১২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

সমাজের ভালো মানুষদের সম্মান করতে হবে: মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৯৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দন বলেছেন,সমাজের ভালো মানুষদের সম্মান করতে হবে, অসৎ মানুষকে ঘৃণা করতে হবে। মসজিদ আল্লাহর ঘর, আপনারা সবাই মন খুলে এই মসজিদ উন্নয়নের জন্য সাহায্য করবেন। মসজিদ উন্নয়নের জন্য বন্ধুদের কাছ থেকে চেয়ে আনবেন, এতে অসম্মানিত হওয়ার কিছু নাই। বরং এটা সম্মানের কাজ। আমি আমার সামর্থ অনুযায়ী এই মসজিদ উন্নয়নের জন্য সাহায্য করবো।

শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের কলাবাগ জামে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এইসব কথা বলেন।

গিয়াসউদ্দিন আরো বলেন, গত ১৫ বছর এলাকাই থাকতে পারি নাই। স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমার নামে, আমার পরিবারের নামে এবং আমার সহকর্মীদের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা তারা দিয়েছে। ওই সরকার থাকতে পারলে কয়েকটি মামলায় আমাদের ফাঁসির রায় হতো। মহান আল্লাহ আমাকে দুই মুক্তিযুদ্ধেই অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আমি জানি সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার অধিকাংশ মানুষ ভালো। কিছু কুলাঙ্গার সৃষ্টি হয়েছিলো, যারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতো।

এই এলাকার অর্থ-সম্পদ লুন্ঠন করার জন্য তারা পাগল হয়ে গিয়েছিলো। নারায়ণগঞ্জের সর্বশ্রেষ্ট গডফাদার শামীম ওসমানের ক্যাডার বাহিনী হয়ে এই এলাকায় ত্রাসের রাজত্য তৈরি করেছিলো। এতে করে আমার এলাকার মান ইজ্জত সম্মান নষ্ট হয়েছে। যারা এগুলো করেছে অব্যশ্যই তাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। তাদের বিচারের জন্য আইনকে নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই, সেই দিকে আপনাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ওই সন্ত্রাসীরা যাতে আর এলাকায় আসতে না পারে। সিদ্ধিরগঞ্জের সবাই শান্তি প্রিয় মানুষ। দুই-একটা কুলাঙ্গারের জন্য আমরা এই এলাকার সুনাম নষ্ট করতে পারি না। কুলাঙ্গাররা অবৈধ ভাবে তারে অর্থ-বিত্ত তৈরি করেছে। এমনকি এই কুলাঙ্গাররা এই এলাকার ন্যায় বিচার ধ্বংশ করে দিয়েছে। তারা অন্যায় ভাবে অর্থের মাধ্যমে পক্ষপাতিত্ব করে বিচার করতো।

শামীম ওসমানের ক্যাডার বাহিনী এই এলাকাকে এমন ভাবে জিম্মি করে রেখেছিলো, যে মানুষ কখনো প্রতিবাদ করতে পারেনি। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন কেউ যাতে কোথাও কোন চাঁদাবাজি করতে না পারে। সম্পুর্ণ চাঁদাবাজ মুক্ত এলাকা থাকবে নারায়ণগঞ্জ। কেউ চাঁদাবাজি করলে আপনারা ব্যবস্থা নিবেন, না পারলে আমাদের বলবেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে শান্তি মুলক ব্যবস্থা নিবো। কিন্তু আর কোন সন্তানকে কুলাঙ্গার হতে দেওয়া যাবে না।

