০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রূপগঞ্জে গাজী টায়ারে আগুনের ঘটনায় ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন

মো. নুর আলম, রূপগঞ্জ :
  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৭৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসীতে অবস্থিত গাজী টায়ারে আগুনের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ ঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে গাজী টায়ার কারখানায় জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এই তদন্ত কমিটিতে বিদ্যুৎ কল কারখানা ফায়ার সার্ভিস সহ সব বিভাগের লোকজনই রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে নির্দেশ দিয়েছি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের একটি তালিকা তৈরি করতে। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাজী টায়ারের যে ভবনটি সে ভবনের ভেতরে সালফারসহ ক্যামিকেল থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও তাপ ও ধোয়া রয়ে গেছে এ কারণে উদ্ধার কাজ চালানো যাচ্ছে না। খুব দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে। নিখোঁজদের একটি তালিকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

গাজী টায়ারের ছয়তলা ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণের ১৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত গাজী টায়ারে উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের এসেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন ঢাকা ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে. কর্ণেল রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নিখোঁজদের স্বজনরা কারখানার ভেতরে ও বাইরে এসে ভীড় জমাতে থাকে। উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ পর্যন্ত ১৭৬ জন নিখোঁজের দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। মঙ্গলবার সকালে পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কারখানা পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, গত রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাটকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে ২১ ঘন্টা পর সোমবার ৭ টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। নিখোঁজদের স্বজনরা কারখানার সামনে এসে ভিড় করছে স্বজনদের খোঁজে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিখোঁজদের স্বজনরা।

গন্ধর্বপুর এলাকা থেকে আসা লিপি আক্তার বলেন, আমার ছোট ভাই আলামিন বন্ধু মাহফুজের সঙ্গে গাজী টায়ার ফ্যাক্টরীতে রবিবার রাত ৯ টার দিকে আসেন। এরপর থেকে তাদের আর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো উদ্ধার কাজ শুরু করেনি ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ভবনটিতে দীর্ঘসময় ধরে আগুন জ¦লার কারণে ভবনটি ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ভবনের আগুন নিভে গেলেও ভেতরে ধোয়া ও তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনে প্রবেশ করতে পারছে না। তবে তারা পানি নিয়ে তাপ ও ধোঁয়া কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তাপ ও ধোঁয়া কমে গেলে উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

রূপগঞ্জে গাজী টায়ারে আগুনের ঘটনায় ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসীতে অবস্থিত গাজী টায়ারে আগুনের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ ঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে গাজী টায়ার কারখানায় জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এই তদন্ত কমিটিতে বিদ্যুৎ কল কারখানা ফায়ার সার্ভিস সহ সব বিভাগের লোকজনই রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে নির্দেশ দিয়েছি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের একটি তালিকা তৈরি করতে। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাজী টায়ারের যে ভবনটি সে ভবনের ভেতরে সালফারসহ ক্যামিকেল থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও তাপ ও ধোয়া রয়ে গেছে এ কারণে উদ্ধার কাজ চালানো যাচ্ছে না। খুব দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে। নিখোঁজদের একটি তালিকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

গাজী টায়ারের ছয়তলা ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণের ১৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত গাজী টায়ারে উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের এসেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন ঢাকা ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে. কর্ণেল রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নিখোঁজদের স্বজনরা কারখানার ভেতরে ও বাইরে এসে ভীড় জমাতে থাকে। উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ পর্যন্ত ১৭৬ জন নিখোঁজের দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। মঙ্গলবার সকালে পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কারখানা পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, গত রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাটকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে ২১ ঘন্টা পর সোমবার ৭ টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। নিখোঁজদের স্বজনরা কারখানার সামনে এসে ভিড় করছে স্বজনদের খোঁজে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিখোঁজদের স্বজনরা।

গন্ধর্বপুর এলাকা থেকে আসা লিপি আক্তার বলেন, আমার ছোট ভাই আলামিন বন্ধু মাহফুজের সঙ্গে গাজী টায়ার ফ্যাক্টরীতে রবিবার রাত ৯ টার দিকে আসেন। এরপর থেকে তাদের আর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো উদ্ধার কাজ শুরু করেনি ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ভবনটিতে দীর্ঘসময় ধরে আগুন জ¦লার কারণে ভবনটি ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ভবনের আগুন নিভে গেলেও ভেতরে ধোয়া ও তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনে প্রবেশ করতে পারছে না। তবে তারা পানি নিয়ে তাপ ও ধোঁয়া কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তাপ ও ধোঁয়া কমে গেলে উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন