০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

না’গঞ্জে মাদ্রসা ছাত্রী ধর্ষণ, যাত্রাবাড়ি থেকে আসামী গ্রেফতার

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:২০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৬৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মাদ্রাসা ছাত্রী জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী উজ্জল (২২)’কে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ি থানাধীন ধলপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানাধীন হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদের ধন্দী গ্রামের হানিফার ছেলে।

রবিবার (২৭ নভেম্বর) র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পরিচালক মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বারক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, ভিকটিম মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে প্রথমে উত্যক্ত ও একপর্যায়ে প্রেম নিবেদন করে। ভিকটিম তার প্রস্তাব ঘৃনতার সাথে প্রত্যাখান করেন। বিগত ৩ মাস পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামীসহ তার অন্যান্য সহযোগিরা পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিমকে বিভিন্ন উপায়ে ফুসলিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী উজ্জলের বসতঘরে নিয়ে আসে। অতঃপর গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ঘটনার পর গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে বিবাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি প্রদান করে, যার ফলে ভিকটিম ধর্ষণের ঘটনাটি মান সম্মানের ভয়ে প্রকাশ করে না। এভাবে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও ভয়ভীতি প্রদানের মাধ্যমে প্রায়ই ভিকটিমকে ধর্ষণ করে আসছিল। তবে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর গ্রেফতারকৃত আসামীর সাথে যোগাযোগ করে বিয়ের কথা বললে, আসামী উজ্জল ভিকটিমকে বিয়ে করবে না বলে জানায়। এই পাশবিক ও নৃশংস ধর্ষণের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত ধর্ষণের পর হতে এজাহারনামীয় আসামী উজ্জল কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল ধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামী উজ্জলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং মামলার হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

না’গঞ্জে মাদ্রসা ছাত্রী ধর্ষণ, যাত্রাবাড়ি থেকে আসামী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৭:২০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মাদ্রাসা ছাত্রী জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী উজ্জল (২২)’কে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ি থানাধীন ধলপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানাধীন হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদের ধন্দী গ্রামের হানিফার ছেলে।

রবিবার (২৭ নভেম্বর) র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পরিচালক মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বারক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, ভিকটিম মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে প্রথমে উত্যক্ত ও একপর্যায়ে প্রেম নিবেদন করে। ভিকটিম তার প্রস্তাব ঘৃনতার সাথে প্রত্যাখান করেন। বিগত ৩ মাস পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামীসহ তার অন্যান্য সহযোগিরা পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিমকে বিভিন্ন উপায়ে ফুসলিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী উজ্জলের বসতঘরে নিয়ে আসে। অতঃপর গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ঘটনার পর গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে বিবাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি প্রদান করে, যার ফলে ভিকটিম ধর্ষণের ঘটনাটি মান সম্মানের ভয়ে প্রকাশ করে না। এভাবে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও ভয়ভীতি প্রদানের মাধ্যমে প্রায়ই ভিকটিমকে ধর্ষণ করে আসছিল। তবে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর গ্রেফতারকৃত আসামীর সাথে যোগাযোগ করে বিয়ের কথা বললে, আসামী উজ্জল ভিকটিমকে বিয়ে করবে না বলে জানায়। এই পাশবিক ও নৃশংস ধর্ষণের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত ধর্ষণের পর হতে এজাহারনামীয় আসামী উজ্জল কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল ধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামী উজ্জলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং মামলার হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন