০৩:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নাটোরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:২১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৬৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইমাম হাছাইন পিন্টু, নাটোর:

নাটোরের গুরুদাসপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগে নজরুল ইসলাম (৫২) ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিনের (৫৫) বিরুদ্ধে আদালতে দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত নজরুল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত আমির আলীর ছেলে ও মফিজ একই ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মৃত উম্বরের ছেলে। গত ৩০ নভেম্বর নাটোরের গুরুদাসপুর আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী জয়নব বেগম (৩২) ও ময়না খাতুন (৪১)। জয়নব নাজিরপুর বৃন্দাবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের স্ত্রী ও ময়না লক্ষীপুর গ্রামের আলাল বেপারির মেয়ে।মামলার আবেদনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, গোপিনাথপুর গ্রামের মধ্যমপাড়ার পরিত্যাক্ত নদীর পাড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প করা হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে সেখানে জমিসহ ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছে থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয় নজরুল ও মফিজ। তবে এখনো পর্যন্ত তারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ পায়নি। তাই তাদের টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্তরা টাকার বিষয় অস্বীকার করে বাকবিতন্ডা করে ও ভয়ভীতি দেখায়।ভুক্তভোগী জয়নব ও ময়না বলেন, নজরুল ও মফিজ প্রভাবশালী এবং বিত্তশালি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে রয়েছে তাদের সংশ্লিষ্টতা। টাকা ছাড়া ঘর পাওয়া যাবেনা বলে টাকা নিয়েছে। অনেক পরিশ্রম ও কষ্টের টাকা। তবে ঘর পায়নি তারা। তাদের পিছনে অনেক ঘুরেছি কিন্ত টাকাও ফেরত দেয়নি ঘরও দেয়নি। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। দ্রুতই সঠিক বিচার দাবী করেছেন তারা। মফিজ মাষ্টারের নিজের বোন ও শাসুরির নামে ঘর বরাদ্দ দেন বলে জানান তারা।এবিষয়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম ও মফিজ মাষ্টার বলেন, তাদের কাছে থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। ঘর পায়নি বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মামলার জবাব আমরা আদালতেই দিব।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে অনেক মানুষের কাছে থেকেই টাকা নিয়েছেন নজরুল ও মফিজ। ঘর না পেয়ে অনেকেই আদালতে মামলা করছেন। আদালতে মামলা সত্য প্রমাণিত হলে বাদিকে টাকা দিয়ে মিমাংসা করে মামলা তুলে নেওয়াচ্ছেন অভিযুক্তরা। প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমি সহ ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে, যতোগুলো ঘর রয়েছে, তার চাইতে অনেক বেশী দারিদ্র্য মানুষের কাছ থেকে অভিযুক্তরা টাকা নিয়ে রেখেছে বলে জানান তিনি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন হওয়ার জন্য আহবান জানান তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নাটোরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ

আপডেট সময় : ১০:২১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইমাম হাছাইন পিন্টু, নাটোর:

নাটোরের গুরুদাসপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগে নজরুল ইসলাম (৫২) ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিনের (৫৫) বিরুদ্ধে আদালতে দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত নজরুল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত আমির আলীর ছেলে ও মফিজ একই ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মৃত উম্বরের ছেলে। গত ৩০ নভেম্বর নাটোরের গুরুদাসপুর আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী জয়নব বেগম (৩২) ও ময়না খাতুন (৪১)। জয়নব নাজিরপুর বৃন্দাবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের স্ত্রী ও ময়না লক্ষীপুর গ্রামের আলাল বেপারির মেয়ে।মামলার আবেদনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, গোপিনাথপুর গ্রামের মধ্যমপাড়ার পরিত্যাক্ত নদীর পাড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প করা হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে সেখানে জমিসহ ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছে থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয় নজরুল ও মফিজ। তবে এখনো পর্যন্ত তারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ পায়নি। তাই তাদের টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্তরা টাকার বিষয় অস্বীকার করে বাকবিতন্ডা করে ও ভয়ভীতি দেখায়।ভুক্তভোগী জয়নব ও ময়না বলেন, নজরুল ও মফিজ প্রভাবশালী এবং বিত্তশালি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে রয়েছে তাদের সংশ্লিষ্টতা। টাকা ছাড়া ঘর পাওয়া যাবেনা বলে টাকা নিয়েছে। অনেক পরিশ্রম ও কষ্টের টাকা। তবে ঘর পায়নি তারা। তাদের পিছনে অনেক ঘুরেছি কিন্ত টাকাও ফেরত দেয়নি ঘরও দেয়নি। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। দ্রুতই সঠিক বিচার দাবী করেছেন তারা। মফিজ মাষ্টারের নিজের বোন ও শাসুরির নামে ঘর বরাদ্দ দেন বলে জানান তারা।এবিষয়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম ও মফিজ মাষ্টার বলেন, তাদের কাছে থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। ঘর পায়নি বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মামলার জবাব আমরা আদালতেই দিব।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে অনেক মানুষের কাছে থেকেই টাকা নিয়েছেন নজরুল ও মফিজ। ঘর না পেয়ে অনেকেই আদালতে মামলা করছেন। আদালতে মামলা সত্য প্রমাণিত হলে বাদিকে টাকা দিয়ে মিমাংসা করে মামলা তুলে নেওয়াচ্ছেন অভিযুক্তরা। প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমি সহ ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে, যতোগুলো ঘর রয়েছে, তার চাইতে অনেক বেশী দারিদ্র্য মানুষের কাছ থেকে অভিযুক্তরা টাকা নিয়ে রেখেছে বলে জানান তিনি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন হওয়ার জন্য আহবান জানান তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন