১০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বরিশালে ৭ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩১ কোটি ডলার

বরিশাল প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬০৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বরিশাল প্রতিনিধি :

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ঢাকা বিভাগের প্রবাসীরা। আর সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে রংপুর বিভাগে। বরিশালে এসেছে ৩১ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, গত জুলাই-জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা দেশে ১ হাজার ২৯০ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় রেমিট্যান্স এসেছে ৬১৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। জুলাই-জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৩৬৫ কেটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার, সিলেট বিভাগে ১৪২ কোটি ৯১ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৫১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৪১ কোটি ১১ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৩১ কোটি ডলার, ময়মনসিংহ বিভাগে ২২ কোটি ৮২ লাখ ডলার ও রংপুর বিভাগে ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।
আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা বিগত ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে, ২২ অক্টোবর থেকে বৈধ চ্যানেলে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় দেশে পাঠালে প্রতি ১০০ টাকায় আড়াই শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে প্রবাসীদের বাড়তি আরও আড়াই শতাংশ বেশি অর্থ দেয়ার নির্দেশনা কার্যকর করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারের দেয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাংশ অর্থ বেশি দিয়ে রেমিট্যান্স কিনতে পারবে ব্যাংকগুলো।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের মতে, বাড়তি প্রণোদনা পাওয়ায় প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়িয়েছেন। সামনে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।
গত জানুয়ারিতে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮৫ কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
জানুয়ারিতে ঢাকায় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৯ কেটি ৮৯ লাখ ডলার। এছাড়া সিলেট বিভাগে ২২ কোটি ৫০ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৫ কোটি ৯ লাখ ডলার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার ও রংপুর বিভাগে ২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এদিকে, গত ডিসেম্বরে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর গত নভেম্বর, অক্টোবর, সেপ্টেম্বর, আগস্ট ও জুলাইতে রেমিট্যান্স এসেছে যথাক্রমে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার, ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার, ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার, ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ও ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
গত অর্থবছরের রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইতে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার, আগস্টে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার, ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ, জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার এবং জুন মাসে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বরিশালে ৭ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩১ কোটি ডলার

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বরিশাল প্রতিনিধি :

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ঢাকা বিভাগের প্রবাসীরা। আর সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে রংপুর বিভাগে। বরিশালে এসেছে ৩১ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, গত জুলাই-জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা দেশে ১ হাজার ২৯০ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় রেমিট্যান্স এসেছে ৬১৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। জুলাই-জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৩৬৫ কেটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার, সিলেট বিভাগে ১৪২ কোটি ৯১ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৫১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৪১ কোটি ১১ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৩১ কোটি ডলার, ময়মনসিংহ বিভাগে ২২ কোটি ৮২ লাখ ডলার ও রংপুর বিভাগে ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।
আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা বিগত ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে, ২২ অক্টোবর থেকে বৈধ চ্যানেলে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় দেশে পাঠালে প্রতি ১০০ টাকায় আড়াই শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে প্রবাসীদের বাড়তি আরও আড়াই শতাংশ বেশি অর্থ দেয়ার নির্দেশনা কার্যকর করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারের দেয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাংশ অর্থ বেশি দিয়ে রেমিট্যান্স কিনতে পারবে ব্যাংকগুলো।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের মতে, বাড়তি প্রণোদনা পাওয়ায় প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়িয়েছেন। সামনে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।
গত জানুয়ারিতে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮৫ কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
জানুয়ারিতে ঢাকায় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৯ কেটি ৮৯ লাখ ডলার। এছাড়া সিলেট বিভাগে ২২ কোটি ৫০ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৫ কোটি ৯ লাখ ডলার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার ও রংপুর বিভাগে ২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এদিকে, গত ডিসেম্বরে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর গত নভেম্বর, অক্টোবর, সেপ্টেম্বর, আগস্ট ও জুলাইতে রেমিট্যান্স এসেছে যথাক্রমে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার, ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার, ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার, ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ও ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
গত অর্থবছরের রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইতে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার, আগস্টে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার, ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ, জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার এবং জুন মাসে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন