বাউফলে ব্যবসায়ীকে অস্ত্র দেখিয়ে চেয়ারম্যানের নামে টাকা নেওয়ার মিথ্যা স্বীকারোক্তি: থানায় অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৮:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
- / ৭৮
বরিশাল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী বাজারের পুলিশ ক্যাম্প রোডের ইলেকট্রিক ও স্যানিটারি ব্যবসায়ীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয় ভিত্তি দেখিয়ে কেশবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান গাজী ও তার ছেলে সজীব গাজীর নামে মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেশবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের এর বিরুদ্ধে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে কালিশুরী বাজারের পুরানো ব্রিজ সংলগ্নে ফল ব্যবসায়ী কালাম খানের বাড়িতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ব্যবসায়ী আমিনুল হোসাইনকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেখিয়ে চাকরির বিষয়ে টাকা পয়সা নেওয়ার মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিয়েছে। ভুক্তভোগী মোঃ আমিরুল হোসাইন পিতা মৃত্যু চান্দু হাওলাদার ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কমলাপুর গ্রামের বাসিন্দ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মোঃ আমিনুল হোসাইন তিনি বলেন, আমি বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পরে আমাদের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাড়িতে এসে বলে আমিনুল তুমি আমার সাথে চলো আমিনুল বলে আমি কোথায় যাব সাইফুল বলে একটি শার্ট নিয়ে আসো আমার সাথে কালিশুরী খান বাড়িতে যাবা বলে মোটরসাইকেল যোগে কালিশুরী খান বাড়িতে নিয়ে আসার পরে একটি কক্ষে নিয়ে গেট লাগিয়ে দেয় সাইফুলের সাথে থাকা দুই তিন জন নিয়ে একটি অস্ত্র দেখিয়ে চাকরি টাকা পয়সার শাজাহান গাজীর ছেলের সজীবের সাথে নিজ হাতে লেনদেন করেছে বলে মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিয়েছে এবং আমার নিজের মোবাইল কেড়ে নিয়ে মোবাইলের লক খুলে একাধিকবার স্বীকারোক্তি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে আমার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। আমি এ বিষয়ে বাউফল থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমার ভাতিজা আমাকে ফোন করে বলেন আমার মা এবং বোন কালিশুরী ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য যাবে আপনি আমার মা এবং বোনকে একটু সহযোগিতা করবেন কিন্তু একই একাউন্টের দুইবার টাকা উত্তোলন করা যাবে না বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান ব্যাংক থেকে চলে আসার পরে আমিনুলের দোকানে বসে ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান গাজীর ছেলে সজীব গাজীর সাথে কথাবার্তা বলে চলে যায়।
কেশবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান গাজীকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিকু স্যারের মৃত্যুর পরে ইউনিয়ন পরিষদের পদটি শূন্য থাকার কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ইউপি সদস্যের মাধ্যমে একটি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হলে একটি কুচক্রী মহল সেই থেকে আমার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন আমি চাকরি দেওয়ার কেউ নয় আমার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এবিষয় কেশবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটি এম আরিচুর রহমানকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।