১১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্যক্তি মালিকানা জমিতে খাল খনন, প্রকল্পের বন্ধের দাবিতে মালিকদের অভিযোগ

মো. রাছেল, কচুয়া:
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের গোলবাহার গ্রামে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে খাল খনন প্রকল্পের বন্ধের দাবিতে জমির মালিকগন উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কাজের সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিকগন।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, গোলবাহার মৌজার উত্তর পশ্চিম প্রান্ত হতে দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত বর্তমান রাস্তার পূর্ব পার্শ্ব সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি বিদ্যমান। অনেক বছর আগে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করার ফলে জমির মালিকগন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এখন নতুন করে খাল খনন করা হলে তাহলে জমির মালিকগণ আবারো ক্ষতির সম্মুখীন হবে। খান খনন প্রকল্পের মাটি কাঁটতে হলে জমির সকল মালিকগণের জমির সীমানা নির্ধারণ করে খাল খনন করা হইক এমনি দাবি এলাকাবাসী। বর্তমান নাল/খালটি রেকর্ডভুক্ত ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মধ্যে অবস্থিত। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মধ্যে খাল খনন, মাটি কাঁটা বন্ধের জন্য আবেদন করেন। সরকারি বিধি বিধান ও খাল খনন আইন অনুযায়ী কাজ করলে অভিযোগকারীদের কোন আপত্তি থাকবে না। ভূমি জরিপ (সিএস, এসএ ও বি এস) অনুযায়ী খালের জায়গার অবস্থান রাস্তার কিছু অংশ এবং রাস্তার ঢালের মধ্যে অবস্থিত।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী কৃষি জমির মালিক-মারফত আলী মজুমদার, মাসুদ রানা, জাহাঙ্গীর খান, বেলায়েত ও ইব্রাহিম খানসহ অনেকে বলেন, ব্যক্তি মালিকাধীন জমির উপর স্থানীয় সরকারের অধীনে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রকল্পে খাল খননের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই খালটির এক পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় আমাদের জমির উপর এখন খালের অংশ চলে যায়। এখন খাল খনন করলে আমাদের কৃষি জমি, বসতবাড়ি ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে। এই খাল খনন সরকারি জায়গার উপর দিয়ে গেলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। বর্তমানে যেখান থেকে কাজ শুরু করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে ওই স্থানে খাল খনন বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেন, এখনো পর্যন্ত আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। যদি পরিষদে অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলিম লিটন জানান, অভিযোগ পেয়েছি খালটির জায়গায় নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর বরাবর চিঠি ইস্যু করছি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ব্যক্তি মালিকানা জমিতে খাল খনন, প্রকল্পের বন্ধের দাবিতে মালিকদের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:৫১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের গোলবাহার গ্রামে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে খাল খনন প্রকল্পের বন্ধের দাবিতে জমির মালিকগন উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কাজের সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিকগন।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, গোলবাহার মৌজার উত্তর পশ্চিম প্রান্ত হতে দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত বর্তমান রাস্তার পূর্ব পার্শ্ব সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি বিদ্যমান। অনেক বছর আগে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করার ফলে জমির মালিকগন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এখন নতুন করে খাল খনন করা হলে তাহলে জমির মালিকগণ আবারো ক্ষতির সম্মুখীন হবে। খান খনন প্রকল্পের মাটি কাঁটতে হলে জমির সকল মালিকগণের জমির সীমানা নির্ধারণ করে খাল খনন করা হইক এমনি দাবি এলাকাবাসী। বর্তমান নাল/খালটি রেকর্ডভুক্ত ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মধ্যে অবস্থিত। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মধ্যে খাল খনন, মাটি কাঁটা বন্ধের জন্য আবেদন করেন। সরকারি বিধি বিধান ও খাল খনন আইন অনুযায়ী কাজ করলে অভিযোগকারীদের কোন আপত্তি থাকবে না। ভূমি জরিপ (সিএস, এসএ ও বি এস) অনুযায়ী খালের জায়গার অবস্থান রাস্তার কিছু অংশ এবং রাস্তার ঢালের মধ্যে অবস্থিত।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী কৃষি জমির মালিক-মারফত আলী মজুমদার, মাসুদ রানা, জাহাঙ্গীর খান, বেলায়েত ও ইব্রাহিম খানসহ অনেকে বলেন, ব্যক্তি মালিকাধীন জমির উপর স্থানীয় সরকারের অধীনে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রকল্পে খাল খননের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই খালটির এক পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় আমাদের জমির উপর এখন খালের অংশ চলে যায়। এখন খাল খনন করলে আমাদের কৃষি জমি, বসতবাড়ি ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে। এই খাল খনন সরকারি জায়গার উপর দিয়ে গেলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। বর্তমানে যেখান থেকে কাজ শুরু করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে ওই স্থানে খাল খনন বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেন, এখনো পর্যন্ত আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। যদি পরিষদে অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলিম লিটন জানান, অভিযোগ পেয়েছি খালটির জায়গায় নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর বরাবর চিঠি ইস্যু করছি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন