০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সোনারগাঁয়ে বিষমুক্ত সবজি বাগানে আগ্রহ বাড়ছে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ৬৯

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজঃ-
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতায় সোনারগাঁ উপজেলায় বসতবাড়ির পাশে অনাবাদি পতিত জমি ও বাড়ির আঙ্গিনায় সম্পূর্ণ বিষমুক্ত পারিবারিক পুষ্টি সবজি বাগান তৈরি করা হয়েছে। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের বাড়ির আঙিনায় এমন বাগান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার পৌরসভার হামছাদি গ্রামের কৃষক জামিল হোসেন উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় এবং নিজস্ব উদ্যোগে বিষমুক্ত এ পারিবারিক পুষ্টি সবজি বাগান করেছেন। সবজি ক্ষেতে শুধুই যে সবজি রয়েছে তা নয়, সবজির পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফল ও মসলা জাতীয় গাছ।
সবজির মধ্যে রয়েছে পেঁপে, লালশাক, পুঁইশাক, বেগুন, পালংশাক, কলমিশাক, বরবটি, ঢেঁড়শ, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, কাকরোল। এ ছাড়া মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে রসুন, তেজপাতা, ধনিয়া, মরিচ, আদা, হলুদ। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফুলগাছ এবং আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, বেল, ডালিম, কামরাঙ্গা, জাম্বুরাসহ বেশ কিছু ফলের গাছ। জামিল হোসেনের স্ত্রীও শখের বসে নিয়মিত সবজিবাগান পরিচর্যা করেন। নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদেরও সবজি উপহার দিয়ে থাকেন তারা। জামিল হোসেনের সবজি বাগানে প্রায় ২০ প্রকারের সবজি দেখা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,সোনারগাঁ উপজেলায় সহস্রাধিক বাড়ির উঠানে এ সবজিবাগান করতে যা যা লাগছে তা বিনা মূল্যে দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলায় প্রচুর পুষ্টি সবজির বাগান করা হয়েছে। বাড়ির আঙ্গিনার সবজিচাষি জামিল হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার সবজি চাষের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। বাড়িতে খালি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফুলের গাছ লাগাতাম। বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষের সুযোগ পেয়েছি। সরকারের দেয়া পাঁচ প্রকার সবজি ছাড়াও প্রায় ২০ প্রকারের সবজি, মসলা, ফুলের গাছ রয়েছে আমার বাগানে। নিয়মিত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরুজা সুলতানা খোঁজখবর নিয়ে থাকেন।তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় নিজের জমিতে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে নিজের পরিবারকে খাওয়াতে পারছি।
জামিল হোসেনের প্রতিবেশী ফরিদ মিয়া বলেন, জামিল হোসেনের বাড়ি আঙ্গিনায় ও পরিত্যক্ত জমিতে সবজিচাষ দেখে অনেকেই উৎসাহিত হচ্ছেন।
সোনারগাঁ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, যারা বাড়ির উঠানে বিষ মুক্ত সবজিচাষ করছেন তাদের আমি সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরুজা সুলতানা বলেন, বাড়ির আঙ্গিনায় জমি ব্যবহারসহ পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এ পুষ্টির সবজির বাগান করা হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সোনারগাঁয়ে বিষমুক্ত সবজি বাগানে আগ্রহ বাড়ছে

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজঃ-
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতায় সোনারগাঁ উপজেলায় বসতবাড়ির পাশে অনাবাদি পতিত জমি ও বাড়ির আঙ্গিনায় সম্পূর্ণ বিষমুক্ত পারিবারিক পুষ্টি সবজি বাগান তৈরি করা হয়েছে। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের বাড়ির আঙিনায় এমন বাগান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার পৌরসভার হামছাদি গ্রামের কৃষক জামিল হোসেন উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় এবং নিজস্ব উদ্যোগে বিষমুক্ত এ পারিবারিক পুষ্টি সবজি বাগান করেছেন। সবজি ক্ষেতে শুধুই যে সবজি রয়েছে তা নয়, সবজির পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফল ও মসলা জাতীয় গাছ।
সবজির মধ্যে রয়েছে পেঁপে, লালশাক, পুঁইশাক, বেগুন, পালংশাক, কলমিশাক, বরবটি, ঢেঁড়শ, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, কাকরোল। এ ছাড়া মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে রসুন, তেজপাতা, ধনিয়া, মরিচ, আদা, হলুদ। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফুলগাছ এবং আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, বেল, ডালিম, কামরাঙ্গা, জাম্বুরাসহ বেশ কিছু ফলের গাছ। জামিল হোসেনের স্ত্রীও শখের বসে নিয়মিত সবজিবাগান পরিচর্যা করেন। নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদেরও সবজি উপহার দিয়ে থাকেন তারা। জামিল হোসেনের সবজি বাগানে প্রায় ২০ প্রকারের সবজি দেখা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,সোনারগাঁ উপজেলায় সহস্রাধিক বাড়ির উঠানে এ সবজিবাগান করতে যা যা লাগছে তা বিনা মূল্যে দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলায় প্রচুর পুষ্টি সবজির বাগান করা হয়েছে। বাড়ির আঙ্গিনার সবজিচাষি জামিল হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার সবজি চাষের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। বাড়িতে খালি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফুলের গাছ লাগাতাম। বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষের সুযোগ পেয়েছি। সরকারের দেয়া পাঁচ প্রকার সবজি ছাড়াও প্রায় ২০ প্রকারের সবজি, মসলা, ফুলের গাছ রয়েছে আমার বাগানে। নিয়মিত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরুজা সুলতানা খোঁজখবর নিয়ে থাকেন।তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় নিজের জমিতে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে নিজের পরিবারকে খাওয়াতে পারছি।
জামিল হোসেনের প্রতিবেশী ফরিদ মিয়া বলেন, জামিল হোসেনের বাড়ি আঙ্গিনায় ও পরিত্যক্ত জমিতে সবজিচাষ দেখে অনেকেই উৎসাহিত হচ্ছেন।
সোনারগাঁ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, যারা বাড়ির উঠানে বিষ মুক্ত সবজিচাষ করছেন তাদের আমি সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরুজা সুলতানা বলেন, বাড়ির আঙ্গিনায় জমি ব্যবহারসহ পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এ পুষ্টির সবজির বাগান করা হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন