১১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বাউফল উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে শতাধিক মোটরসাইকেল আটক

মো. রানা সন্যামত বরিশাল :
  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
  • / ১৭১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্ধারিত সময়ের আগেই শতাধিক মোটরসাইকেল আটক করেছে বাউফল থানা পুলিশ। এতে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে বাউফল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের আগে ও পরে ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

গত ৯ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে ১৯ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২ টা থেকে ২২ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে। এর মধ্যে হঠাৎ শুক্রবার বিকালে বাউফল থানা পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে শতাধিক মোটরসাইকেল আটক করে।

একটি সিমেন্ট কোম্পানির ডিলার মো. ইছাহাক বলেন, পৌরশহরের গোলাবাড়ি এলাকায় আমাদের কোম্পানির এক রিটেইলারের কাছে তাগাদা দিয়ে কালাইয়া বন্দরে আসার পথে থানার সামনে আমার বাইক আটকে দেওয়া হয়। এরপর বলা হয় নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাইক চালাতে পারবেন না। বাইকটি আটকে রাখলে ব্যবসার ক্ষতি হবে বলার পরও পুলিশ তার কথার কর্ণপাত করেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোটরসাইকেল চালিয়ে উপার্জন করা এক যুবক বলেন, এখনও ২ দিন সময় বাকি আছে। হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশনের দোহাই দিয়ে বাইক আটক করায় বিপাকে পড়েন এই পেশার সঙ্গে জড়িতরা।

এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে বাইক আটক করে বাণিজ্য করারও অভিযোগ উঠেছে। ২-৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বাইক ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ থাকায় মোটরসাইকেল আটক অভিযান চলছে। আগামী ২২ মে পর্যন্ত চলবে এই অভিযান। মোটরসাইকেল আটক বাণিজ্যের অভিযোগ সঠিক নয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বাউফল উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে শতাধিক মোটরসাইকেল আটক

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্ধারিত সময়ের আগেই শতাধিক মোটরসাইকেল আটক করেছে বাউফল থানা পুলিশ। এতে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে বাউফল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের আগে ও পরে ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

গত ৯ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে ১৯ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২ টা থেকে ২২ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে। এর মধ্যে হঠাৎ শুক্রবার বিকালে বাউফল থানা পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে শতাধিক মোটরসাইকেল আটক করে।

একটি সিমেন্ট কোম্পানির ডিলার মো. ইছাহাক বলেন, পৌরশহরের গোলাবাড়ি এলাকায় আমাদের কোম্পানির এক রিটেইলারের কাছে তাগাদা দিয়ে কালাইয়া বন্দরে আসার পথে থানার সামনে আমার বাইক আটকে দেওয়া হয়। এরপর বলা হয় নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাইক চালাতে পারবেন না। বাইকটি আটকে রাখলে ব্যবসার ক্ষতি হবে বলার পরও পুলিশ তার কথার কর্ণপাত করেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোটরসাইকেল চালিয়ে উপার্জন করা এক যুবক বলেন, এখনও ২ দিন সময় বাকি আছে। হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশনের দোহাই দিয়ে বাইক আটক করায় বিপাকে পড়েন এই পেশার সঙ্গে জড়িতরা।

এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে বাইক আটক করে বাণিজ্য করারও অভিযোগ উঠেছে। ২-৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বাইক ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ থাকায় মোটরসাইকেল আটক অভিযান চলছে। আগামী ২২ মে পর্যন্ত চলবে এই অভিযান। মোটরসাইকেল আটক বাণিজ্যের অভিযোগ সঠিক নয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন