আমাদের অর্থনীতি এখনও নিরাপদ ও গতিশীল আছে: প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০১:৫৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
- / ৬৫
প্রতিদিনের নিউজ:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক কাজ আমরা করে যাচ্ছিলাম তবে করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দা দেখা দিয়েছে। এই মন্দা থেকে আমরা যেন উত্তরণ ঘটাতে পারি, সে বিষয়েও যথেষ্ঠ সজাগ আছি। আমাদের অর্থনীতি এখনও গতিশীল আছে, নিরাপদ আছে, সেটুকু অন্তত আমি বলতে পারি। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যশোরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) একাডেমিতে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সেখানে পাসিং আউট কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে দেশে কোনও রিজার্ভ মানি ছিল না, কারেন্সি নোট ছিল না, রাস্তা-ঘাট, পুল, ব্রিজ সবই ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল। তাছাড়া একটি প্রদেশ, তাকে রাষ্ট্রে উন্নীত করা এবং তার উপযুক্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তিনি অতি দ্রুত করেছিলেন। যুদ্ববিদ্ধস্ত দেশকে পুনর্বাসন করে পুনর্গঠন করে তিনি অর্থনৈতিক মুক্তির পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়ে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা নীতিমালা, যেটা তিনি ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করে দিয়েছিলেন, সেই নীতিমালার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। আজকের বিমান বাহিনী অবকাঠামো, রণকৌশল ও প্রযুক্তির দিক থেকে আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী, আধুনিক ও চৌকস। তাছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি। কাজেই আমাদের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান এবং বাহিনী প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হবে সেদিকে সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা দেখি আমাদের দেশে অন্যান্য দেশ থেকেও ট্রেনিং নিচ্ছে। যেমন নেপাল, ফিলিস্তিন, জাম্বিয়ার অফিসারগণ এখানে এসেছেন। নবীণ কর্মকর্তাদের বলবো, আমাদের সরকার সব সময় বিমান বাহিনীর দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা দিয়ে উন্নয়নে ও আধুনিকায়নে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
ক্যাডেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেন আমাদের ক্যাডেটদের নিয়ে গর্ব করতে পারি। তাছাড়া শান্তিরক্ষা মিশনে আমরা কাজ করি বিশ্বের বিভ্ন্নি দেশের সাথে চলতে হয়, সেজন্য প্রশিক্ষকদের কথা সব সময় মনে রাখতে হবে, প্রশিক্ষকদের কথা সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রশিক্ষণ উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে, এই কথাটা মনে রাখতে হবে। আমাদের স্বাধীন দেশ, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি, আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা বিশ্ব দরবারেসব সময় মাথা উঁচু করে চলবো। এটাই আমাদের লক্ষ্য। এদিকে দুপুর ২টার দিকে যশোর জেলা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। যশোর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানান, এই জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটানোর লক্ষ্য রয়েছে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এ উপলক্ষে চলেছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। পুরো শহর সাজানো হয়েছে তোরণে, ব্যানারে ও পোস্টারে। যশোরের বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের উপজেলাসহ খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এই জনসভায় যোগ দেবেন। সকাল থেকেই জনসভাস্থল অভিমুখে মানুষের ঢল দেখা গেছে।