শাসক নয়,সেবক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন সদরের ইউএনও আরিফুল ইসলাম
- আপডেট সময় : ১০:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৬২
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :
শাসক হিসাবে নয়,সেবক হিসাবে নাগরিকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম প্রিন্স । এমন দাবী উঠেছে উপজলার সেবা গ্রহীতা নাগরিক ও সুশীল সমাজের মাঝে।
শিক্ষাবিধদের মতে-ময়মনসিংহ ইউএনও’র হস্তক্ষেপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে উপজেলার সকল সরকারী -বেসরকারী, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এখন প্রায় দূর্ণীতিমুক্ত বলা যায়। পাল্টে যাচ্ছে সদরে বিভিন্ন সেক্টরের সরকারি -বেসরকারি কার্যক্রমের চিত্র।
ইউএনও’র কঠোর নির্দেশনার ফলে একদিকে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরেও সেবা গ্রহীতারা হয়রানিমুক্ত সেবা পাচ্ছে , অপরদিকে বাল্যবিবাহ, মাদক,ইভটিজিং মুক্ত উপজেলা গড়তে কাজ করছেন তিনি।
শাসক হিসাবে নয়, তিনি একজন সেবক হিসাবে নাগরিকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কর্মকর্তা হিসাবে নয়, সাধারণ মানুষের বন্ধু হিসাবেই সব সময়ই পাশে থাকছেন। সর্বোপরি তিনি পেশাদারিত্ব ও মানবিক একজন মানুষ হিসাবে অল্প কিছু দিনেই আপামর জনতার কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে স্থান করে নিয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে,৩৫ বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার সার্ভিসে কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর তার কঠোর নজরদারী, বুদ্ধিমত্তা এবং যুগান্তকারী পদক্ষের ফলে উপজেলাবাসীর মধ্যে এক প্রকার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে। তার কঠোর হস্তক্ষেপের কারনে বন্ধ হয়ে গেছে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দূর্ণীতি।
ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর কঠোরতার ভয়ে বাল্যবিয়ে প্রায় বন্ধ, থমকে পড়েছে শালিশ-বিচার,কার্ড,ভাতার নামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অর্থবানিজ্য। কমে গেছে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ব। উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের ভয়ে এলাকায় অপরাধমুলক কর্মকান্ড নেই বলেল চলে। বিশেষ করে ইউএনও’র যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে। গত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিতিশীলতা দেখা দিেেলও ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখা-পড়া এখন স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে এসেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এহেন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এক শ্রেনীর কুচক্রি মহল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও তিনি তা শক্ত হাতে প্রতিহত করে দূর্ণীতি, সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত সদর গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে চলেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান থেকে শুরু করে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে যেন এক ধরনের আতংক বিরাজ করছিলো। তবে এখন আর সেই আতঙ্কিত পরিবেশ নেই। যে কারনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সময়মত প্রতিষ্ঠানে হাজির ও ক্লাসদানে বাধ্য হচ্ছেন।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স জানান, তিনি শিক্ষার বিষয় নিয়ে খুবই তৎপর। তিনি চান সদর উপজেলার শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষকদের পাঠদান শুনে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করে সুশিক্ষিত হয়। কেউ যেন নকল করে বা অসাধুভাবে পাশ করে বের না হয়। তার যোগ্যতা অনুযায়ী পাশ করে বের হতে পারে। এই কারনে সকল পরিক্ষা কেন্দ্রে সি.সি ক্যামেরা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে কেউ না পড়ে পরীক্ষা দিতে এসে অন্যের খাতা দেখে লেখার কোন সুযোগ না পায়।
তিনি আরো বলেন, তিনি সদরে থাকা কালীন যে সকল শিক্ষার্থীরা বের হবে তারা একেকটা রত্ন হয়ে বের হবে। অনেকেই তার কাজের সমালোচনা করে। কিন্তু গত ৩মাসে তিনি শিক্ষার বিষয়ে যে কাজগুলো করছেন সেটা মানুষের জন্য করছেন। ছাত্রদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মে উজ্জ্বলের জন্য কাজ করছেন। আগে ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজের নাম করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াত আর এখন সেটা বন্ধ হয়েছে। শতভাগ পাশের জন্য তিনি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ম করে দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। শিক্ষার্থীরা যদি স্কুল-কলেজের সকল ক্লাসে উপস্থিত থাকে তাহলে তার প্রাইভেট ক্লাসের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবেনা। ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলের জন্য তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
মো.আরিফুল ইসলাম প্রিন্স ৩৫তম বিসিএস (প্রশাসন)-এর একজন কর্মকর্তা।তিনি বরগুনা জেলার একজন বাসিন্দা। ময়মনসিংহ সদরে যোগদানের পূর্বে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি বরিশালের গৌড়নদী উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছিলেন। পরে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে সেখান থেকে তাকে প্রথমে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ও পরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আরিফুল ইসলাম প্রিন্স আরো বলেন, সকলের সহযোগিতায় বিভাগীয় ময়মনসিংহের গুরুত্বপুর্ণ এ উপজেলাকে আরো সমৃদ্ধ করতে সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করব। ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসনকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলবো। এছাড়া আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে এ উপজেলার মানুষের পাশে থাকবো। এজন্য জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম কর্মীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।