সাবেক এমপি শামীম ওসমানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হোন্ডার বহর নিয়ে তারা এই এলাকায় ভিতির সৃষ্টি করেছে। আজ কোথায় তারা। তাই ক্ষমতা থাকলেই ক্ষমতা দেখাতে নাই। অন্যায় করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে যখন শান্তি এসে গেছে, আজ তারা পলাতক। তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে রেখে পলায় গেছে। আমি আগেও সব জায়গায় বলতাম, সর্বশ্রেষ্ট গডফাদার শামীম ওসমান কিন্তু ও একটা কাপুরুষ। ২০০১ সালের নির্বাচনে সে আমার সাথে বিপুল পরিমানে ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলো, আপনারাই আমাকে জয়ী করেছিলেন। বোরকা পরে সে দেশ ত্যাগ করেছিলো। সেই দিনও সে তার কর্মীদের কথা ভাবেনি। এবারও বহু হুংকার দিয়েছে। তখন কেউ কেউ উত্তর দিতে ভয় পেতো, আমি শুধু আল্লাহকে ভয় পেতাম। আমি তখন বলেছি, ও একটা কাপুরুষ, ওকে ভয় পাবেন না। সে তো আবারো পালায় গেছে, কিন্তু সাঙ্গ পাঙ্গদের কথা তো একবারও ভাবলো না।

আপনাদের পক্ষে আমি সারা নারায়ণগঞ্জে প্রতিনিধিত্ব করি। বিএনপি একটি সর্ববৃহত্ত রাজনৈতিক দল। আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির ভুমিকা কি, আপনারা সব জানেন। এই ১৫ বছরের মধ্যে অধিক সময় আমি আমার বাড়িতে থাকতে পারি নাই। আমি আপনাদের বলবো, যাদের সন্তান কুলাঙ্গার হয়ে গিয়েছিলো; তাদের সন্তানরা যাতে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে ওই পথ থেকে ফিরে আসে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ হোসেন, ফজলুর রহমান, মবীনুর মঞ্জু, জহিরুল হক,আব্দুল মালেক, সিরাজুল ইসলাম, মোক্তার হোসেন, ফারুক আহাম্মেদ, আবুল কাশেম সরকার, মোহাম্মদ লাভলু, রাসেদুল হক, বুলবুল আহাম্মেদ, মিজানুর রহমান মঞ্জু, মনির ভান্ডারী ও নাজমুল হোসেন প্রমূখ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সমাজের ভালো মানুষদের সম্মান করতে হবে: মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন

আপডেট সময় : ০৭:৩১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দন বলেছেন,সমাজের ভালো মানুষদের সম্মান করতে হবে, অসৎ মানুষকে ঘৃণা করতে হবে। মসজিদ আল্লাহর ঘর, আপনারা সবাই মন খুলে এই মসজিদ উন্নয়নের জন্য সাহায্য করবেন। মসজিদ উন্নয়নের জন্য বন্ধুদের কাছ থেকে চেয়ে আনবেন, এতে অসম্মানিত হওয়ার কিছু নাই। বরং এটা সম্মানের কাজ। আমি আমার সামর্থ অনুযায়ী এই মসজিদ উন্নয়নের জন্য সাহায্য করবো।

শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের কলাবাগ জামে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এইসব কথা বলেন।

গিয়াসউদ্দিন আরো বলেন, গত ১৫ বছর এলাকাই থাকতে পারি নাই। স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমার নামে, আমার পরিবারের নামে এবং আমার সহকর্মীদের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা তারা দিয়েছে। ওই সরকার থাকতে পারলে কয়েকটি মামলায় আমাদের ফাঁসির রায় হতো। মহান আল্লাহ আমাকে দুই মুক্তিযুদ্ধেই অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আমি জানি সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার অধিকাংশ মানুষ ভালো। কিছু কুলাঙ্গার সৃষ্টি হয়েছিলো, যারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতো।

