১০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

তারাকান্দার ওসির সহায়তায় বাবা-মার কাছে ফিরলো নালিতাবাড়ীর ছোট্ট শিশু শাকিল

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ :
  • আপডেট সময় : ১০:৫৪:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • / ৭২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াজেদ আলীর সহয়তায় নিখোঁজ ১১ বছরের ছোট্ট শিশু শাকিল ফিরেছে আপন ঠিকানায়। নিখোঁজ শিশু পুত্রকে ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা শাকিলের বাবা-মাসহ তার পরিবার। শাকিল শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর কাওয়াকড়ি এলাকার মোশারফ হোসেন এর পুত্র।

মঙ্গলবার, ২রা জুলাই সন্ধ্যার পূর্বে তারাকান্দা থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা শিশু শাকিলের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ওসি ওয়াজেদ আলী তাকে তার বাবার কাছে তুলে দেন।

শাকিলের বাবা মোশারফ হোসেন বলেন, সোমবার কাজ শেষে বাসায় ফিরে জানতে পারি শাকিলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে আমরা বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আজ মঙ্গলবার জানতে পারি শাকিল তারাকান্দা থানার ওসির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এরপর ছুটে আসি তারাকান্দা থানায়।

শাকিল জানায়, মাদ্রাসার উদ্দ্যেশে শেরপুর থেকে আসতে গাড়ীতে উঠলে সে চিনতে না পেরে তারাকান্দায় চলে আসে। এরপর সেখানে সে কান্না করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন তারাকান্দা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে থানার ওসি ওয়াজেদ আলী শিশু শাকিলকে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে থানায় নিয়ে আসে। ওসি ওয়াজেদ আলী শিশুর সাথে কথা বলে জানতে পারেন তাদের বাসা শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর কাওয়াকড়ি এলাকায়।

তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী বলেন, শিশু শাকিলকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় পাঠানোর ফলে সে মাদ্রাসা থেকে গতকাল পালিয়ে শেরপুর থেকে বিভিন্ন ভাবে চলে আসে তারাকান্দা থানার বিসকা ইউনিয়নের একটি গ্রামে। পুরো ঠিকানা বলতে না পারায় এলাকার লোকজন থানায় পৌছে দেয়।তিনি বিভিন্ন ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে আংশিক তথ্যের ভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মোবাইলে কল দিয়ে খোজ খবর নিয়ে সন্ধ্যার পুর্বে তার পিতার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হলো। ওসি মনে করেন-ছোট শিশুদের কে বাবা মা মাদ্রাসায় বা কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দিয়েই নিশ্চিন্ত হয়ে যায়। বাচ্চাদের মান-অভিমান, জেদ ইত্যাদি বাবা-মা যেভাবে অনুভব করে সেইভাবে অন্য কেউ পারবে না। তাই আগে সন্তানের মনোভাব বুঝে, তার আবেগ অনুভূতি বুঝেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া উচিত বলে জানান ওসি। তিনি আরো বলেন, আগে তো জীবন পরে শিক্ষা। তবে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশুটিকে তার বাবার হাতে তুলে দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে বলে জানান ওসি ওয়াজেদ আলী।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

তারাকান্দার ওসির সহায়তায় বাবা-মার কাছে ফিরলো নালিতাবাড়ীর ছোট্ট শিশু শাকিল

আপডেট সময় : ১০:৫৪:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াজেদ আলীর সহয়তায় নিখোঁজ ১১ বছরের ছোট্ট শিশু শাকিল ফিরেছে আপন ঠিকানায়। নিখোঁজ শিশু পুত্রকে ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা শাকিলের বাবা-মাসহ তার পরিবার। শাকিল শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর কাওয়াকড়ি এলাকার মোশারফ হোসেন এর পুত্র।

মঙ্গলবার, ২রা জুলাই সন্ধ্যার পূর্বে তারাকান্দা থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা শিশু শাকিলের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ওসি ওয়াজেদ আলী তাকে তার বাবার কাছে তুলে দেন।

শাকিলের বাবা মোশারফ হোসেন বলেন, সোমবার কাজ শেষে বাসায় ফিরে জানতে পারি শাকিলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে আমরা বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আজ মঙ্গলবার জানতে পারি শাকিল তারাকান্দা থানার ওসির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এরপর ছুটে আসি তারাকান্দা থানায়।

শাকিল জানায়, মাদ্রাসার উদ্দ্যেশে শেরপুর থেকে আসতে গাড়ীতে উঠলে সে চিনতে না পেরে তারাকান্দায় চলে আসে। এরপর সেখানে সে কান্না করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন তারাকান্দা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে থানার ওসি ওয়াজেদ আলী শিশু শাকিলকে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে থানায় নিয়ে আসে। ওসি ওয়াজেদ আলী শিশুর সাথে কথা বলে জানতে পারেন তাদের বাসা শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর কাওয়াকড়ি এলাকায়।

তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী বলেন, শিশু শাকিলকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় পাঠানোর ফলে সে মাদ্রাসা থেকে গতকাল পালিয়ে শেরপুর থেকে বিভিন্ন ভাবে চলে আসে তারাকান্দা থানার বিসকা ইউনিয়নের একটি গ্রামে। পুরো ঠিকানা বলতে না পারায় এলাকার লোকজন থানায় পৌছে দেয়।তিনি বিভিন্ন ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে আংশিক তথ্যের ভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মোবাইলে কল দিয়ে খোজ খবর নিয়ে সন্ধ্যার পুর্বে তার পিতার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হলো। ওসি মনে করেন-ছোট শিশুদের কে বাবা মা মাদ্রাসায় বা কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দিয়েই নিশ্চিন্ত হয়ে যায়। বাচ্চাদের মান-অভিমান, জেদ ইত্যাদি বাবা-মা যেভাবে অনুভব করে সেইভাবে অন্য কেউ পারবে না। তাই আগে সন্তানের মনোভাব বুঝে, তার আবেগ অনুভূতি বুঝেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া উচিত বলে জানান ওসি। তিনি আরো বলেন, আগে তো জীবন পরে শিক্ষা। তবে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশুটিকে তার বাবার হাতে তুলে দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে বলে জানান ওসি ওয়াজেদ আলী।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন