নারায়ণগঞ্জে কোটি টাকার বিদেশী মদ ধ্বংস, দেশী ও বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার
- আপডেট সময় : ১২:২৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
- / ৮২
প্রতিদিনের নিউজঃ-
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত র্যাব-১১’র সদর দপ্তরে প্রায় ৩৭ কোটি টাকার বিদেশী মদ ধ্বংস করেছে র্যাব। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহানা ফেরদৌস, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট এবং জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন) গণের উপস্থিতিতে মদগুলো ধ্বংস করা হয়।
এর আগে গত ২৩ জুলাই র্যাবের অভিযানে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবৈধভাবে আমদানিকৃত দুইটি কন্টেইনার টেইলার হতে তল্লাশীপূর্বক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৬,৮১৬ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মাদকের মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। অতঃপর এই অবৈধ চালান আমদানী কারবারের সাথে জড়িতদের ঢাকার ওয়ারীস্থ বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নগদ দেশী এবং বিদেশী মুদ্রা আটক করা হয়।
উক্ত অভিযানে মোঃ নাজমুল মোল্লা (২৩), মোঃ সাইফুল ইসলাম সাইফুল (৩৪) কে গ্রেফতার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ জুলাই সকালে বিমান বন্দর এলাকা হতে এই চক্রের অন্যতম হোতা আব্দুল আহাদ (২২) কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত বর্ণিত মাদক আমাদানি ও বিপণন এর সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
উক্ত মাদক ধ্বংসকরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন র্যাব ফোর্সেস এর মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি জনাব এম খুরশীদ হোসেন, বিপিএম (বার), পিপিএম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান মোল্লা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.শামসুর রহমান, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর মোহসিন, র্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ফোর্সেস এর মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি জনাব এম খুরশীদ হোসেন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টোলারেন্স ঘোষণা করেছে। সেই জিরো টোলারেন্সকে সামনে রেখেই র্যাব ফোর্সেস মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা পালন করে আসছে। যেখানে মাদক থাকে সেখানে অবৈধ অস্ত্রসহ নারী পাচারের মতো নানা অপকর্ম হয়ে থাকে। কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। প্রত্যেকটি সেক্টরে মাদকের প্রভাব পড়ছে। ডোপটেস্ট করার মাধ্যমে প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টে থেকে শুরু করে শিক্ষক পর্যন্ত মাদকের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরো বলেন, মাদকে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা করতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সমাজের সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পরিবার, শিক্ষক, গণপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকল স্টেক হোল্ডারগণকে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশ হতে মাদক নির্মূল সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাই মাদক নির্মূলে সমাজের সকল স্টেক হোল্ডারগণের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।