এই এলাকার অর্থ-সম্পদ লুন্ঠন করার জন্য তারা পাগল হয়ে গিয়েছিলো। নারায়ণগঞ্জের সর্বশ্রেষ্ট গডফাদার শামীম ওসমানের ক্যাডার বাহিনী হয়ে এই এলাকায় ত্রাসের রাজত্য তৈরি করেছিলো। এতে করে আমার এলাকার মান ইজ্জত সম্মান নষ্ট হয়েছে। যারা এগুলো করেছে অব্যশ্যই তাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। তাদের বিচারের জন্য আইনকে নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই, সেই দিকে আপনাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ওই সন্ত্রাসীরা যাতে আর এলাকায় আসতে না পারে। সিদ্ধিরগঞ্জের সবাই শান্তি প্রিয় মানুষ। দুই-একটা কুলাঙ্গারের জন্য আমরা এই এলাকার সুনাম নষ্ট করতে পারি না। কুলাঙ্গাররা অবৈধ ভাবে তারে অর্থ-বিত্ত তৈরি করেছে। এমনকি এই কুলাঙ্গাররা এই এলাকার ন্যায় বিচার ধ্বংশ করে দিয়েছে। তারা অন্যায় ভাবে অর্থের মাধ্যমে পক্ষপাতিত্ব করে বিচার করতো।

শামীম ওসমানের ক্যাডার বাহিনী এই এলাকাকে এমন ভাবে জিম্মি করে রেখেছিলো, যে মানুষ কখনো প্রতিবাদ করতে পারেনি। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন কেউ যাতে কোথাও কোন চাঁদাবাজি করতে না পারে। সম্পুর্ণ চাঁদাবাজ মুক্ত এলাকা থাকবে নারায়ণগঞ্জ। কেউ চাঁদাবাজি করলে আপনারা ব্যবস্থা নিবেন, না পারলে আমাদের বলবেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে শান্তি মুলক ব্যবস্থা নিবো। কিন্তু আর কোন সন্তানকে কুলাঙ্গার হতে দেওয়া যাবে না।

সাবেক এমপি শামীম ওসমানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হোন্ডার বহর নিয়ে তারা এই এলাকায় ভিতির সৃষ্টি করেছে। আজ কোথায় তারা। তাই ক্ষমতা থাকলেই ক্ষমতা দেখাতে নাই। অন্যায় করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে যখন শান্তি এসে গেছে, আজ তারা পলাতক। তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে রেখে পলায় গেছে। আমি আগেও সব জায়গায় বলতাম, সর্বশ্রেষ্ট গডফাদার শামীম ওসমান কিন্তু ও একটা কাপুরুষ। ২০০১ সালের নির্বাচনে সে আমার সাথে বিপুল পরিমানে ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলো, আপনারাই আমাকে জয়ী করেছিলেন। বোরকা পরে সে দেশ ত্যাগ করেছিলো। সেই দিনও সে তার কর্মীদের কথা ভাবেনি। এবারও বহু হুংকার দিয়েছে। তখন কেউ কেউ উত্তর দিতে ভয় পেতো, আমি শুধু আল্লাহকে ভয় পেতাম। আমি তখন বলেছি, ও একটা কাপুরুষ, ওকে ভয় পাবেন না। সে তো আবারো পালায় গেছে, কিন্তু সাঙ্গ পাঙ্গদের কথা তো একবারও ভাবলো না।

আপনাদের পক্ষে আমি সারা নারায়ণগঞ্জে প্রতিনিধিত্ব করি। বিএনপি একটি সর্ববৃহত্ত রাজনৈতিক দল। আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির ভুমিকা কি, আপনারা সব জানেন। এই ১৫ বছরের মধ্যে অধিক সময় আমি আমার বাড়িতে থাকতে পারি নাই। আমি আপনাদের বলবো, যাদের সন্তান কুলাঙ্গার হয়ে গিয়েছিলো; তাদের সন্তানরা যাতে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে ওই পথ থেকে ফিরে আসে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ হোসেন, ফজলুর রহমান, মবীনুর মঞ্জু, জহিরুল হক,আব্দুল মালেক, সিরাজুল ইসলাম, মোক্তার হোসেন, ফারুক আহাম্মেদ, আবুল কাশেম সরকার, মোহাম্মদ লাভলু, রাসেদুল হক, বুলবুল আহাম্মেদ, মিজানুর রহমান মঞ্জু, মনির ভান্ডারী ও নাজমুল হোসেন প্রমূখ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন