১২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বারহাট্টায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের বই বিক্রির অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:১৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৬৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নেত্রকোনা সংবাদদাতা:

নেত্রকোনার বারহাট্টায় মনকান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শোভনা আচার্যর বিরুদ্ধে প্রাথমিক স্তরের ৬০ কেজি বই ভাঙারি দোকানে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কুলে পড়ে থাকা ৬০ কেজি বই প্রতিকেজি ৩০ টাকা দরে ভাঙারি দোকানির কাছে বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষক শোভনা আচার্য।
ভাঙারি ব্যবসায়ী শরীফ ও রায়হান বই ক্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,বৃহস্পতিবার মনকান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে মোট ৬০ কেজি বই কিনেছি। তারা বলেন, স্কুলের শিক্ষকরা এসব বই বিক্রি করেছেন। তবে, বিক্রয়কারী শিক্ষকদের নাম তাদের জানা নেই বলেও জানান।
বারহাট্টা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিনয় চন্দ্র শর্মা বলেন, স্কুলের বই বই পুরাতন বা নতুন যেমনই হোক শিক্ষকদের তা বিক্রি করার কোন এখতিয়ার নেই। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত মনকান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শোভনা আচার্য বলেন, আমি বই বিক্রি করিনি। পুরানো কিছু খাতা জমে ছিল তা বিক্রি করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিনয় চন্দ্র শর্মা বলেন, স্কুল থেকে বই বিক্রি করা হয়েছে, এমন খবর পেয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রহুল আমিন সহেবকে তদন্তে পাঠিয়েছি। ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, স্কুলের সরকারি বই শিক্ষকদের বিক্রি করার নিয়ম নেই। বই পুরাতন বা নতুন যেমন বই হোক।
সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রহুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। সাংবাদিকদের কাছে তথ্য প্রমাণ থাকলে তা দিয়ে সহায়তা করেন। এ বিষয়ে জেলা কর্মকর্তাকেও অবগত করা হয়েছ। বই গ্রহণ ও বিতরণের রেজিস্ট্রার চেক করে, অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুনকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ওয়াসআপ) এ ভিডিওসহ বিভিন্ন প্রমাণ পাঠানো হয়েছে। পরে তিনি এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। তবে তার বক্তব্য জানতে চেয়ে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বারহাট্টায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের বই বিক্রির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:১৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নেত্রকোনা সংবাদদাতা:

নেত্রকোনার বারহাট্টায় মনকান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শোভনা আচার্যর বিরুদ্ধে প্রাথমিক স্তরের ৬০ কেজি বই ভাঙারি দোকানে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কুলে পড়ে থাকা ৬০ কেজি বই প্রতিকেজি ৩০ টাকা দরে ভাঙারি দোকানির কাছে বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষক শোভনা আচার্য।
ভাঙারি ব্যবসায়ী শরীফ ও রায়হান বই ক্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,বৃহস্পতিবার মনকান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে মোট ৬০ কেজি বই কিনেছি। তারা বলেন, স্কুলের শিক্ষকরা এসব বই বিক্রি করেছেন। তবে, বিক্রয়কারী শিক্ষকদের নাম তাদের জানা নেই বলেও জানান।
বারহাট্টা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিনয় চন্দ্র শর্মা বলেন, স্কুলের বই বই পুরাতন বা নতুন যেমনই হোক শিক্ষকদের তা বিক্রি করার কোন এখতিয়ার নেই। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত মনকান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শোভনা আচার্য বলেন, আমি বই বিক্রি করিনি। পুরানো কিছু খাতা জমে ছিল তা বিক্রি করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিনয় চন্দ্র শর্মা বলেন, স্কুল থেকে বই বিক্রি করা হয়েছে, এমন খবর পেয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রহুল আমিন সহেবকে তদন্তে পাঠিয়েছি। ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, স্কুলের সরকারি বই শিক্ষকদের বিক্রি করার নিয়ম নেই। বই পুরাতন বা নতুন যেমন বই হোক।
সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রহুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। সাংবাদিকদের কাছে তথ্য প্রমাণ থাকলে তা দিয়ে সহায়তা করেন। এ বিষয়ে জেলা কর্মকর্তাকেও অবগত করা হয়েছ। বই গ্রহণ ও বিতরণের রেজিস্ট্রার চেক করে, অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুনকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ওয়াসআপ) এ ভিডিওসহ বিভিন্ন প্রমাণ পাঠানো হয়েছে। পরে তিনি এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। তবে তার বক্তব্য জানতে চেয়ে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন