ঝিকরগাছার মানবতার ফেরিওয়ালা সায়েদ আলীর সহযোগিতায় দাখিল পরিক্ষা দিলো সাদিয়া
- আপডেট সময় : ০৭:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
- / ১০৯
আফজাল হোসেন চাঁদ :
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৫নং পানিসার ইউনিয়নের সাদামনের মানুষ খ্যাত মানবতার ফেরিওয়ালা সায়েদ আলীর সহযোগিতায় এসএসসি-২০২৪সনের দাখিল পরীক্ষা দিলো কুলিয়া ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার অসহায় শিক্ষার্থী সাদিয়া খাতুন। সে কুলিয়া গ্রামের আকরাম হোসেন ও জেসমিন আক্তারের মেয়ে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, পিতা-মাতার সংসার জীবনে মনোমালিন্য না হওয়ার কারণে প্রায় দু’বছর পূর্বে বিবাহ বিচ্ছেদে করে আবারও নিজেরাই নিজের স্বার্থ মতে অন্য স্থানে উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখে শান্তিতে সংসার জীবন পরিচালনা করছে। অসহায় শিক্ষার্থী সাদিয়া খাতুন থাকে তার মাতার সাথে যশোর শহরে। ক্রমাতগই তার সামনে লেখাপড়ার চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। সে ২০২৪সনের এসএসসি পরীক্ষার্থী। এমতাবস্থায় তার পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবুও তার লক্ষ্য তাকে এসএসসি পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সে পৈতৃক নিবাসে চলে আসে। কিন্তু এখানে থেকে পড়াশুনা করতে চাইলে তার পড়াশুনা করার কোন সুযোগ দেওয়া হয়না। সে দিশেহারা হয়ে পড়ে চিন্তা করে তাহলে কি তার আর লেখাপড়া করা হবে না ? এই ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে সাদামনের মানুষ খ্যাত মানবতার ফেরিওয়ালা সায়েদ আলী তার সামনে হাজির হয় দেবদূত হয়ে। সাদিয়ার মুখে সব ঘটনা শুনে সায়েদ আলী তার পরিবারের সাথে আলাপ পরামর্শ করে তার পড়াশুনার জন্য প্রতি মাসে ২হাজার টাকা করে দিতে চান। কিন্তু তার পরিবার সেটাতে রাজী নন। তার পরিবার যেন তাকে তাদের ঘাড় থেকে নামাতে পারলে ভালো হয়। কি আর করা পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সাদিয়াকে নিয়ে আসে সায়েদ আলীর বাড়িতে। এরপর তাকে কুলিয়া ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভর্তি করিয়ে দেন। দীর্ঘ তিন মাস তার খাওয়া দাওয়াসহ পরীক্ষার যাবতীয় খরচ বহন করে তাকে দাখিল পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে সার্বিক সহযোগিতা করেন। সর্বশেষে সাদিয়াকে তার গর্ভধারিণী মায়ের কাছে যশোর শহরে পৌছে দিয়ে মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছেন সাদামনের মানুষ খ্যাত মানবতার ফেরিওয়ালা সায়েদ আলী।
এ প্রসঙ্গে সাদামনের মানুষ খ্যাত মানবতার ফেরিওয়ালা সায়েদ আলী বলেন, স্রষ্টার সেরা জীব আমরা মানুষ। আর মানুষ মানুষের জন্য। আর আমি এই দায়িত্ববোধ থেকে সাদিয়ার পাশে দাড়িয়ে ছিলাম। সাদিয়ার পাশে থেকে তার সহযোগিতা করে আমার নিজের প্রতি গর্ব হচ্ছে। আমি সব সময় সমাজের অসহায়-দুঃস্থ্য, মেধাবী শিক্ষার্থী ও বিধবা নারীদের পাশে থেকে চেষ্টা করি তাদেরকে সহযোগিতা দেওয়ার। আপনারাও যদি আমাকে সহযোগিতা করেন তাহলে আমি আপনাদের সহযোগিতা আরো অগ্রসর হতে পারবো। সবার নিকট আমি দোয়া প্রত্যাশী।
—