চাচা হত্যার অভিযোগে ভাতিজা গ্রেপ্তার
- আপডেট সময় : ০৭:৫২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৭০
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার পূর্বধলায় মসজিদের ইমামতি নিয়ে দ্বন্দ্বে আপন চাচা হাসিম উদ্দিনকে (৬৫) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় অভিযুক্ত ভাতিজা শাহজাহানকে (৩৫) ঢাকার ধামরাই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার সকালে ঢাকার ধামরাই এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া শাহজাহান পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের জটিয়াবর গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের ছেলে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার ফজরের নামাজের ইমামতি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে চাচা হাসিম উদ্দিনকে (৬৫) কিলঘুষি দেন শাহজাহান। তাতে ঘটনাস্থলেই হাসিম উদ্দিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত হাসিম উদ্দিনের স্ত্রী মাজেদা খাতুন বাদী হয়ে শাহজাহানকে একমাত্র আসামি করে পূর্বধলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান শাহজাহান।
মামলার বরাত ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জটিয়াবর মধ্যপাড়া জামে মসজিদের নির্ধারিত ইমাম মাওলানা শামীম হোসেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রায়ই মসজিদে নামাজ পড়াতেন হাসিম উদ্দিনের ছেলে হাফেজ মো. আজিজুল হক (৩৫)। গত মঙ্গলবার ফজরের নামাজ পড়ানোর সময় ইমাম মাওলানা শামীম হোসেন অনুপস্থিত ছিলেন। এ সময় আজিজুল হক নামাজ পড়াতে গেলে চাচাতো ভাই শাহজাহান মিয়া তাতে আপত্তি তোলেন। আজিজুল ও শাহজাহানের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। আজিজুলের পেছনে নামাজ না পড়ে মসজিদের বারান্দায় একা নামাজ আদায় করেন শাহজাহান।
নামাজ শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে আজিজুল ও শাহজাহানের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় আজিজুলের বাবা হাসিম উদ্দিন উভয়কে থামতে বললে ভাতিজা শাহজাহান তার প্রতি চড়াও হন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শাহজাহান হাসিম উদ্দিনকে বেধরক কিল-ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান। হাসিম উদ্দিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর লোকজন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানায়, শাহজাহান এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলে তাঁকে গ্রেপ্তারে জেলা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদের নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়। গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শাহজাহানের অবস্থা ঢাকার ধামরাই এলাকার মালঞ্চ গ্রামে সনাক্ত করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শাহানুর আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।