১০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

কয়রায় টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে মৎস্য ঘের, আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:১০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোক্তার হোসেন, খুলনা :

টানা সপ্তাহ জুড়ে অতি বৃষ্টিতে খুলনার সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ কয়রার বিস্তির্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। রোপা আমনের খেত ও মৎস্য ঘের গুলোতে এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। সদ্য রোপনকত ধান পাতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন এখানকার শতশত কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বর্ষা মৌসুমে আমনের চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। ২ সহস্রাধিক মৎস্য চাষী ছোট বড় বাগদার ঘের তৈরি করে চিংড়ি চাষ করছেন।

কয়রার ২০টি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার হাজার হাজার জমির আমন ধানের ক্ষেত গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে সদ্য রোপন করা আমাদী ইউনিয়নের হরিকাটি, বেজপাড়া, কিনুকাটি নাকশা, কয়রা পূর্ব ও পশ্চিম মহারাজপুর বিল ও মহেশ্বরীপুর গেলাবাড়ি বিলের আমনের ক্ষেতগুলো পানির নিচে তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে।

হরিকাটি গ্রামের কৃষক কুমারেশ বাবু জানান, পানি নিষ্কাশনের তেমন সুযোগ না থাকায় ধান ক্ষেত বৃষ্টিতে তলিয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলে ধান পাতা মরে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। এলাকার হাজার হাজার কৃষক। কয়রার চিংড়ি চাষি আব্দুর রশিদ মল্লিক জানান কয়েকদিন ধরে এই একটানা বৃষ্টিতে এলাকার দুই শতাধিক চিংড়ি মাছের ঘের একাকার হয়ে গেছে। ঘেরগুলো পানির নিচে তলিয়ে থই থই করছে ।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন একটানা বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষেতগুলো তলিয়ে গেছে প্রাথমিকভাবে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ করার চেষ্টা চলছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কয়রায় টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে মৎস্য ঘের, আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৮:১০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোক্তার হোসেন, খুলনা :

টানা সপ্তাহ জুড়ে অতি বৃষ্টিতে খুলনার সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ কয়রার বিস্তির্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। রোপা আমনের খেত ও মৎস্য ঘের গুলোতে এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। সদ্য রোপনকত ধান পাতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন এখানকার শতশত কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বর্ষা মৌসুমে আমনের চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। ২ সহস্রাধিক মৎস্য চাষী ছোট বড় বাগদার ঘের তৈরি করে চিংড়ি চাষ করছেন।

কয়রার ২০টি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার হাজার হাজার জমির আমন ধানের ক্ষেত গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে সদ্য রোপন করা আমাদী ইউনিয়নের হরিকাটি, বেজপাড়া, কিনুকাটি নাকশা, কয়রা পূর্ব ও পশ্চিম মহারাজপুর বিল ও মহেশ্বরীপুর গেলাবাড়ি বিলের আমনের ক্ষেতগুলো পানির নিচে তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে।

হরিকাটি গ্রামের কৃষক কুমারেশ বাবু জানান, পানি নিষ্কাশনের তেমন সুযোগ না থাকায় ধান ক্ষেত বৃষ্টিতে তলিয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলে ধান পাতা মরে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। এলাকার হাজার হাজার কৃষক। কয়রার চিংড়ি চাষি আব্দুর রশিদ মল্লিক জানান কয়েকদিন ধরে এই একটানা বৃষ্টিতে এলাকার দুই শতাধিক চিংড়ি মাছের ঘের একাকার হয়ে গেছে। ঘেরগুলো পানির নিচে তলিয়ে থই থই করছে ।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন একটানা বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষেতগুলো তলিয়ে গেছে প্রাথমিকভাবে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ করার চেষ্টা চলছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন