১০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

মাদক কারবারিদের ছাড়াতে সমন্বয়ক পরিচয়ে তদবির

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:০৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে পৌরশহরের বার্ত্তারগাতী এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে ইয়াবা ও হেরোইনসহ দুই পেশাদার মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। মোহনগঞ্জ পৌরশহরের বার্ত্তারগাতী এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইয়াবা ও হেরোইনসহ তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের তল্লাশি করে ১০ পিস ইয়াবা ও ১ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, পৌরশহরের দেওথান এলাকার তফছির মিয়া (৩৭) ও টেংগাপাড়া এলাকার শাহীন খান পাঠান ওরফে রেনু পাঠান (৫২)। পুলিশ জানায়, আটককৃত দুই জনের মধ্যে তফছির মিয়ার বিরুদ্ধে ১৩টি ও শাহীন খান পাঠান ওরফে রেনু পাঠানের বিরুদ্ধে ৭টি মাদকের মামলা রয়েছে।

মাদক ব্যবসায়ীদের আটকের পর ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে স্থানীয় কয়েকজন তাদের ছাড়ানোর জন্য তদবির নিয়ে থানায় জড়ো হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। পরে বিএনপি’র স্থানীয় নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

মোহনগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল হাসান সুমন জানান, মাদক কেনা-বেচার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে পৌরশহরের বার্ত্তারগাতী এলাকায় আমার নেতৃত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। এসময় সেখানে তফছির মিয়া ও শাহীন খান পাঠান দুজনকে পেয়ে তাদের তল্লাশি করে ১০ পিস ইয়াবা ও ১ গ্রাম হেরোইন পাওয়ার পর তাদের আটক করা হয়।

মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযানে আটক হওয়া দুই মাদক কারবারিকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য সমন্বয়ক পরিচয়ে ১০-১২জন যুবক রাতে থানায় এসে আবদার জানায়। পরে মাদকের বিরুদ্ধে কোনো আপোষ নেই বলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।

ওসি আরও বলেন, ওই দুই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে ওসি ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের নাম বলতে রাজি হননি তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্ণায়েন বলেন, ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কিছু যুবক মাদক কারবারিদের থানা থেকে ছাড়াতে গিয়েছিল। ওরা মাদক কারবারিদের সহযোগী, তারা কোনো ছাত্র সমন্বয়ক নয়। খবর শুনে আমরা দ্রুত থানায় গিয়ে ওই যুবকদের বিদায় করে দেই। বিষয়টা খুবই বিব্রতকর।

তিনি আরও বলেন,আমাদের উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করতে হবে। যেকোনো পরিচয় নিয়ে তদবির করলেও মাদকের বিষয়ে আপোষ করার সুযোগ নেই।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মাদক কারবারিদের ছাড়াতে সমন্বয়ক পরিচয়ে তদবির

আপডেট সময় : ০৬:০৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে পৌরশহরের বার্ত্তারগাতী এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে ইয়াবা ও হেরোইনসহ দুই পেশাদার মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। মোহনগঞ্জ পৌরশহরের বার্ত্তারগাতী এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইয়াবা ও হেরোইনসহ তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের তল্লাশি করে ১০ পিস ইয়াবা ও ১ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, পৌরশহরের দেওথান এলাকার তফছির মিয়া (৩৭) ও টেংগাপাড়া এলাকার শাহীন খান পাঠান ওরফে রেনু পাঠান (৫২)। পুলিশ জানায়, আটককৃত দুই জনের মধ্যে তফছির মিয়ার বিরুদ্ধে ১৩টি ও শাহীন খান পাঠান ওরফে রেনু পাঠানের বিরুদ্ধে ৭টি মাদকের মামলা রয়েছে।

মাদক ব্যবসায়ীদের আটকের পর ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে স্থানীয় কয়েকজন তাদের ছাড়ানোর জন্য তদবির নিয়ে থানায় জড়ো হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। পরে বিএনপি’র স্থানীয় নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

মোহনগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল হাসান সুমন জানান, মাদক কেনা-বেচার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে পৌরশহরের বার্ত্তারগাতী এলাকায় আমার নেতৃত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। এসময় সেখানে তফছির মিয়া ও শাহীন খান পাঠান দুজনকে পেয়ে তাদের তল্লাশি করে ১০ পিস ইয়াবা ও ১ গ্রাম হেরোইন পাওয়ার পর তাদের আটক করা হয়।

মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযানে আটক হওয়া দুই মাদক কারবারিকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য সমন্বয়ক পরিচয়ে ১০-১২জন যুবক রাতে থানায় এসে আবদার জানায়। পরে মাদকের বিরুদ্ধে কোনো আপোষ নেই বলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।

ওসি আরও বলেন, ওই দুই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে ওসি ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের নাম বলতে রাজি হননি তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্ণায়েন বলেন, ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কিছু যুবক মাদক কারবারিদের থানা থেকে ছাড়াতে গিয়েছিল। ওরা মাদক কারবারিদের সহযোগী, তারা কোনো ছাত্র সমন্বয়ক নয়। খবর শুনে আমরা দ্রুত থানায় গিয়ে ওই যুবকদের বিদায় করে দেই। বিষয়টা খুবই বিব্রতকর।

তিনি আরও বলেন,আমাদের উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করতে হবে। যেকোনো পরিচয় নিয়ে তদবির করলেও মাদকের বিষয়ে আপোষ করার সুযোগ নেই।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন