০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামে পুলিশ সদস্যসহ চার আসামি রিমান্ডে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৬৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইয়াছিন আলী ইমন,কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রাম শহরের আরডিআরএস নামক এনজিও’র ভেতরের পুকুর থেকে মাহমুদ উল ফেরদৌস মামুন (২৮) নামে এক প্রকৌশলীর ভাসমান লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (রাজারহাট আমলি আদালত) বিচারক লিটন চন্দ্র রায় এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে কুড়িগ্রাম শহরের আরডিআরএস নামক এনজিও’র পেছনের পুকুর থেকে প্রকৌশলী মামুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের ছবরুল হকের ছেলে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করা মামুন গত ৯ অক্টোবর বাসা থেকে কুড়িগ্রাম শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে তার বাবা রাজারহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে পুলিশ গত ১৫ অক্টোবর রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরের দিন পুকুর থেকে মামুনের লাশ উদ্ধার করা হয়।মামুন হত্যাকাণ্ডের শিকার নাকি অন্য কোনোভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে মাদক সংক্রান্ত লেনদেনের জেরে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে পুলিশ চার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।গ্রেফতার পুলিশ সদস্যের নাম নুর মোহাম্মদ আপেল (বিপি ১১২৫)। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত। তাকে নজরদারিতে রাখার পর গতকাল মঙ্গলবার গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতার অপর তিন আসামি হলেন, সোহেল রানা (২২), মমিনুল ইসলাম (১৯) এবং ফেরদৌস প্রান্ত (১৯)। এদেরকে গত রবিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোহেল রানা কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে, মমিনুল ইসলাম হাসপাতালপাড়ার রবিউল ইসলাম রবির ছেলে এবং ফেরদৌস প্রান্ত একই এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে। এদিকে মামুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লা হিল জামানকে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার তদন্তে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে।’


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কুড়িগ্রামে পুলিশ সদস্যসহ চার আসামি রিমান্ডে

আপডেট সময় : ০৮:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইয়াছিন আলী ইমন,কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রাম শহরের আরডিআরএস নামক এনজিও’র ভেতরের পুকুর থেকে মাহমুদ উল ফেরদৌস মামুন (২৮) নামে এক প্রকৌশলীর ভাসমান লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (রাজারহাট আমলি আদালত) বিচারক লিটন চন্দ্র রায় এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে কুড়িগ্রাম শহরের আরডিআরএস নামক এনজিও’র পেছনের পুকুর থেকে প্রকৌশলী মামুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের ছবরুল হকের ছেলে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করা মামুন গত ৯ অক্টোবর বাসা থেকে কুড়িগ্রাম শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে তার বাবা রাজারহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে পুলিশ গত ১৫ অক্টোবর রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরের দিন পুকুর থেকে মামুনের লাশ উদ্ধার করা হয়।মামুন হত্যাকাণ্ডের শিকার নাকি অন্য কোনোভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে মাদক সংক্রান্ত লেনদেনের জেরে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে পুলিশ চার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।গ্রেফতার পুলিশ সদস্যের নাম নুর মোহাম্মদ আপেল (বিপি ১১২৫)। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত। তাকে নজরদারিতে রাখার পর গতকাল মঙ্গলবার গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতার অপর তিন আসামি হলেন, সোহেল রানা (২২), মমিনুল ইসলাম (১৯) এবং ফেরদৌস প্রান্ত (১৯)। এদেরকে গত রবিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোহেল রানা কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে, মমিনুল ইসলাম হাসপাতালপাড়ার রবিউল ইসলাম রবির ছেলে এবং ফেরদৌস প্রান্ত একই এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে। এদিকে মামুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লা হিল জামানকে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার তদন্তে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে।’


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন