১০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

পীরগঞ্জে হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বি হাবিব

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৮৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আঃ আলিম ঠাকুরগাঁও:

ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ২ কেষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের কোষাডাংগি পাড়ার সাহেদুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (৪৫) পেশায় একজন কৃষক। ছোট বেলা থেকে কৃষি কাজের পাশাপাশি স্বপ্ন দেখতেন নিজের বাসায় খামার করার।
এই স্বপ্ন যেন তাকে তাড়া করত সব সময়, তাইতো স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে অনেক চেষ্টা করে নিজ উদ্যোগে নিজের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন হাঁসের খামার, তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে গত পাঁছ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করে তৈরি করেছেন হাঁসের খামার হাসেঁর খামার করে গত ৫ বছর ধরে নিজের প্রচেষ্টা তিল তিল করে তার নিজের লক্ষে পৌঁছাতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করেন হাবিবুর রহমান হাবিব।
ব্যাংক এবং এনজিও থেকে লোন নিয়ে বন্ধুদের পরামর্শে এবং উপজেলা প্রাণী সম্পদের কর্মকর্তাদের পরামর্শে অল্প অল্প করে তিলে তিলে আজকে এই খামার প্রতিষ্ঠিত করেছেন হাবিব ।
প্রথমে ৬০০ হাঁস ক্রয় করে এবং সেগুলো বিক্রী করে, পরে ১০৭০ পিছ হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে যার প্রতিটির মুল্য ৫০ টাকা, বর্তমানে এই হাউসগুলোর বয়স চলছে ৫ মাস ১৪ দিন। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮ টি হাঁস মারা গেলেও বর্তমানে তার খামারে ১০৬২ টি হাঁস রয়েছে। এখন তার খামারে গড়ে ২০০ ডিম দিচ্ছে দিচ্ছে হাঁসগুলে যার বাজার মুল্য ২৬০০ টাকা, প্রতিদিন ৭ হাজার টাকা খরচ হয় তার এই খামারে, তবে আগামি ৬ মাস পূর্ণ হলে সবগুলো হাঁস ডিম দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বলে জানান তিনি।
গড়ে প্রতিদিন ১৩ হাজার টাকার ডিম বিক্রী করবেন বলে আশা করছেন এই খামারী। বর্তমানে হাঁস গুলোর বাজার মুল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। হাঁস পালন করে ডিম উৎপাদন করে কয়েক লাখ টাকা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন খামারি হাবিব।
হাবিবুর রহমান ( হাবিব) বলেন, প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত হাঁসগুলো দেখভাল করে আমি কৃষিকাজে চলে যাই, এর পর আমার স্ত্রী দেখাশুনা করেন। তিনি বলেন সর্বদা নিবির পরিচর্যার মধ্যে রাখতে হয়।
তা না করলে ভাইরাসে আক্রমণ করতে পারে, তিনি আরও বলেন আমার এই খামারের ডিম দিয়ে এলাকার পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে এলাকার ব্যাবসায়ীদের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে আশা করেন এই খামারি।
এলাকার দেখতে আসা দর্শনাথীরা জানান, এই খামার দেখে আমাদের খুব ভাল লেগেছে ভবিষ্যতে আমরাও এরকম খামার করার চেষ্টা করবো।
হাঁসের খামারীর স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, যদিও হাঁসের খামার করা কষ্টদায়ক তারপরও এই খামার করে দ্বীগুন টাকা আয় করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রনজিৎ চন্দ্র সিংহ বলেন, আমরা খামারীদের পরামর্শ ও সহযোগীতা করে আসছি, এবার পীরগঞ্জ উপজেলায় অনেক জায়গায় ছোট ছোট হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে, আশা করি খামারীরা দ্বিগুণ লাভবান হবেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

পীরগঞ্জে হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বি হাবিব

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আঃ আলিম ঠাকুরগাঁও:

ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ২ কেষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের কোষাডাংগি পাড়ার সাহেদুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (৪৫) পেশায় একজন কৃষক। ছোট বেলা থেকে কৃষি কাজের পাশাপাশি স্বপ্ন দেখতেন নিজের বাসায় খামার করার।
এই স্বপ্ন যেন তাকে তাড়া করত সব সময়, তাইতো স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে অনেক চেষ্টা করে নিজ উদ্যোগে নিজের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন হাঁসের খামার, তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে গত পাঁছ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করে তৈরি করেছেন হাঁসের খামার হাসেঁর খামার করে গত ৫ বছর ধরে নিজের প্রচেষ্টা তিল তিল করে তার নিজের লক্ষে পৌঁছাতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করেন হাবিবুর রহমান হাবিব।
ব্যাংক এবং এনজিও থেকে লোন নিয়ে বন্ধুদের পরামর্শে এবং উপজেলা প্রাণী সম্পদের কর্মকর্তাদের পরামর্শে অল্প অল্প করে তিলে তিলে আজকে এই খামার প্রতিষ্ঠিত করেছেন হাবিব ।
প্রথমে ৬০০ হাঁস ক্রয় করে এবং সেগুলো বিক্রী করে, পরে ১০৭০ পিছ হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে যার প্রতিটির মুল্য ৫০ টাকা, বর্তমানে এই হাউসগুলোর বয়স চলছে ৫ মাস ১৪ দিন। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮ টি হাঁস মারা গেলেও বর্তমানে তার খামারে ১০৬২ টি হাঁস রয়েছে। এখন তার খামারে গড়ে ২০০ ডিম দিচ্ছে দিচ্ছে হাঁসগুলে যার বাজার মুল্য ২৬০০ টাকা, প্রতিদিন ৭ হাজার টাকা খরচ হয় তার এই খামারে, তবে আগামি ৬ মাস পূর্ণ হলে সবগুলো হাঁস ডিম দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বলে জানান তিনি।
গড়ে প্রতিদিন ১৩ হাজার টাকার ডিম বিক্রী করবেন বলে আশা করছেন এই খামারী। বর্তমানে হাঁস গুলোর বাজার মুল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। হাঁস পালন করে ডিম উৎপাদন করে কয়েক লাখ টাকা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন খামারি হাবিব।
হাবিবুর রহমান ( হাবিব) বলেন, প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত হাঁসগুলো দেখভাল করে আমি কৃষিকাজে চলে যাই, এর পর আমার স্ত্রী দেখাশুনা করেন। তিনি বলেন সর্বদা নিবির পরিচর্যার মধ্যে রাখতে হয়।
তা না করলে ভাইরাসে আক্রমণ করতে পারে, তিনি আরও বলেন আমার এই খামারের ডিম দিয়ে এলাকার পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে এলাকার ব্যাবসায়ীদের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে আশা করেন এই খামারি।
এলাকার দেখতে আসা দর্শনাথীরা জানান, এই খামার দেখে আমাদের খুব ভাল লেগেছে ভবিষ্যতে আমরাও এরকম খামার করার চেষ্টা করবো।
হাঁসের খামারীর স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, যদিও হাঁসের খামার করা কষ্টদায়ক তারপরও এই খামার করে দ্বীগুন টাকা আয় করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রনজিৎ চন্দ্র সিংহ বলেন, আমরা খামারীদের পরামর্শ ও সহযোগীতা করে আসছি, এবার পীরগঞ্জ উপজেলায় অনেক জায়গায় ছোট ছোট হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে, আশা করি খামারীরা দ্বিগুণ লাভবান হবেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন