০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সংবাদ প্রকাশ ঠেকাতে এসআই প্রতাপের দৌড়ঝাঁপ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৭০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাজশাহী সংবাদদাতা

ঘুষের বিনিময়ে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আরএমপির বোয়ালিয়ার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রতাপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, অভিযান চালিয়ে দুই প্যাকেট ভর্তি ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী মিলি (৩২) কে আটক করে (এসআই) প্রতাপ কুমার রায়। ঘুষের বিনিময়ে প্যাকেট ভর্তি ইয়াবাগুলো আত্মসাতের পর ১৫ পিছের পলাতক দেখিয়ে স্বামী ডালিমকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকাবাসির মাঝে।

ইয়াবাসহ আটক নারী মাদক ব্যবসায়ী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় ও ঢাকার জাতীয় দৈনিক পত্রিকাতে সংবাদটি প্রকাশ হয়। এবার সংবাদটি প্রকাশ ঠেকাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে ঘুষ নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়া সেই এসআই প্রতাপ কুমার রায়। প্রকাশিত সংবাদটি যেন তুলে নেয়া হয় ও পরবর্তীতে সংবাদ না করতে স্থানীয় ও বিভিন্ন মহল দিয়ে ফন্দিফিকির করে যাচ্ছেন। এমনকি বহিরাগতদের দিয়েও সংবাদটি তুলে নিতে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে মুঠোফোনে ও বিভিন্নভাবে বার্তা পাঠিয়ে। বিষষটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন ‘খবর২৪ঘন্টার’ উপদেষ্টা সম্পাদক নজরুল ইসলাম জুলু।

এলাকাবাসি ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাজশাহী মহানগরীর পঞ্চবটি এলাকায় রাতে অভিযানে দুই প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী মিলিকে আটক করে বোয়ালিয়া মডেল থানার (এসআই) প্রতাপ কুমার রায়। দর কষাকষির এক পর্যাযে ১লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেন ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে! পরবর্তীতে ঘুষের টাকায় দুই প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনা আড়াল করে ১৫ পিছের পলাতক দেখিয়ে স্বামী ডালিমকে আসামি করে থানা এজাহার দায়ের করা হয়।

এসআই প্রতাপ কুমার রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন, প্রকাশিত সংবাদটি সরিয়ে নিতে ও এ ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেন। তিনি বলেন, মানবিক কারণে ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে ওই নারীকে ছেড়ে দেন তিনি। যার তথ্য প্রমান সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে।

এ ব্যাপারে, জানতে মুঠোফোনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার অপচেষ্টায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সংবাদ প্রকাশ ঠেকাতে এসআই প্রতাপের দৌড়ঝাঁপ

আপডেট সময় : ০৯:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাজশাহী সংবাদদাতা

ঘুষের বিনিময়ে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আরএমপির বোয়ালিয়ার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রতাপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, অভিযান চালিয়ে দুই প্যাকেট ভর্তি ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী মিলি (৩২) কে আটক করে (এসআই) প্রতাপ কুমার রায়। ঘুষের বিনিময়ে প্যাকেট ভর্তি ইয়াবাগুলো আত্মসাতের পর ১৫ পিছের পলাতক দেখিয়ে স্বামী ডালিমকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকাবাসির মাঝে।

ইয়াবাসহ আটক নারী মাদক ব্যবসায়ী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় ও ঢাকার জাতীয় দৈনিক পত্রিকাতে সংবাদটি প্রকাশ হয়। এবার সংবাদটি প্রকাশ ঠেকাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে ঘুষ নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়া সেই এসআই প্রতাপ কুমার রায়। প্রকাশিত সংবাদটি যেন তুলে নেয়া হয় ও পরবর্তীতে সংবাদ না করতে স্থানীয় ও বিভিন্ন মহল দিয়ে ফন্দিফিকির করে যাচ্ছেন। এমনকি বহিরাগতদের দিয়েও সংবাদটি তুলে নিতে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে মুঠোফোনে ও বিভিন্নভাবে বার্তা পাঠিয়ে। বিষষটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন ‘খবর২৪ঘন্টার’ উপদেষ্টা সম্পাদক নজরুল ইসলাম জুলু।

এলাকাবাসি ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাজশাহী মহানগরীর পঞ্চবটি এলাকায় রাতে অভিযানে দুই প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী মিলিকে আটক করে বোয়ালিয়া মডেল থানার (এসআই) প্রতাপ কুমার রায়। দর কষাকষির এক পর্যাযে ১লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেন ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে! পরবর্তীতে ঘুষের টাকায় দুই প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনা আড়াল করে ১৫ পিছের পলাতক দেখিয়ে স্বামী ডালিমকে আসামি করে থানা এজাহার দায়ের করা হয়।

এসআই প্রতাপ কুমার রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন, প্রকাশিত সংবাদটি সরিয়ে নিতে ও এ ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেন। তিনি বলেন, মানবিক কারণে ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে ওই নারীকে ছেড়ে দেন তিনি। যার তথ্য প্রমান সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে।

এ ব্যাপারে, জানতে মুঠোফোনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার অপচেষ্টায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন