শিক্ষাজগতের অনন্য নাম জুড়ির ইসহাক আলী
- আপডেট সময় : ০৯:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৬৩
জসিম উদ্দিন,জুড়ী:
সৎ সাহস অদম্য শক্তি আর আত্মবিশ্বাস মানুষকে উন্নতির শিখরে পৌছে দেয়। তার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। আর একজন শিক্ষকের দ্বারাই তা সম্ভব। এমনিই একজন ব্যক্তি মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ইসহাক আলী স্যার। জন্ম ৩ রা ফেব্রুয়ারী ১৯৭২ সালে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার মনতৈল গ্রামে। বাবা মৃত চাঁন মিয়া, মাতা সোনাবান নেছা। তিনি ১৯৮৮ সালে জুড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৯০ সালে কুলাউড়া সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৯২ সালে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক, ১৯৯৭ সালে কুমিল্লা টিটি কলেজ থেকে বিএড, ২০০৪ সালে এমসি কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর, ২০১৭ সালে এমএড ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি জুড়ীর একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। শিক্ষাজগতে অবদানের জন্য সকল শিক্ষকগনের মনে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। তারই সুবাদে ২০১১ সাল থেকে জুড়ী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও আহবায়ক পদে নিযুক্ত আছেন। ২০১৯ সাল থেকে জেলা শিক্ষক সমতির সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত আছেন এছাড়াও ২০১৩ সাল থেকে কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রচার সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে উচ্চতর প্রশিক্ষনে গণপ্রজাতন্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষক প্রশিক্ষণে ফিলিপাইন ভ্রমন করেন।২০১৬ ও ২০২২ সালে উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে নায়েমের ৪৬ জন প্রধান শিক্ষকের মধ্যে থেকে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। ২০০১ সালে সিলেট বিভাগের ২৫ জন প্রধান শিক্ষকের মধ্য ২য় স্থান অর্জন করেন। নারী শিক্ষার অবদানের জন্য ২০১৯ সালে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও মাদার তেরেসা পুরষ্কারে ভূষিত হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন কন্যা সন্তানের জনক। সহধর্মিণী শরিফা খাতুন সিলেট সরকারি অগ্রগামী স্কুল এ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক পদে কর্মরত। বড় মেয়ে ইসরাত জাহান ইভা ঢাকা আপডেট ডেন্টাল কলেজে এবং বাকি দুইজন সিলেট সরকারি অগ্রগামী কলেজে অধ্যয়নরত। তিনি একজন সমাজসেবক। বিভিন্ন দূর্যোগে মানুষের পাশে থেকে কাজ করছেন।জুড়ী উপজেলার শিক্ষার অঙ্গনের বিরাট ভূমিকা পালন করায় মানুষের মনে চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন।