১১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

‘নারী বন্দনা’

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:০৯:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৫৯

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

‘নারী বন্দনা’
রিপন কান্তি গুন

হে ! নারী
তুমি প্রাণের পিপাসা মিটানো, প্রেমের মধুর হাঁসি
প্রকৃতির সবুজ বৃক্ষের, মিলন মেলায় শ্যামল ছায়া,
জ্যোৎস্না রাতে, চাঁদ-জোছনার স্নিগ্ধতা রাশি রাশি ।
নারী তুমি ….
মেঘলা আকাশের বুক চিঁড়ে উঠা, নব প্রভাতের আলো
গহীন কালো আধার ভেঙে –
পাখির গুঞ্জনে, সোনালী ঊষার প্রদীপ জ্বালো ।
নারী তুমি…….
নদী মাতৃক বাংলার পদ্মা, মেঘনা, যমুনার মোহনা
তোমাতেই হয়, নব সৃষ্টির সূচনা,
কালের গর্ভে থেমে থাকা জীবনে, কর তুমি নব সুরের রচনা ।
নারী তুমি …..
শীতের সকালে, কুয়াশার বুকে ঝলমলে মিষ্টি রোদের খেলা
ফাল্গুনে প্রকৃতির বুকে –
কোকিলের কণ্ঠে বয়ে আন বসন্তের বারতা ।
তুমি, বর্ষায় খালে-বিলে সদ্য ফোটা,
লাল–সাদা শাপলার মেলা ।
নারী তুমি….
নজরুলের অগ্নিবীণা, রবি ঠাকুরের মানসী,
জীবনানন্দের বনলতা সেন,
মধুসূদনের মেঘনাদবধ অমর কাব্য !
তুমি নারী !
নারীত্ব তোমার অহংকার,
শত কষ্ট সয়ে, নবজাতক’কে দেখাও আলো,
প্রভেদ করনা কখনও লিঙ্গের ।
তুমি, ঘুমন্ত শিশুর নিশ্চিত কোল,
হৃদয় ভরা মমতা আর ভালবাসায় সিক্ত মাদার তেরেসা ।
নারী তুমি ……
ভক্ত রামকৃষ্ণের– “মা ভবতারিণী” রূপে হও আবির্ভূত
বামাক্ষ্যাপার- “মা তারা” রূপে তারাপিঠে হও পূজিত ।
তুমি, মুকুন্দরামের দেবী “চণ্ডীর” মহিমা
তুমি, মঙ্গল ঘটের “লক্ষী” প্রতিমা ।
তুমিই, জননী– তুমিই উৎস মনুষ্য কুলের
তুমি বসুধা ! তুমি-ই দুর্গা, তুমি-ই কালী !


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

‘নারী বন্দনা’

আপডেট সময় : ০৫:০৯:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

‘নারী বন্দনা’
রিপন কান্তি গুন

হে ! নারী
তুমি প্রাণের পিপাসা মিটানো, প্রেমের মধুর হাঁসি
প্রকৃতির সবুজ বৃক্ষের, মিলন মেলায় শ্যামল ছায়া,
জ্যোৎস্না রাতে, চাঁদ-জোছনার স্নিগ্ধতা রাশি রাশি ।
নারী তুমি ….
মেঘলা আকাশের বুক চিঁড়ে উঠা, নব প্রভাতের আলো
গহীন কালো আধার ভেঙে –
পাখির গুঞ্জনে, সোনালী ঊষার প্রদীপ জ্বালো ।
নারী তুমি…….
নদী মাতৃক বাংলার পদ্মা, মেঘনা, যমুনার মোহনা
তোমাতেই হয়, নব সৃষ্টির সূচনা,
কালের গর্ভে থেমে থাকা জীবনে, কর তুমি নব সুরের রচনা ।
নারী তুমি …..
শীতের সকালে, কুয়াশার বুকে ঝলমলে মিষ্টি রোদের খেলা
ফাল্গুনে প্রকৃতির বুকে –
কোকিলের কণ্ঠে বয়ে আন বসন্তের বারতা ।
তুমি, বর্ষায় খালে-বিলে সদ্য ফোটা,
লাল–সাদা শাপলার মেলা ।
নারী তুমি….
নজরুলের অগ্নিবীণা, রবি ঠাকুরের মানসী,
জীবনানন্দের বনলতা সেন,
মধুসূদনের মেঘনাদবধ অমর কাব্য !
তুমি নারী !
নারীত্ব তোমার অহংকার,
শত কষ্ট সয়ে, নবজাতক’কে দেখাও আলো,
প্রভেদ করনা কখনও লিঙ্গের ।
তুমি, ঘুমন্ত শিশুর নিশ্চিত কোল,
হৃদয় ভরা মমতা আর ভালবাসায় সিক্ত মাদার তেরেসা ।
নারী তুমি ……
ভক্ত রামকৃষ্ণের– “মা ভবতারিণী” রূপে হও আবির্ভূত
বামাক্ষ্যাপার- “মা তারা” রূপে তারাপিঠে হও পূজিত ।
তুমি, মুকুন্দরামের দেবী “চণ্ডীর” মহিমা
তুমি, মঙ্গল ঘটের “লক্ষী” প্রতিমা ।
তুমিই, জননী– তুমিই উৎস মনুষ্য কুলের
তুমি বসুধা ! তুমি-ই দুর্গা, তুমি-ই কালী !


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন