০৩:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫

সোনারগাঁয়ে ছদ্দবেশী মাদক ব্যবসায়ী সাঈদ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১০৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাজহারুল রাসেল :

নারায়ণগঞ্জ উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভার মল্লিকপাড়া উত্তমদি গ্রামের মৃত মোখলেস উদ্দিনের ছেলে সাঈদ দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিষিদ্ধ মাদক ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ সকল প্রকার মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে। বাড়ির চতুর্দিকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সাঈদ।
মাদক বিক্রেতা সাঈদ বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই আমরা মাদক ব্যবসা করি। আপনার মতো সাংবাদিক আমাদের কিছু করতে পারবেন না। এই দেশে টাকা হলে সব কিছু করা সম্ভব।
এক সময় সোনারগাঁয়ের মাদকসম্রাট জসিমের ছত্র ছায়ায় সাঈদ মাদক ব্যবসা করতেন। জসিম এর সাথে ঝামেলা পর থেকে সে নিজেই এখন মাদক ব্যবসায়ী হয়ে উঠেন।
মাদক সম্রাট সাঈদের কারণে মাদকে ভাসছে মল্লিকের পাড়ার উত্তমদি ও সোনাখালি গ্রাম দুটি। মাদক ব্যবসায়ী সাঈদের মাদকের ভান্ডারের কারণে মল্লিকের পাড়ায় হাত বাড়ালেই মিলছে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। জেলা পুলিশ উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা বার বার মাদকের ব্যাপারে কঠোর হুংকার দিলেও কিছুতেই কর্ণপাত করছে না মাদক ব্যবসায়ী সাঈদ। এই মাদককারবারী মাদক সম্রাট সাঈদের বিরুদ্ধে এখনি কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় তার মাধ্যমে যুব সমাজ ধ্বংস হবে।
তবে সোনারগাঁও থানা পুলিশ থানার অন্যান্য এলাকায় মাদকের ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা নিলেও সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকার মল্লিকের পাড়া উত্তমদি গ্রামে স্থানীয় পুলিশের তৎপর না থাকায় আর এ সুযোগে এই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সাঈদ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। তাছাড়া এলাকাবাসি জানান, মাদক সম্রাট সাঈদ এলাকার মাদকের ডিলার। কয়েক বছর আগে র‌্যাব-১১ এর হাতে ১৫ শত বোতল ফেনসিডিল সহ আটক হন।
তবে সচেতন মহল মনে করেন, শুধু ছিচঁকে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে মাদক নির্মূল কিছুতেই সম্ভব নয়। এছাড়া থানা পুলিশের দূর্বল চার্জশিটে, মামলার দীর্ঘ সূত্রতা সাক্ষীর অভাবের কারণে আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দিচ্ছে। এই সাজা আপিল যোগ্য বিধান থাকায় এরা সাজা শেষ হওয়ার আগেই জামিনে বের হয়ে আসছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে যে সব মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হয় তার বেশীর ভাগই সেলসম্যান অথচ মাদকের মুল গড ফাদাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে থাকছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে। তাদের সেলসম্যানরা গ্রেফতার হলে মূল ব্যবসায়ীরা তাদের আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে আবার একই ব্যবসায় নিয়োজিত করান। এছাড়া মাদক সম্রাটরা কখনো কখনো কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে।আবার কেউ কেউ নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট পরিসরে মাদক ব্যবসা করছে।
এমাদকের বিষয়ে এলাকার সচেতন মানুষ যদি কোন প্রতিবাদ করে তবে মাদকের গডফাদার সাঈদ সে সব লোকজনকে কোন না কোন ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে উল্টো তাদেরকে হয়রানি করতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।পুলিশের দাবী মাদক ব্যবসায়ীরা সমাজের এবং দেশের শত্রু। মাদককারবারি করে কেউ পার পাবে না।
এই বিষয়ে মাদক সম্রাট সাঈদের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল পিপিএম বার জানান, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরু টলারেন্স। কোন মাদককারবারিকে ছাড় দেয়া হবে না।খুব শীঘ্রই মাদক ব্যবসায়ী সাঈদকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সোনারগাঁয়ে ছদ্দবেশী মাদক ব্যবসায়ী সাঈদ

আপডেট সময় : ০৫:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাজহারুল রাসেল :

নারায়ণগঞ্জ উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভার মল্লিকপাড়া উত্তমদি গ্রামের মৃত মোখলেস উদ্দিনের ছেলে সাঈদ দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিষিদ্ধ মাদক ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ সকল প্রকার মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে। বাড়ির চতুর্দিকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সাঈদ।
মাদক বিক্রেতা সাঈদ বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই আমরা মাদক ব্যবসা করি। আপনার মতো সাংবাদিক আমাদের কিছু করতে পারবেন না। এই দেশে টাকা হলে সব কিছু করা সম্ভব।
এক সময় সোনারগাঁয়ের মাদকসম্রাট জসিমের ছত্র ছায়ায় সাঈদ মাদক ব্যবসা করতেন। জসিম এর সাথে ঝামেলা পর থেকে সে নিজেই এখন মাদক ব্যবসায়ী হয়ে উঠেন।
মাদক সম্রাট সাঈদের কারণে মাদকে ভাসছে মল্লিকের পাড়ার উত্তমদি ও সোনাখালি গ্রাম দুটি। মাদক ব্যবসায়ী সাঈদের মাদকের ভান্ডারের কারণে মল্লিকের পাড়ায় হাত বাড়ালেই মিলছে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। জেলা পুলিশ উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা বার বার মাদকের ব্যাপারে কঠোর হুংকার দিলেও কিছুতেই কর্ণপাত করছে না মাদক ব্যবসায়ী সাঈদ। এই মাদককারবারী মাদক সম্রাট সাঈদের বিরুদ্ধে এখনি কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় তার মাধ্যমে যুব সমাজ ধ্বংস হবে।
তবে সোনারগাঁও থানা পুলিশ থানার অন্যান্য এলাকায় মাদকের ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা নিলেও সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকার মল্লিকের পাড়া উত্তমদি গ্রামে স্থানীয় পুলিশের তৎপর না থাকায় আর এ সুযোগে এই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সাঈদ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। তাছাড়া এলাকাবাসি জানান, মাদক সম্রাট সাঈদ এলাকার মাদকের ডিলার। কয়েক বছর আগে র‌্যাব-১১ এর হাতে ১৫ শত বোতল ফেনসিডিল সহ আটক হন।
তবে সচেতন মহল মনে করেন, শুধু ছিচঁকে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে মাদক নির্মূল কিছুতেই সম্ভব নয়। এছাড়া থানা পুলিশের দূর্বল চার্জশিটে, মামলার দীর্ঘ সূত্রতা সাক্ষীর অভাবের কারণে আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দিচ্ছে। এই সাজা আপিল যোগ্য বিধান থাকায় এরা সাজা শেষ হওয়ার আগেই জামিনে বের হয়ে আসছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে যে সব মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হয় তার বেশীর ভাগই সেলসম্যান অথচ মাদকের মুল গড ফাদাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে থাকছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে। তাদের সেলসম্যানরা গ্রেফতার হলে মূল ব্যবসায়ীরা তাদের আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে আবার একই ব্যবসায় নিয়োজিত করান। এছাড়া মাদক সম্রাটরা কখনো কখনো কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে।আবার কেউ কেউ নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট পরিসরে মাদক ব্যবসা করছে।
এমাদকের বিষয়ে এলাকার সচেতন মানুষ যদি কোন প্রতিবাদ করে তবে মাদকের গডফাদার সাঈদ সে সব লোকজনকে কোন না কোন ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে উল্টো তাদেরকে হয়রানি করতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।পুলিশের দাবী মাদক ব্যবসায়ীরা সমাজের এবং দেশের শত্রু। মাদককারবারি করে কেউ পার পাবে না।
এই বিষয়ে মাদক সম্রাট সাঈদের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল পিপিএম বার জানান, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরু টলারেন্স। কোন মাদককারবারিকে ছাড় দেয়া হবে না।খুব শীঘ্রই মাদক ব্যবসায়ী সাঈদকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন