মোরেলগঞ্জে জমিজমা বিরোধে জুমার নামাজের সময় মসজিদে হামলা, ইমামসহ আহত-১৫
- আপডেট সময় : ১১:২২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
- / ১০৭
এনায়েত করিম রাজিব :
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে একটি জামে মসজিদে জুমার নামাজের পূর্বে দুর্বৃত্তরা হামলা ও মসজিদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে ওই মসজিদের ইমাম, মুক্তিযোদ্ধাসহ দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সরেজমিন জানাগেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামে হেলালিয়া জামে মসজিদে গতকাল জুম্মার নামাজে ৬০/৭০ জন মুসল্লি উপস্থিত থেকে খুদবা শুনছিল এ সময় মসজিদের সভাপতি জমিদাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুলতান আলী হাওলাদারের সাথে প্রতিবেশী হেমায়েত উদ্দিন দিহিদারের সাথে জমি জমা বিরোধকে কেন্দ্র করে হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০/৩০ জন নারী পুরুষ সংঘবদ্ধ দল মসজিদে ঢুকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হাওলাদারকে এলোপতাড়ি মারপিট শুরু করে। মুসল্লিরা বাঁধা দিলে হামলাকারিরা মসজিদের মধ্যে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
এতে মসজিদের ইমাম ক্বারী আবু ইউসুফ (৩৮), বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী হাওলাদার (৭১), তার ছেলে এনামুল হক হাওলাদার (৪৮), নাতী রাব্বি হাওলাদার (২৫), মুসল্লি ওবায়দুল হাওলাদার (৪০)। অপরপক্ষের হালিমা বেগম (৩৫), আসমা বেগম (৩৮), এনায়েত হাওলাদার (৫৫), ইশ্রাফিল হাওলাদার (২১), তরিকুল ইসলাম জয় (১৪) সহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী হাওলাদার বলেন, ২০ বছর ধরে তারই প্রতিবেশী হেমায়েত উদ্দিন দিহিদারের সাথে দুই একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরধরে তারা পরিকল্পিতভাবে মসজিদে ঢুকে মহিলাদের নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে হেমায়েত উদ্দিন দিহিদার বলেন, মসজিদের সভাপতি সুলতান আলী হাওলাদার মসজিদের কোন হিসাব নিকাশ না দিয়ে মসজিদের দেড় বিঘা জমি একাই ভোগ দখল করে আসছে। হিসাব চাইলে সুলতান আলী হাওলাদারের লোকেরা হেমায়েত উদ্দিনের ভাই এনায়েত হাওলারসহ ৫ জনকে জখম করে।
মসজিদের ইমাম ক্বারী আবু ইউসুফ বলেন, জুমার নামাজের পূর্বে খুদবা চলাকালীণ হঠাৎ করে চারদিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।আতঙ্কে মুসল্লিরা ছোটাছুটি করে মসজিদ ত্যাগ করে। আমি নিজেও ইটের আঘাতে আহত হয়েছি।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মসজিদের হামলার বিষয়টি তিনি অবহিত নন। ফাঁড়ি পুলিশও আমাকে ঘটনাটি জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।