১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ওসির হস্তক্ষেপে ভিক্ষুকের কষ্টের অবসান

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৬৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রানা সেরনিয়াবাত, বরিশাল

বাকেরগঞ্জের গারুড়িয়ার ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদে ৩০ বছর ভিক্ষা করে মানুষ করা সন্তানদের অবহেলা ও নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার হয় হীরাধার গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ মা রওশন আরা বেগম। বিষয়টি গত ২৯ নভেম্বর বেশ কিছু জাতীয় ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলনের নজরে আসলে তার নির্দেশে থানার এএসআই হাফেজুর ও এএসআই ফিরোজ সহ পুলিশের একটি টিম রওশনারা বেগমের বাড়িতে গিয়ে ওসি আলাউদ্দিন মিলনের ব্যক্তিগত অর্থে শীতবস্ত্র, কম্বল, চিকিৎসার জন্য নগদ ২ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেন।

তখন রওশনারার ছেলে খালেক, তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম ও খালেকের চাচাতো ভাই সুলতানকে ডেকে বৃদ্ধা রওশনারা বেগমকে ছেলে খালেকের ঘরে তুলে নিতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সেবা যত্ন ও চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন। তখন খালেক ও তার স্ত্রী মায়ের অবহেলা করার জন্য তার মা’সহ সকলের কাছে ক্ষমা চান। ৩০ নভেম্বর খালেক ও তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম সকাল ১০ টায় থানায় এসে ওসি’র সাথে দেখা করে ওয়াদা করেন তাদের মায়ের আর কোনোদিন অবহেলা করবে না।

উল্লেখ্য, গারুড়িয়া ইউনিয়নের হীরাধার গ্রামের মমিন উদ্দিন হাওলাদার মারা যাওয়ার পর ৩০ বছর ভিক্ষা করেই রওশনারা বেগম ১ ছেলে ও ১ মেয়েকে বড় করছেন। ছেলে খালেক হাওলাদার পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ভিক্ষা করে মানুষ করা সন্তানদের অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার হন ৭০ বছরের বৃদ্ধ মা। খালেক তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্য ঘরে বসবাস করলেও বৃদ্ধ মায়ের খোঁজ খবর রাখতেন না। ৭০ বছর বয়সে হাঁটা চলার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন রওশনারা বেগম। ওসি আলাউদ্দিন মিলনের এমন মানবিক কর্মে বাকেরগঞ্জ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে প্রশংসা অর্জন করেছেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ওসির হস্তক্ষেপে ভিক্ষুকের কষ্টের অবসান

আপডেট সময় : ০৭:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রানা সেরনিয়াবাত, বরিশাল

বাকেরগঞ্জের গারুড়িয়ার ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদে ৩০ বছর ভিক্ষা করে মানুষ করা সন্তানদের অবহেলা ও নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার হয় হীরাধার গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ মা রওশন আরা বেগম। বিষয়টি গত ২৯ নভেম্বর বেশ কিছু জাতীয় ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলনের নজরে আসলে তার নির্দেশে থানার এএসআই হাফেজুর ও এএসআই ফিরোজ সহ পুলিশের একটি টিম রওশনারা বেগমের বাড়িতে গিয়ে ওসি আলাউদ্দিন মিলনের ব্যক্তিগত অর্থে শীতবস্ত্র, কম্বল, চিকিৎসার জন্য নগদ ২ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেন।

তখন রওশনারার ছেলে খালেক, তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম ও খালেকের চাচাতো ভাই সুলতানকে ডেকে বৃদ্ধা রওশনারা বেগমকে ছেলে খালেকের ঘরে তুলে নিতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সেবা যত্ন ও চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন। তখন খালেক ও তার স্ত্রী মায়ের অবহেলা করার জন্য তার মা’সহ সকলের কাছে ক্ষমা চান। ৩০ নভেম্বর খালেক ও তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম সকাল ১০ টায় থানায় এসে ওসি’র সাথে দেখা করে ওয়াদা করেন তাদের মায়ের আর কোনোদিন অবহেলা করবে না।

উল্লেখ্য, গারুড়িয়া ইউনিয়নের হীরাধার গ্রামের মমিন উদ্দিন হাওলাদার মারা যাওয়ার পর ৩০ বছর ভিক্ষা করেই রওশনারা বেগম ১ ছেলে ও ১ মেয়েকে বড় করছেন। ছেলে খালেক হাওলাদার পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ভিক্ষা করে মানুষ করা সন্তানদের অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার হন ৭০ বছরের বৃদ্ধ মা। খালেক তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্য ঘরে বসবাস করলেও বৃদ্ধ মায়ের খোঁজ খবর রাখতেন না। ৭০ বছর বয়সে হাঁটা চলার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন রওশনারা বেগম। ওসি আলাউদ্দিন মিলনের এমন মানবিক কর্মে বাকেরগঞ্জ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে প্রশংসা অর্জন করেছেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন