০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রূপগঞ্জে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন শিশু জান্নাত

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:২০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

 মো. নুর আলম :

নিজ পিতার দ্বারা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জান্নাত(৫) নামক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার(৭সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শিশু জান্নাত রোকসানা ও নুর জামাল দম্পত্তির মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত শিশু জান্নাতের মামা শাহাবুদ্দিন মিয়া।

এর আগে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রোকসানা বেগমকে(৩২) চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নুরজামাল। এ সময় পাঁচ বছরের শিশুকন্যা জান্নাত ডাক চিৎকার করলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে পাষণ্ড পিতা। শিশু জান্নাত ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিল।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে তারাবো পৌরসভার তেতলাব এলাকায় শহীদ মিজির ভাড়া বাড়ির দুই তলায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত রোকসানা বরিশালের তরিকাটা গ্রামের আমতলী থানার শাজাহান হাওলাদারের মেয়ে।

নিহতের ভাই হাসান জানান, গত ৮ বছর আগে রোকসানা আদমজী ইপিজেট এ কাজ করার সময় তাদের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিছুদিন পর থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলছিল। প্রায়ই সে রোকসানাকে মারধর করতো। বোনকে দেখে রাখার জন্য সেখান থেকে রূপগঞ্জে তারাবো পৌরসভার তেতলাব এলাকায় আমার পার্শ্ববর্তী রুম ভাড়া নিয়ে দেই। গতকাল সন্ধ্যার দিকে ও তাদের ঝগড়া হয়। এরপর যথারীতি তারা একসাথে ঘুমিয়ে পরে। ভোর সোয়া ৫টায় নুরজামাল আমাকে ফোন করে রোকসানা গুরুতর অসুস্থ বলে জানায়। তাৎক্ষণিক আমি সেখানে গিয়ে দেখি ঘরের দরজা খোলা আমার বোনের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাতে আহত জান্নাত কাতরাচ্ছে। চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। পরে দ্রুত জান্নাতকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক(ওসিতদন্ত )জুবায়ের হোসেন জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে নুরজামাল তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে। ডাক চিৎকার করায় তার সন্তান জান্নাত কেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। খবর পেলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু জান্নাতেরও মৃত্যু হয়েছে। ঘাতক নুর জামালকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পাশাপাশি হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

রূপগঞ্জে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন শিশু জান্নাত

আপডেট সময় : ০৯:২০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

 মো. নুর আলম :

নিজ পিতার দ্বারা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জান্নাত(৫) নামক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার(৭সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শিশু জান্নাত রোকসানা ও নুর জামাল দম্পত্তির মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত শিশু জান্নাতের মামা শাহাবুদ্দিন মিয়া।

এর আগে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রোকসানা বেগমকে(৩২) চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নুরজামাল। এ সময় পাঁচ বছরের শিশুকন্যা জান্নাত ডাক চিৎকার করলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে পাষণ্ড পিতা। শিশু জান্নাত ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিল।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে তারাবো পৌরসভার তেতলাব এলাকায় শহীদ মিজির ভাড়া বাড়ির দুই তলায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত রোকসানা বরিশালের তরিকাটা গ্রামের আমতলী থানার শাজাহান হাওলাদারের মেয়ে।

নিহতের ভাই হাসান জানান, গত ৮ বছর আগে রোকসানা আদমজী ইপিজেট এ কাজ করার সময় তাদের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিছুদিন পর থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলছিল। প্রায়ই সে রোকসানাকে মারধর করতো। বোনকে দেখে রাখার জন্য সেখান থেকে রূপগঞ্জে তারাবো পৌরসভার তেতলাব এলাকায় আমার পার্শ্ববর্তী রুম ভাড়া নিয়ে দেই। গতকাল সন্ধ্যার দিকে ও তাদের ঝগড়া হয়। এরপর যথারীতি তারা একসাথে ঘুমিয়ে পরে। ভোর সোয়া ৫টায় নুরজামাল আমাকে ফোন করে রোকসানা গুরুতর অসুস্থ বলে জানায়। তাৎক্ষণিক আমি সেখানে গিয়ে দেখি ঘরের দরজা খোলা আমার বোনের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাতে আহত জান্নাত কাতরাচ্ছে। চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। পরে দ্রুত জান্নাতকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক(ওসিতদন্ত )জুবায়ের হোসেন জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে নুরজামাল তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে। ডাক চিৎকার করায় তার সন্তান জান্নাত কেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। খবর পেলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু জান্নাতেরও মৃত্যু হয়েছে। ঘাতক নুর জামালকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পাশাপাশি হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন