১১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা আদায়;কাউন্সিলরের সংবাদ সম্মেলন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৩২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রবিউল আলম, গাজীপুর :

গাজীপুর মহানগরের ৪১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন মোল্লাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্নসময় প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মহিলা আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কল্পনা মারিয়া ফলিয়ার(৫০) বিরুদ্ধে।

আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর সিটি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সিটির ৪১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন মোল্লা সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আমজাদ হোসেন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্ণেল ফারুক খান, সাবেক গাজীপুর-৫ আসনের এমপি মেহের আফরোজ চুমকি, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মতিউর রহমানের প্রভাব ও দোহাই দিয়ে বিভিন্নভাবে শারীরিক মানসিক হেনস্তাসহ বিভিন্ন কৌশলে মোটা অংকের টাকা আদায় করতেন তিনি। নিজেকে খৃষ্টান সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়কে সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ডেকে নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দিতেন। ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে সামাজিক ভাবে হেয় করতেন। নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করে ছবি এডিট করে ইতোমধ্যে আমার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছেড়ে দিয়ে গত ৩০ জুলাই সুন্দরবন কুরিয়ারে ১২ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছেন।

আমি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন মোল্লা বর্তমানে সামাজিক ভাবে খুবই লাজুক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। একটি স্বার্থান্বেষী প্রতিপক্ষ মহলের যোগসাজশে একের পর এক মিথ্যা প্রতারণা জালিয়াতির মাধ্যমে মামলা, হত্যা, ও নিজে বিষপাণে আত্মহত্যা করবে বলে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার থেকে মেসেজ দিচ্ছেন। এমনকি ০১৯০৮৬৩১৪৪৮ এই নাম্বার থেকে সচিবের পরিচয় টাকা দাবি করা হয়। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে ওই খৃষ্টান বৃদ্ধা মহিলার প্রতারণার মহা থাবা থেকে মুক্তি চাই ও তার বিচার দাবি করছি।

আমি ইতোমধ্যে মারিয়া ফলিয়ার বিরুদ্ধে তার আপন ছেলে পলাশ, স্বামী লরেন্স ফলিয়াকে অবহিত করেছি। এমনকি তার কর্মস্থল দ্যা মেট্রোপলিটন খৃষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান আগষ্টিং পিউরিফিকেশন, পরিচালক সুজয় পিউরিফিকেশন, সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি ও ম্যানাজার বাদলকে জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চলছে অভিনব পাঁয়তারা। আমি একজন মুসলিম বিবাহিত পুরুষ। পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই। মারিয়া ফলিয়ার প্রতারণা, হয়রানি ও জালিয়াতি থেকে বাঁচতে চাই। এই প্রতারক মহিলার বিচার চেয়ে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা আদায়;কাউন্সিলরের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৬:০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রবিউল আলম, গাজীপুর :

গাজীপুর মহানগরের ৪১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন মোল্লাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্নসময় প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মহিলা আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কল্পনা মারিয়া ফলিয়ার(৫০) বিরুদ্ধে।

আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর সিটি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সিটির ৪১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন মোল্লা সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আমজাদ হোসেন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্ণেল ফারুক খান, সাবেক গাজীপুর-৫ আসনের এমপি মেহের আফরোজ চুমকি, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মতিউর রহমানের প্রভাব ও দোহাই দিয়ে বিভিন্নভাবে শারীরিক মানসিক হেনস্তাসহ বিভিন্ন কৌশলে মোটা অংকের টাকা আদায় করতেন তিনি। নিজেকে খৃষ্টান সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়কে সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ডেকে নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দিতেন। ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে সামাজিক ভাবে হেয় করতেন। নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করে ছবি এডিট করে ইতোমধ্যে আমার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছেড়ে দিয়ে গত ৩০ জুলাই সুন্দরবন কুরিয়ারে ১২ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছেন।

আমি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন মোল্লা বর্তমানে সামাজিক ভাবে খুবই লাজুক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। একটি স্বার্থান্বেষী প্রতিপক্ষ মহলের যোগসাজশে একের পর এক মিথ্যা প্রতারণা জালিয়াতির মাধ্যমে মামলা, হত্যা, ও নিজে বিষপাণে আত্মহত্যা করবে বলে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার থেকে মেসেজ দিচ্ছেন। এমনকি ০১৯০৮৬৩১৪৪৮ এই নাম্বার থেকে সচিবের পরিচয় টাকা দাবি করা হয়। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে ওই খৃষ্টান বৃদ্ধা মহিলার প্রতারণার মহা থাবা থেকে মুক্তি চাই ও তার বিচার দাবি করছি।

আমি ইতোমধ্যে মারিয়া ফলিয়ার বিরুদ্ধে তার আপন ছেলে পলাশ, স্বামী লরেন্স ফলিয়াকে অবহিত করেছি। এমনকি তার কর্মস্থল দ্যা মেট্রোপলিটন খৃষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান আগষ্টিং পিউরিফিকেশন, পরিচালক সুজয় পিউরিফিকেশন, সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি ও ম্যানাজার বাদলকে জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চলছে অভিনব পাঁয়তারা। আমি একজন মুসলিম বিবাহিত পুরুষ। পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই। মারিয়া ফলিয়ার প্রতারণা, হয়রানি ও জালিয়াতি থেকে বাঁচতে চাই। এই প্রতারক মহিলার বিচার চেয়ে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন