১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মতলবে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, ১০ দিনে ৩৬ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৯১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মমিনুল ইসলাম :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলতি মাসের ১০ দিনে বছরের সর্বোচ্চ ৩৬ জন এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু সংক্রমণের স্বাভাবিক গতি-প্রকৃতি অনুসারে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কথা থাকলেও উল্টো বাড়ছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেছে।

এদিকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। গত সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

চলতি সপ্তাহেও ভর্তি হয়েছেন ২১ জন ডেঙ্গু রোগী। হাসপাতালের সিট সংখ্যা সীমিত হওয়ায় হাসপাতালে ঠাঁই হচ্ছেনা সকলের। এদের মাঝে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেকের।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ ওয়ার্ডে মশারি টানিয়ে চলছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা। একইসঙ্গে হঠাৎ করে প্রতিদিন বাড়ছে মশার উপদ্রব। বাসাবাড়ি, অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্নস্থানে অনেক ক্ষেত্রে কয়েল কিংবা স্প্রে দিয়েও কমানো যাচ্ছে না মশা।

হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে জ্বরসহ মশাবাহিত রোগে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষ। সকাল হলে হাসপাতালে টিকিট কেটে চিকিৎসা নিতে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয় সাধারণ মানুষের, যাদের মধ্যে অধিকাংশই জ্বরে আক্রান্ত।

সরেজমিনে মতলব উত্তরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহ হতে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। স্বচ্ছ পানির ময়লার ড্রেন ও বাসাবাড়ির বিভিন্ন স্থানে জমাট বাঁধা পানিসহ বিভিন্ন জলাশয় এখন হয়ে উঠেছে এডিস মশার বংশ বিস্তারের কেন্দ্রবিন্দু।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, ছেংগারচর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিগত সময়ে লোক-দেখানো মশা নিধন কার্যক্রম চলত মাঝেমধ্যেই। এখন তাও নেই, এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রমও।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক ডা. মোবারক হোসেন (মামুন) জানান, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে উপজেলায় বেড়ে চলেছে মশার উপদ্রব। বাসাবাড়িসহ একাধিক স্থানে ও জমাট বাঁধা পানি নিষ্কাশনে কর্তৃপক্ষের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঠেকানো যাচ্ছে না মশার বংশবিস্তার। তাই গড়ে প্রতিদিন মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ। তাই মশক নিয়ন্ত্রণে উপজেলার স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হাসিবুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েই চলেছে। উপজেলায় দ্রুত বাড়ছে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ আসছে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে। এদের মধ্যে অধিকাংশ দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মতলবে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, ১০ দিনে ৩৬ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মমিনুল ইসলাম :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলতি মাসের ১০ দিনে বছরের সর্বোচ্চ ৩৬ জন এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু সংক্রমণের স্বাভাবিক গতি-প্রকৃতি অনুসারে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কথা থাকলেও উল্টো বাড়ছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেছে।

এদিকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। গত সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

চলতি সপ্তাহেও ভর্তি হয়েছেন ২১ জন ডেঙ্গু রোগী। হাসপাতালের সিট সংখ্যা সীমিত হওয়ায় হাসপাতালে ঠাঁই হচ্ছেনা সকলের। এদের মাঝে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেকের।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ ওয়ার্ডে মশারি টানিয়ে চলছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা। একইসঙ্গে হঠাৎ করে প্রতিদিন বাড়ছে মশার উপদ্রব। বাসাবাড়ি, অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্নস্থানে অনেক ক্ষেত্রে কয়েল কিংবা স্প্রে দিয়েও কমানো যাচ্ছে না মশা।

হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে জ্বরসহ মশাবাহিত রোগে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষ। সকাল হলে হাসপাতালে টিকিট কেটে চিকিৎসা নিতে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয় সাধারণ মানুষের, যাদের মধ্যে অধিকাংশই জ্বরে আক্রান্ত।

সরেজমিনে মতলব উত্তরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহ হতে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। স্বচ্ছ পানির ময়লার ড্রেন ও বাসাবাড়ির বিভিন্ন স্থানে জমাট বাঁধা পানিসহ বিভিন্ন জলাশয় এখন হয়ে উঠেছে এডিস মশার বংশ বিস্তারের কেন্দ্রবিন্দু।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, ছেংগারচর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিগত সময়ে লোক-দেখানো মশা নিধন কার্যক্রম চলত মাঝেমধ্যেই। এখন তাও নেই, এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রমও।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক ডা. মোবারক হোসেন (মামুন) জানান, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে উপজেলায় বেড়ে চলেছে মশার উপদ্রব। বাসাবাড়িসহ একাধিক স্থানে ও জমাট বাঁধা পানি নিষ্কাশনে কর্তৃপক্ষের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঠেকানো যাচ্ছে না মশার বংশবিস্তার। তাই গড়ে প্রতিদিন মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ। তাই মশক নিয়ন্ত্রণে উপজেলার স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হাসিবুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েই চলেছে। উপজেলায় দ্রুত বাড়ছে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ আসছে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে। এদের মধ্যে অধিকাংশ দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন