০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছেংগারচর পৌরসভা জনপ্রতিনিধিরা লাপাত্তা, সেবা পেতে ঘুরছে মানুষ

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৬২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর আত্মগোপনে চলে যান মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি। কার্যালয় ছাড়ার তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাদের অনেকেই এখনো কার্যালয়ে ফেরেননি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার বেশির ভাগ কাউন্সিলর ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত। সারাদেশের বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রদের সাথে ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আরিফ উল্যাহ সরকারকে ১৯ আগষ্ট অপসারণ করা হয়। এরপর মতলব উত্তর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত হওয়ায় হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকেই গা-ঢাকা দেন কাউন্সিলররা। সেইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে অনেকের মোবাইল ফোন।

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পরিষদে না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে পৌরসভা থেকে দেওয়া বিভিন্ন সনদ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের মতো নাগরিক সেবা কার্যক্রম। সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ পড়েছেন চরম বিপাকে।

পৌরসভার একাধিক সেবা প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাউন্সিলররা না থাকায় তারা দুর্ভোগে পড়েছেন। কাউন্সিলররা উপস্থিত থাকলে বেশিরভাগ সেবা তৎক্ষণাৎ পাওয়া যেত। কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি যেখানে বলছেন সেখানে যেতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি যেমন বেড়েছে, সেইসঙ্গে খরচ হচ্ছে বাড়তি অর্থ ও সময়।
১নং ওয়ার্ডের বালুরচর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন জানান, জন্ম নিবন্ধনের জন্য পৌরসভায় যান তিনি। পৌরসভা থেকে অনলাইনে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করলেও কাউন্সিলর স্বাক্ষর প্রয়োজন। কাউন্সিলর কার্যালয়ে না থাকায় তার বাড়িতে গিয়ে স্বাক্ষর নিতে হবে। জনদুর্ভোগ নিরসনে কাউন্সিলরদের দ্রুত কার্যালয়ে ফেরার দাবি জানান তিনি। ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পৌরসভায় উপস্থিত থাকতে না পেরে কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, রাজনৈতিক কারণে হয়তো অনেকে যাচ্ছেন না। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কাউন্সিলর ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সবার জন্যই নির্দেশনা একই। যারা যাচ্ছেন না আমি উনাদের সঙ্গে কথা বলব, যেন তাঁরা নিয়মিত কার্যালয়ে যান।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ছেংগারচর পৌরসভা জনপ্রতিনিধিরা লাপাত্তা, সেবা পেতে ঘুরছে মানুষ

আপডেট সময় : ০৯:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর আত্মগোপনে চলে যান মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি। কার্যালয় ছাড়ার তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাদের অনেকেই এখনো কার্যালয়ে ফেরেননি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার বেশির ভাগ কাউন্সিলর ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত। সারাদেশের বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রদের সাথে ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আরিফ উল্যাহ সরকারকে ১৯ আগষ্ট অপসারণ করা হয়। এরপর মতলব উত্তর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত হওয়ায় হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকেই গা-ঢাকা দেন কাউন্সিলররা। সেইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে অনেকের মোবাইল ফোন।

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পরিষদে না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে পৌরসভা থেকে দেওয়া বিভিন্ন সনদ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের মতো নাগরিক সেবা কার্যক্রম। সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ পড়েছেন চরম বিপাকে।

পৌরসভার একাধিক সেবা প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাউন্সিলররা না থাকায় তারা দুর্ভোগে পড়েছেন। কাউন্সিলররা উপস্থিত থাকলে বেশিরভাগ সেবা তৎক্ষণাৎ পাওয়া যেত। কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি যেখানে বলছেন সেখানে যেতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি যেমন বেড়েছে, সেইসঙ্গে খরচ হচ্ছে বাড়তি অর্থ ও সময়।
১নং ওয়ার্ডের বালুরচর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন জানান, জন্ম নিবন্ধনের জন্য পৌরসভায় যান তিনি। পৌরসভা থেকে অনলাইনে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করলেও কাউন্সিলর স্বাক্ষর প্রয়োজন। কাউন্সিলর কার্যালয়ে না থাকায় তার বাড়িতে গিয়ে স্বাক্ষর নিতে হবে। জনদুর্ভোগ নিরসনে কাউন্সিলরদের দ্রুত কার্যালয়ে ফেরার দাবি জানান তিনি। ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পৌরসভায় উপস্থিত থাকতে না পেরে কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, রাজনৈতিক কারণে হয়তো অনেকে যাচ্ছেন না। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কাউন্সিলর ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সবার জন্যই নির্দেশনা একই। যারা যাচ্ছেন না আমি উনাদের সঙ্গে কথা বলব, যেন তাঁরা নিয়মিত কার্যালয়ে যান।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন