা চালায় জজ মিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এঘটনায় টুটুল বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন রাতে শিমরাইল সাজেদা হাসপাতাল সংলগ্ন নিজ অফিসে লোকজন নিয়ে ব্যবসায়ীক আলোচনা করছিলেন বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন শিমরাইল শাখার সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন টুটুল। এসময় নূরুজ্জামান জজ মিয়ার নেতৃত্বে তিনটি গাড়ি দিয়ে সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র টুটুল ও তার অফিস সহকারি মামুনকে জোর করে টেনে হেঁচরে গাড়িতে তুলে। তখন আশপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।

সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে যায়। তখন সন্ত্রাসীরা তাদের রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় গাড়ি কেনার জন্য অফিসে থাকা ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। এঘটনায় নূরুজ্জামান জজ, রফিকুল ইসলাম রতন, ফারুক ওরফে কানা ফারুক, সিদ্দিক, কাশেম, করিম, শামীম ও হৃদয়ের নাম উল্লেখ আর ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন টুটুল।

জানা গেছে, আলোচিত নূর হোসেনের প্রধান আস্তানা সেই শিমরাইল ট্রাক টার্মিনাল এখন নিয়ন্ত্রন করছেন জজ মিয়া। এক সময়ের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী জজ মিয়া বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন শিমরাইল শাখা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মটর চালক লীগের সভাপতি হয়েই ট্রাকা টার্মিনাল দখলে নেয়। সাত খুনের পর সে অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছিল ঠিক সেই খানেই আন্ত:জেলা অফিস নির্মাণ করে ট্রাক টার্মিনাল ও আশপাশ এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি শুরু করে জজ মিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।

আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের (রেজি নং-১৬৬৫) নিয়মে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করে কোন চাঁদাবাজি করা যাবে না। অথচ জজ বাহিনী সংগঠনের সদস্যদের কল্যাণ তহবিলের নামে গাড়ি প্রতি দৈনিক ৫০ টাকা, অফিস খরচ বাবদ ১২০ টাকা চাঁদা আদায় করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান (পিক-আপ) মালিক সমিতির নামে ৫০ টাকা, পার্কিং ও মাঠ সংস্করণ নামে ৫০ টাকা, গাড়ি বের হলে ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। ট্রার্মিনাল ছাড়াও কাঁচপুর ব্রিজের নিচে, শিমরাইল ড্যানিশ মোড়ে থেকেও চাঁদা উঠাচ্ছে।

নোমান হোসেন টুটুল জানায়, জজ বাহিনীর চাঁদাবাজির বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও র‌্যাব-১১ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করি। এর জের ধরে জজ বাহিনী আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্যই জজ বাহিনী অপহরণ করার চেষ্টা চালিয়েছে বলে ধারনা হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন